Ajker Patrika

হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি

আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২২, ১৫: ১১
হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের বিভিন্ন সড়কে হাতি দিয়ে চাঁদা তোলার অভিযোগ উঠেছে। হাটবাজারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এমনকি বসতবাড়ি থেকেও তোলা হচ্ছে চাঁদা। এতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন ব্যবসায়ী ও পথচারীরা।

সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার আদমপুর এলাকার একটি হাতির সঙ্গে বাচ্চা হাতি নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন বাজার, সড়ক অবরোধ করে ও বাড়িতে চাঁদাবাজি করছেন। এসব চাঁদাবাজি করছেন হাতির পিঠে বসে জহির মিয়া নামে এক মাহুত।

স্থানীয়রা জানান, জহির মিয়া নানা রকমের শব্দ করে হাতিটি পরিচালিত করেন। আর হাতি তার শুঁড় এগিয়ে দেয় দোকানদারের দিকে। কেউ স্বেচ্ছায় আবার কেউ ভয়ে টাকা দিচ্ছেন। আশানুরূপ টাকার পরিমাণ না হলে হাতি তার শুঁড় ফিরিয়ে নেয়। তখন আবার ভয়ে অনেকেই টাকার পরিমাণ বাড়িয়ে দেন। পরে চাঁদার টাকা হাতি শুঁড় দিয়ে তার মাহুতকে দেয়।

এদিকে বন বিভাগ বলছে, যেখানে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি করা হবে, সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তুলে প্রশাসনকে জানানোর জন্য। নির্বাক প্রাণী দিয়ে যারা চাঁদাবাজি করে, তাদের বিরুদ্ধে আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

ব্যবসায়ী ও বাড়ির মালিকের অভিযোগ, কয়েকজন হাতির মালিক সবসময় জেলাৎব্যাপী চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হাতি নিয়ে নিয়মিত একেকদিন একেক এলাকায় ঘুরে চাঁদাবাজি চালায়।

কমলগঞ্জের শহীদনগর বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হেলাল মিয়া বলেন, ‘বিভিন্ন এলাকা থেকে হাতি নিয়ে এসে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। একটি হাতির সঙ্গে একটা বাচ্চা ও পিঠে বসে একজন হাতিটিকে পরিচালনা করে। টাকা চাইলে ভয়ে টাকা দিই। তার এই কাজে সহযোগিতা করছেন এক সহযোগী।’

এই ব্যবসায়ী আরও বলেন, প্রতিটি দোকান থেকে হাতি দিয়ে টাকা তোলা হয়। টাকা না দেওয়া পর্যন্ত দোকান থেকে হাতি সরানো হয় না। বিষয়টি দেখার যেন কেউ নেই।

শহীদনগর বাজারের ব্যবসায়ী সিপন মিয়া বলেন, বাজার ও সড়কের গাড়ি আটকিয়ে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি করছে। হাতির ভয়ে বাধ্য হয়ে চাঁদা দেয় মানুষ।

সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক আবুল কাশেম বলেন, ‘এই হাতিকে এক দিনে তিন জায়গায় চাঁদা দিয়েছি। এভাবে প্রতিদিন কোনো-না কোনো হাতিকে চাঁদা দিতে হয়। নয়তো সড়কের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হাতি পরিচালনাকারী বলেন, ‘বিভিন্ন এলাকা থেকে খাবারের জন্য কিছু টাকা নেওয়া হয়। তবে টাকা নেওয়ার সময় কাউকে জোর করা হয় না। লোকজন স্বেচ্ছায় যা দেয়, তাই আমরা নিই। বছরের কয়েক মাস বসে দিন কাটাতে হয়; এ জন্য মাঝেমধ্যে হাতি নিয়ে বের হয়ে মানুষদের বিনোদন দিই।’

বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ সিলেটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, হাতি দিয়ে টাকা তোলা অবৈধ। যেখানে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি করবে, সেই জায়গার সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসনকে জানালে তারা ব্যবস্থা নেবে। টাকা আদায়কারীদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর আরও সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের বিস্তারিত চায় ভারত

নির্দেশনা মানেননি পাইলট, মদিনা–ঢাকা ফ্লাইটকে নামতে হলো সিলেটে

ভারত–বাংলাদেশ বাণিজ্য বিধিনিষেধের মূল্য গুনছেন ব্যবসায়ীরা

সরকারি মাধ্যমিকের সহকারী শিক্ষকেরা পাচ্ছেন গেজেটেড মর্যাদা

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে আরেকটি প্রক্সি ওয়ারে জড়াতে চায়: ফরহাদ মজহার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত