Ajker Patrika

নাসিরনগর হামলা মামলার আসামি, অছাত্ররাও নেতা

মো. শফিকুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২১, ১৪: ৪৩
নাসিরনগর হামলা মামলার  আসামি, অছাত্ররাও নেতা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ঠাঁই পেয়েছেন নাসিরনগরে সাম্প্রদায়িক হামলা মামলা, মাদক ও অস্ত্র মামলার কয়েকজন আসামি। তা ছাড়া রয়েছেন বিবাহিত ও অছাত্ররা।

অভিযোগ উঠেছে, মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে অনেককে কমিটির সদস্য করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলা ছাত্রলীগের এই কমিটি সংশোধনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা। কমিটি থেকে বিতর্কিত নেতাদের নাম বাদ দিতে এক সপ্তাহ বেঁধে দিয়েছেন তাঁরা।

কমিটি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের অক্টোবরে নাসিরনগরের আলোচিত সাম্প্রদায়িক হামলার মামলার আসামি ফারদিন তাহের রাহুল পেয়েছেন উপ-ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব। তখন মামলায় গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন রাহুল। পরবর্তী সময়ে জামিনে মুক্ত হয়ে বিদেশে পাড়ি জমান তিনি। সম্প্রতি তিনি দেশে ফিরে আসেন।

কমিটিতে সহসভাপতি করা হয়েছে আসিফুল ইসলাম অন্তুকে। তিনি গত বছরের ১১ এপ্রিল আখাউড়া থানা-পুলিশের হাতে মাদকসহ গ্রেপ্তার হন। একই বছরের ৩১ আগস্ট আদালতে জমা দেওয়া অভিযোগপত্রে তাঁর নাম রয়েছে।

এ ছাড়া ২০১৮ সালের জুন মাসে অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার হন রবিউল আলম। তাঁকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ দেওয়া হয়েছে। বিবাহিত মেহেদী মিশু পেয়েছেন পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদকের পদ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের চা বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম উজ্জ্বল পেয়েছেন উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক।

অভিযোগ ওঠে এই কমিটি ঘোষণায় ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের নিয়মও মানা হয়নি। গঠনতন্ত্রকে পাশ কাটিয়ে ৩০১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়েও বড় ৩৪৯ সদস্যের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটিতে ঠাঁই পেয়েছেন ইয়াবা ব্যবসায়ী, ছাত্রদল নেতা বিবাহিত, প্রবাসী, সহোদর, ফটোকপির দোকানের কর্মচারী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, ত্রিশের অধিক বয়সী, এসএসসি ফেল করা ছাত্র এবং মাদক, চুরি ও ছিনতাই মামলার আসামি।

এই কমিটির তালিকা ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সংশোধনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা। গত মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে শহরের ভাদুঘর থেকে অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে মিছিলটি বের করা হয়।

সেখানে ছাত্রলীগের সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম জুয়েল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লাভলু চৌধুরী বক্তব্য দেন। তাঁরা বলেন, ‘যারা এসএসসি পাস করেনি, বিবাহিত, অছাত্র, মাদক ব্যবসায়ী, বিভিন্ন মামলা-হামলার সঙ্গে জড়িত ও বিএনপি-ছাত্রদলের বিভিন্ন কমিটিতে ছিল এমন নেতা-কর্মীরা জেলা ছাত্রলীগের এই কমিটিতে রাখা হয়েছে।’ সাত দিনের মধ্যে এই কমিটি সংশোধন না করা হলে আন্দোলনের হুমকি দেন তারা।

এই ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন বলেন, ‘আমরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে এত বড় কমিটি জমা দেয়নি। কমিটিতে পদ পাওয়া যেকোনো ছাত্রলীগ সদস্যের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দেখাতে পারলে তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাকা দিয়ে নারীর চাবুকের ঘা খাচ্ছিলেন পুরুষ, দুজন গ্রেপ্তার

ভারতের সঙ্গে সংঘাতে পাকিস্তানের ভাগ্যনিয়ন্তা সেনাপ্রধান জেনারেল মুনির

প্রবাসীর রেমিট্যান্সের অর্থ আত্মসাৎ, নারী ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

পাকিস্তানে কীভাবে হামলা চালাতে পারে ভারত, ইতিহাস যা বলছে

জনবল-সরঞ্জাম বেশি হলেও সমরশক্তিতে ভারত কি পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত