রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বুক চিরে বয়ে যাওয়া ইছামতী নদীর তীরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে শত শত স্থাপনা। প্রায় দেড় যুগ ধরে এ দখল প্রক্রিয়া চলে আসছে। বর্তমানে ইছামতীর রাঙ্গুনিয়া অংশে প্রায় ২০ কিলোমিটারজুড়ে রয়েছে কয়েক শ দোকানপাট ও ঘরবাড়ি।
জানা গেছে, গত বছরের ১৪ জুন ইছামতীর রোয়াজারহাট অংশের ২৭ অবৈধ দখলদারকে উচ্ছেদে নোটিশ দিয়েছিল পাউবো। এমনকি তাদের ৭ দিনের আলটিমেটামও দেওয়া হয়েছিল। এ সময়ের মধ্যে তারা অবৈধ স্থাপনা নিজ উদ্যোগে অপসারণ করে না নিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। পরে এদের উচ্ছেদ করা হবে বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু নোটিশ দেওয়ার পর প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো অনড় এসব দখলদার।
পাউবো সূত্রে জানা গেছে, অবৈধ স্থাপনা ও দখলদারদের কারণে ইছামতী নদী মরে যাচ্ছে। এসব স্থাপনার বর্জ্যে ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে ইছামতী। এতে ভরাট হচ্ছে নদী; বন্ধ হচ্ছে পানিপ্রবাহ। জোয়ার-ভাটা বাধাগ্রস্ত হয়ে আশপাশের কৃষিজমিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করছে।
এসব ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড (রাঙামাটি) পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ (পওর) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তয়ন কুমার ত্রিপুরা বলেন, যেসব ব্যক্তি পাউবোর জায়গা দখল করে আছে, তাদের তা ছেড়ে দেওয়ার জন্য জানানো হয়েছে। যারা নোটিশ পেয়েও এখনো দখলে রয়েছে; তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে। অবৈধ দখলদারদের তালিকা সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে জমা দেওয়া হয়েছে।
রোয়াজারহাটের অবৈধ স্থাপনার বিষয়ে তয়ন কুমার ত্রিপুরা বলেন, ‘ওই এলাকার ইছামতী ব্রিজ কাম রেগুলেটর ও ফ্লাড বাইপাস এলাকায় বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে অথবা বসতবাড়ি তৈরির জন্য অনেকে স্থায়ী ও অস্থায়ী অবকাঠামো তৈরি করেছেন। তাদের মৌখিকভাবে বলা হলেও অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ থেকে বিরত থাকেনি। এবার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তাতেও দখল না ছাড়ায় উচ্ছেদসহ তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’
অন্যদিকে রোয়াজারহাটে ইছামতী ব্রিজ কাম রেগুলেটর ও ফ্লাড বাইপাস এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের কারণে সেচ ও বন্যার পানি নিষ্কাশনের কাজ ব্যাহত হওয়াসহ এসব স্থানে নির্মিত পাউবোর অবকাঠামো হুমকির মুখে রয়েছে। এই অবকাঠামোর স্বাভাবিক পরিচালনা ব্যাহত হওয়ায় পাউবোর কর্ণফুলী সেচ প্রকল্পে (ইছামতী ইউনিট) নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এতে পাউবো তথা রাষ্ট্রের বিপুল আর্থিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের লক্ষ্যে সম্প্রতি নদী দখলদার এবং পাউবোর জায়গা দখলকারীদের একটি তালিকা প্রস্তুত করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এর মধ্যে ২৭ দখলদারকে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। এর বাইরে রোয়াজারহাট এলাকায় ইছামতী নদীর জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন বিপণিবিতান, বাসা, বসতঘরসহ নানা স্থাপনা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পাউবোর এই নোটিশকে পাত্তা দেয়নি এসব দখলদার। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় দিনের পর দিন দখল প্রক্রিয়া বেড়েই চলেছে। এখনই এটি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বুক চিরে বয়ে যাওয়া ইছামতী নদীর তীরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে শত শত স্থাপনা। প্রায় দেড় যুগ ধরে এ দখল প্রক্রিয়া চলে আসছে। বর্তমানে ইছামতীর রাঙ্গুনিয়া অংশে প্রায় ২০ কিলোমিটারজুড়ে রয়েছে কয়েক শ দোকানপাট ও ঘরবাড়ি।
জানা গেছে, গত বছরের ১৪ জুন ইছামতীর রোয়াজারহাট অংশের ২৭ অবৈধ দখলদারকে উচ্ছেদে নোটিশ দিয়েছিল পাউবো। এমনকি তাদের ৭ দিনের আলটিমেটামও দেওয়া হয়েছিল। এ সময়ের মধ্যে তারা অবৈধ স্থাপনা নিজ উদ্যোগে অপসারণ করে না নিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। পরে এদের উচ্ছেদ করা হবে বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু নোটিশ দেওয়ার পর প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো অনড় এসব দখলদার।
পাউবো সূত্রে জানা গেছে, অবৈধ স্থাপনা ও দখলদারদের কারণে ইছামতী নদী মরে যাচ্ছে। এসব স্থাপনার বর্জ্যে ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে ইছামতী। এতে ভরাট হচ্ছে নদী; বন্ধ হচ্ছে পানিপ্রবাহ। জোয়ার-ভাটা বাধাগ্রস্ত হয়ে আশপাশের কৃষিজমিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করছে।
এসব ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড (রাঙামাটি) পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ (পওর) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তয়ন কুমার ত্রিপুরা বলেন, যেসব ব্যক্তি পাউবোর জায়গা দখল করে আছে, তাদের তা ছেড়ে দেওয়ার জন্য জানানো হয়েছে। যারা নোটিশ পেয়েও এখনো দখলে রয়েছে; তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে। অবৈধ দখলদারদের তালিকা সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে জমা দেওয়া হয়েছে।
রোয়াজারহাটের অবৈধ স্থাপনার বিষয়ে তয়ন কুমার ত্রিপুরা বলেন, ‘ওই এলাকার ইছামতী ব্রিজ কাম রেগুলেটর ও ফ্লাড বাইপাস এলাকায় বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে অথবা বসতবাড়ি তৈরির জন্য অনেকে স্থায়ী ও অস্থায়ী অবকাঠামো তৈরি করেছেন। তাদের মৌখিকভাবে বলা হলেও অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ থেকে বিরত থাকেনি। এবার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তাতেও দখল না ছাড়ায় উচ্ছেদসহ তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’
অন্যদিকে রোয়াজারহাটে ইছামতী ব্রিজ কাম রেগুলেটর ও ফ্লাড বাইপাস এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের কারণে সেচ ও বন্যার পানি নিষ্কাশনের কাজ ব্যাহত হওয়াসহ এসব স্থানে নির্মিত পাউবোর অবকাঠামো হুমকির মুখে রয়েছে। এই অবকাঠামোর স্বাভাবিক পরিচালনা ব্যাহত হওয়ায় পাউবোর কর্ণফুলী সেচ প্রকল্পে (ইছামতী ইউনিট) নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এতে পাউবো তথা রাষ্ট্রের বিপুল আর্থিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের লক্ষ্যে সম্প্রতি নদী দখলদার এবং পাউবোর জায়গা দখলকারীদের একটি তালিকা প্রস্তুত করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এর মধ্যে ২৭ দখলদারকে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। এর বাইরে রোয়াজারহাট এলাকায় ইছামতী নদীর জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন বিপণিবিতান, বাসা, বসতঘরসহ নানা স্থাপনা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পাউবোর এই নোটিশকে পাত্তা দেয়নি এসব দখলদার। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় দিনের পর দিন দখল প্রক্রিয়া বেড়েই চলেছে। এখনই এটি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১১ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫