সম্পাদকীয়
ছাগল নিয়ে কী লেখা যায়? ছাগল এমনই একটা নিরীহ প্রাণী, যার কথা বলার সময় কেউ প্রাণীটিকে সম্মান করে কথা বলে না। ব্রুনাইয়ের সুলতান তাঁর দেশে কয়েকটি ছাগল নিয়ে গিয়ে ছাগলদের যে সম্মান দিলেন, তা থেকেই কি আমরা অনুপ্রাণিত হলাম? ‘তুই একটা ছাগল’ বলা হলে বুঝতে হয়, কেউ কারও আহাম্মকি নিয়ে কথা বলছে। কিন্তু ছাগল নিয়ে আমরা মানুষেরাও যে আহাম্মকি করতে পারি, সে কথাও তো জানা যাচ্ছে আজকাল।
আজকাল আমাদের সরকারি সফরগুলো হচ্ছে এমন সব বিটকেলে বিষয় নির্ধারণ করে, যাতে মনে হয়, যেকোনো মূল্যে সরকারি টাকার শ্রাদ্ধ না করা পর্যন্ত সুখ নেই। শুনতে একটু স্থূল মনে হতে পারে, কিন্তু এখন যদি দেখা যায় কমোডে কীভাবে বসতে হবে, টয়লেটে পানির জায়গায় টয়লেট পেপার ব্যবহার করার পদ্ধতি কী হবে, হাই তোলার পর কীভাবে ঘুমকে দূরে রাখা হবে কিংবা লিফটে ওঠার সময় কোন পা আগে দেবেন—এ রকম ব্যাপারেও কেউ যদি সরকারি সফরে বিদেশ যান, তাহলেও আমরা অবাক হতে ভুলে যাব। সেখানে ছাগল তো কোন ছার!
আজকের পত্রিকায় ছাগল বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে বিদেশযাত্রা নিয়ে যে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে, তা পড়লে যে কেউ বুঝবে, এ সফরটিকে শিক্ষণীয় ভ্রমণ হিসেবে না দেখে প্রমোদ ভ্রমণ হিসেবে দেখাই শ্রেয়। কারণ, আমাদের দেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল নিয়ে যথেষ্ট গবেষণা হয়েছে, তার জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে সফলতা এসেছে, দেশে-বিদেশে এই ছাগলের বাণিজ্যিক খামার রয়েছে। এখন যেটা সবচেয়ে বেশি দরকার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা তা হলো—দেশি ছাগলের জাত সংরক্ষণ করতে হবে। সেটা করতে হলে দেশীয় ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতির সঙ্গে আধুনিক প্রযুক্তি ও ব্যবস্থাপনার মিলন ঘটাতে হবে। এ জন্য বিদেশে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন আছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন না।
ছাগল নিয়ে একটা প্রবাদ আছে, যা স্কুলের বইয়েই পাওয়া যায়। ‘পাগলে কী না বলে, ছাগলে কী না খায়।’ কথাটা এমনি এমনি আসেনি বটে, কিন্তু এখন তো মনে হয়, ‘ছাগল সবকিছুই খায়’, প্রবাদবাক্যের এই অংশটা এখন ম্লান হতে চলেছে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের কারণে। ছাগলে কী না খায়-এর চেয়ে বড় ব্যাপার হলো, ছাগলকে নিয়ে কী না করা যায়! বেচারা ছাগলকে ভালোবাসি বলেই কি আমরা আমাদের জাতীয় ফল হিসেবে কাঁঠালকে বেছে নিয়েছি? কাঁঠালগাছে দেশটা ভরে গেলে এই দেশ ভরে যাবে ছাগলে—এ রকম একটা ভাবনা কি আমাদের মনে সঙ্গোপনে ছিল? তা অবশ্য মনে হয় না, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর পর কেউ নিশ্চয়ই ভাবেননি যে কোনো এককালে ছাগল এতটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
ছাগল নিয়ে এই রসিকতা যদি দেশে ছাগলের ‘বাম্পার ফলনের’ সহায়ক হয়, তাহলে আমাদের কিছু বলার নেই। তবে তা যেন শুধু ছাগল প্রজাতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে!
ছাগল নিয়ে কী লেখা যায়? ছাগল এমনই একটা নিরীহ প্রাণী, যার কথা বলার সময় কেউ প্রাণীটিকে সম্মান করে কথা বলে না। ব্রুনাইয়ের সুলতান তাঁর দেশে কয়েকটি ছাগল নিয়ে গিয়ে ছাগলদের যে সম্মান দিলেন, তা থেকেই কি আমরা অনুপ্রাণিত হলাম? ‘তুই একটা ছাগল’ বলা হলে বুঝতে হয়, কেউ কারও আহাম্মকি নিয়ে কথা বলছে। কিন্তু ছাগল নিয়ে আমরা মানুষেরাও যে আহাম্মকি করতে পারি, সে কথাও তো জানা যাচ্ছে আজকাল।
আজকাল আমাদের সরকারি সফরগুলো হচ্ছে এমন সব বিটকেলে বিষয় নির্ধারণ করে, যাতে মনে হয়, যেকোনো মূল্যে সরকারি টাকার শ্রাদ্ধ না করা পর্যন্ত সুখ নেই। শুনতে একটু স্থূল মনে হতে পারে, কিন্তু এখন যদি দেখা যায় কমোডে কীভাবে বসতে হবে, টয়লেটে পানির জায়গায় টয়লেট পেপার ব্যবহার করার পদ্ধতি কী হবে, হাই তোলার পর কীভাবে ঘুমকে দূরে রাখা হবে কিংবা লিফটে ওঠার সময় কোন পা আগে দেবেন—এ রকম ব্যাপারেও কেউ যদি সরকারি সফরে বিদেশ যান, তাহলেও আমরা অবাক হতে ভুলে যাব। সেখানে ছাগল তো কোন ছার!
আজকের পত্রিকায় ছাগল বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে বিদেশযাত্রা নিয়ে যে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে, তা পড়লে যে কেউ বুঝবে, এ সফরটিকে শিক্ষণীয় ভ্রমণ হিসেবে না দেখে প্রমোদ ভ্রমণ হিসেবে দেখাই শ্রেয়। কারণ, আমাদের দেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল নিয়ে যথেষ্ট গবেষণা হয়েছে, তার জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে সফলতা এসেছে, দেশে-বিদেশে এই ছাগলের বাণিজ্যিক খামার রয়েছে। এখন যেটা সবচেয়ে বেশি দরকার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা তা হলো—দেশি ছাগলের জাত সংরক্ষণ করতে হবে। সেটা করতে হলে দেশীয় ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতির সঙ্গে আধুনিক প্রযুক্তি ও ব্যবস্থাপনার মিলন ঘটাতে হবে। এ জন্য বিদেশে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন আছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন না।
ছাগল নিয়ে একটা প্রবাদ আছে, যা স্কুলের বইয়েই পাওয়া যায়। ‘পাগলে কী না বলে, ছাগলে কী না খায়।’ কথাটা এমনি এমনি আসেনি বটে, কিন্তু এখন তো মনে হয়, ‘ছাগল সবকিছুই খায়’, প্রবাদবাক্যের এই অংশটা এখন ম্লান হতে চলেছে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের কারণে। ছাগলে কী না খায়-এর চেয়ে বড় ব্যাপার হলো, ছাগলকে নিয়ে কী না করা যায়! বেচারা ছাগলকে ভালোবাসি বলেই কি আমরা আমাদের জাতীয় ফল হিসেবে কাঁঠালকে বেছে নিয়েছি? কাঁঠালগাছে দেশটা ভরে গেলে এই দেশ ভরে যাবে ছাগলে—এ রকম একটা ভাবনা কি আমাদের মনে সঙ্গোপনে ছিল? তা অবশ্য মনে হয় না, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর পর কেউ নিশ্চয়ই ভাবেননি যে কোনো এককালে ছাগল এতটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
ছাগল নিয়ে এই রসিকতা যদি দেশে ছাগলের ‘বাম্পার ফলনের’ সহায়ক হয়, তাহলে আমাদের কিছু বলার নেই। তবে তা যেন শুধু ছাগল প্রজাতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে!
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫