Ajker Patrika

হল খুলবে

সম্পাদকীয়
হল খুলবে

অনেক অনেক কাল আগের কথা। অল্পদিন না অনেক দিন, কে জানে। সে সময় রাজশাহী মহানগরে সিনেমা হল ছিল। এক-দুটি নয়, ছয়টি। আশপাশের প্রতিটি উপজেলাতেও ছিল সিনেমা হল। কিন্তু এক এক করে সব হল বন্ধ হয়ে যায়। রাজশাহীতে সিনেমা হল ছিল—এ কথা তাই এখন শুধুই গল্প। তবে এই গল্পের ভিত্তিটা নাড়িয়ে দিতেই হয়তো আবার চালু হতে যাচ্ছে ‘রাজ তিলক’ সিনেমা হলটি। সংস্কারকাজ চলছে। যেকোনো দিন চালু হতে পারে—এ রকম একটি বিজ্ঞাপনও টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে হলে। এ খুবই আনন্দের সংবাদ!

নগরের পূর্ব প্রান্তে কাটাখালী বাজারে অবস্থিত রাজ তিলক বন্ধ ছিল এক দশকের বেশি সময়। সপ্তাহখানেক ধরে সংস্কারকাজ চলছে হলটির। সংস্কারে সময় লাগতে পারে মাসখানেক। এরপর যেকোনো দিন কর্তৃপক্ষ খুলে দেবে হলের দরজা।

হলের সাউন্ড সিস্টেম এবং প্রজেক্টর হবে পুরোপুরি ডিজিটাল। হলটির দর্শক ধারণক্ষমতা হবে ৬০০। এখন শীত আসি আসি করছে, তাই আগামী গ্রীষ্মের আগে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাও হয়ে যাবে বলে জানান এই হল চালুর উদ্যোগ যিনি নিয়েছেন, সেই সাজ্জাদ হোসেন। তিনি মাসিক ভাড়ার চুক্তিতে হলটি চালু করার উদ্যোগ নেন হল মালিক রুম্মান আলীর কাছ থেকে।

২০১২ সালে হলটি বন্ধ হলে রুম্মান আলী কিনে নিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি হলটি চালু করতে পারেননি এত বছরেও। এবার সাজ্জাদ হোসেনের ওপর আস্থা রাখাটা সহজ। কেননা, তাঁর সিনেমার প্রোডাকশন ম্যানেজার হিসেবে কাজ করার এবং হল পরিচালনার পূর্ব অভিজ্ঞতা আছে।

সিনেমা হল নেই বলে যে আক্ষেপ এত দিন রাজশাহীবাসী করেছে, তা মিটবে অচিরেই। আগের নামেই খুলবে রাজ তিলক। রাজশাহীর দর্শক হয়তো আবার হইহই-রইরই করতে করতে হলমুখী হবে। নতুন দর্শক পাবে রাজ তিলক সিনেমা হল, হয়তো পাবে পুরোনোদেরও। কেউ হলে ঢুকে নস্টালজিক হবেন, কেউ সিনেমা দেখে আবেগে ভাসবেন। এভাবে বাংলা সিনেমা হয়তো আবার রাজশাহীর সাধারণ দর্শকের হৃদয় জয় করবে। আর কে না জানে, কিছু সিনেমায় দেশীয় সংস্কৃতিকে খুঁজে পাওয়া, বিনোদনের পাশাপাশি সম্পর্ক বা শিষ্টাচারের শিক্ষা পাওয়া যায়! জানা যায় এমনকি ইতিহাসও।

একটা সময় গেছে, যখন অশ্লীল সিনেমা হলে হলে চলেছে। হলবিমুখ হয়ে গেছে সাধারণ দর্শক। এ ছাড়া টেলিভিশন কিংবা কম্পিউটারেই সিনেমা দেখার সুযোগ ঘটে যাওয়ায় অনেকেই আর সিনেমা হলের দিকে পা বাড়ান না। ভালো ছবির দেখা পেলে এই দর্শকেরাই আবার হলে ফিরতে চাইছে। কারণ, সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু বাংলা সিনেমার নাম উঠে আসছে, যেগুলো ভালো মানের বলে বিবেচনা করছেন সিনেমাপ্রেমীরা। এই সুদিন অটুট থাকুক চিরকাল। রাজ তিলকের মতো আরও আরও হলের পর্দা উঠুক। নতুন করে যাত্রা শুরু হোক ভালো গল্পের, জয় হোক বাংলা সিনেমার। সাজ্জাদ হোসেনদের মতো যাঁরা বাংলা সিনেমাকে এগিয়ে নিতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের জন্য শুভকামনা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ পদে রদবদল

গাজীপুরে রাস্তা বন্ধ করে চলাচল করা সেই পুলিশ কমিশনারকে প্রত্যাহার

ভারতসহ একসঙ্গে তিন দেশ সামলাবেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত, দিল্লিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

নারীর সঙ্গে ঝগড়ার পর রূপসা সেতু থেকে নিচে লাফ দেন সাংবাদিক বুলু: কোস্ট গার্ড

ডাকসু প্রার্থীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের হুমকি, সমালোচনার ঝড়

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত