অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
হাসান আজিজুল হক গল্প বলতেন, গল্প বলতে ভালোবাসতেন, চমৎকারভাবে গল্প বলতে জানতেন। তাঁর এই গুণের কথা সবাই জানেন–যাঁদের সৌভাগ্য হয়েছে তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে জানার। যেমনটা আমার হয়েছে। কিন্তু তাঁর ওই গুণের খবর তাঁর পাঠকেরা বিলক্ষণ রাখেন। যে জন্য তাঁর প্রতি তাঁদের আকর্ষণের শেষ নেই। তাঁর লেখা খুব সহজে কাছে টেনে নেয়, কৌতূহল ধরে রাখে এবং তাতেই শেষ হয় না, ওই সঙ্গে ভাবিয়ে তোলে, চিন্তিত করে। গল্প তিনি জীবন থেকে সংগ্রহ করেন। বোঝা যায়, তাঁর কৌতূহল ও অনুসন্ধিৎসা সব সময় সজাগ; কিন্তু এই গল্পগুলো শুধু গল্প নয়, এদের প্রতিটিতে উপাদান থাকে চিন্তার। তিনি চিন্তা করতেন, চিন্তা করে লিখতেন, অভিজ্ঞতাকে সজীব করতেন কল্পনার সাহায্যে, তাকে গভীর করতেন চিন্তা দিয়ে। কোনো সাহিত্যই মহৎ হয় না, যদি তার মধ্যে ওই চিন্তাটা না থাকে। হাসান আজিজুল হক জীবন ও জগৎ সম্পর্কে গভীরভাবে ভাবতেন; লেখায় তাঁর ভাবনাগুলো একেবারেই স্বাভাবিকরূপে চলে এসেছে। তিনি নিজে বোঝেন, পাঠককে বুঝতে সাহায্য করেন। হাসান আজিজুল হক দর্শন অধ্যয়ন করেছেন, অধ্যাপনা করেছেন দর্শন বিষয়ে এবং তাঁর কাজ একজন সাহিত্যিকের, তাঁর লেখায় দর্শনের সঙ্গে সাহিত্যের যোগটা ঘটেছে একেবারে ভেতর থেকেই।
তাঁর বলার ধরনটা সম্পূর্ণ নিজস্ব। বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হয় তাঁর ভাষার। পড়তে শুরু করলেই বোঝা যায়, এ ভাষা অন্য কারও নয়। শুধু কথাসাহিত্যে নয়, তাঁর প্রবন্ধেও ওই বলার ধরন এবং ভাষার ব্যবহার বলে দেয়—তিনি তাঁর নিজের মতোই। সব সময়।
আর দেখেছি সংযম। তড়িঘড়ি করে লেখেননি, যা লিখেছেন অত্যন্ত যত্ন করে। পরিশ্রম ছিল নিশ্চয়ই; কিন্তু পরিশ্রমের ছাপ থাকে না, শিল্পের কারণে। তাঁর লেখা প্রবন্ধের মধ্যেও ওই সংযমটা দেখেছি। আড়ম্বর থাকে না, থাকে না অতিরেক, আর সে জন্যই পড়ার পর অনেক দিন মনে থাকে।
সংযম দেখেছি আরও একটা জায়গায়। তিনি রাজধানীমুখী নন। রাজধানীকেই বরং নিয়ে যেতে চেয়েছেন রাজশাহীতে। রাজশাহী তাঁর কর্মক্ষেত্র; কিন্তু নিতান্ত বাধ্য হয়েই সেখানে ছিলেন, কর্মজীবন শেষ হয়ে যাওয়া মাত্র ঢাকায় ছুটতে হবে—এমন কোনো অস্থিরতা তাঁর মধ্যে ছিল না। না-থাকায় ঢাকার ক্ষতি হয়েছে, লাভ হয়েছে রাজশাহীর। রাজশাহী আমার কৈশোরের শহর। এখন গেলে চিনতে পারি না। কারণ, পদ্মা নদী আর নেই। কৈশোরে দেখতাম ওই শহরের একটা সাংস্কৃতিক জীবন আছে; পদ্মা শুকালেও ওই জীবনটা কিন্তু শুকায়নি, এবং তাকে সজীব রাখার কাজে হাসান আজিজুল হক যেভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন, সে জন্য তাঁর প্রতি অতিরিক্ত কৃতজ্ঞতা।
সাহিত্যসৃষ্টির পেছনে বেদনা থাকে। হাসান আজিজুল হকের লেখার মধ্যে যেমন লেখার পেছনেও তেমনি গভীর বেদনা যে ছিল, সেটি টের পাই। ব্যক্তিগত বেদনা সবারই থাকে, থাকবেই; তবে আমাদের সমষ্টিগত বেদনার বিশেষ ক্ষেত্র দুটি। একটি সাতচল্লিশের, অপরটি একাত্তরের। সাতচল্লিশের ঘটনা তাঁকে শরণার্থী করে ওপার থেকে এপারে নিয়ে এসেছিল। একাত্তরে এপারেই সবাই আমরা উৎপাটিত হব—এমন আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। ওই দুই ক্ষতিকে আমরা নানাভাবে ধারণ করে চলেছি; হাসান আজিজুল হক ধারণ করেছেন তাঁর সৃষ্টিশীলতার মধ্যে। এ কাজ সৃষ্টিশীলরাই শুধু পারেন।
ব্যক্তিগত কথা বলি। হাসান আজিজুল হকের সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় তাঁর লেখার মধ্য দিয়েই। অনেককাল আগের কথা; কিন্তু পরিষ্কার মনে আছে। আমি তখন যুক্ত ছিলাম মাসিক পত্রিকা ‘পরিক্রম’-এর সম্পাদনার কাজের সঙ্গে। সম্পাদকদের জন্য সবচেয়ে বড় পাওনা নতুন লেখকের সন্ধান পাওয়া। ডাকে একটি গল্প এসেছিল, নাম ‘আত্মজা ও একটি কবরী গাছ’। প্রথমে গল্পের নামটি পড়ে, এবং তারপরই প্রথম বাক্যটির ওপর চোখ রেখেই নিশ্চিত হয়েছিলাম—একজন বড়মাপের লেখকের আগমন ঘটেছে। এরপর তাঁর অন্য লেখা যত পড়েছি ততই নিশ্চিন্ত হয়েছি আমার ওই প্রথম প্রতিক্রিয়ার নির্ভুলতার ব্যাপারে।
ব্যক্তিগত স্মৃতি আরও একটি আছে। আমার স্ত্রী নাজমা জেসমিন চৌধুরী মারা যান ১৯৮৯-তে। তখন ওই গভীর বেদনার সময় অনেকেই চিঠি লিখেছেন। ফোন করেছেন; টেলিগ্রাম পেয়েছি, বাসায় এসেছেন তো বটেই। রাজশাহী থেকে হাসান আজিজুল হক যে চিঠিটি পাঠিয়েছিলেন তাঁর সেই পরিচিত হস্তাক্ষরে ও ভাষায়, সেটির কথা এখনো মনে পড়ে।
তাঁর সৃষ্টিশীলতা সবার মাঝে ছড়িয়ে থাকুক, তাঁর এই চলে যাওয়ার বেদনা ও কষ্ট; অন্য সবার যেমন, তেমনি আমারও। তাঁর লেখার প্রতি আমার আকর্ষণের শেষ নেই, শেষ থাকবেও না।
রৌদ্র হয়তো প্রতিদিনই পাওয়া যাবে, কোনো না কোনোভাবে; কিন্তু সকালের রোদের মতো উজ্জ্বল হাসান আজিজুল হকের সঙ্গে আর যে কোনো দিন দেখা হবে না, এই সত্যটাকে মেনে নিই কীভাবে? মেনে নেওয়াটা শুধু কঠিন নয়, মনে হচ্ছে অসম্ভবই। প্রাকৃতিক শূন্যতার কথা স্বতন্ত্র, মানবিক শূন্যতা কি পূরণ হয় কখনো? হয় না। হবেও না।
ইমেরিটাস অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
হাসান আজিজুল হক গল্প বলতেন, গল্প বলতে ভালোবাসতেন, চমৎকারভাবে গল্প বলতে জানতেন। তাঁর এই গুণের কথা সবাই জানেন–যাঁদের সৌভাগ্য হয়েছে তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে জানার। যেমনটা আমার হয়েছে। কিন্তু তাঁর ওই গুণের খবর তাঁর পাঠকেরা বিলক্ষণ রাখেন। যে জন্য তাঁর প্রতি তাঁদের আকর্ষণের শেষ নেই। তাঁর লেখা খুব সহজে কাছে টেনে নেয়, কৌতূহল ধরে রাখে এবং তাতেই শেষ হয় না, ওই সঙ্গে ভাবিয়ে তোলে, চিন্তিত করে। গল্প তিনি জীবন থেকে সংগ্রহ করেন। বোঝা যায়, তাঁর কৌতূহল ও অনুসন্ধিৎসা সব সময় সজাগ; কিন্তু এই গল্পগুলো শুধু গল্প নয়, এদের প্রতিটিতে উপাদান থাকে চিন্তার। তিনি চিন্তা করতেন, চিন্তা করে লিখতেন, অভিজ্ঞতাকে সজীব করতেন কল্পনার সাহায্যে, তাকে গভীর করতেন চিন্তা দিয়ে। কোনো সাহিত্যই মহৎ হয় না, যদি তার মধ্যে ওই চিন্তাটা না থাকে। হাসান আজিজুল হক জীবন ও জগৎ সম্পর্কে গভীরভাবে ভাবতেন; লেখায় তাঁর ভাবনাগুলো একেবারেই স্বাভাবিকরূপে চলে এসেছে। তিনি নিজে বোঝেন, পাঠককে বুঝতে সাহায্য করেন। হাসান আজিজুল হক দর্শন অধ্যয়ন করেছেন, অধ্যাপনা করেছেন দর্শন বিষয়ে এবং তাঁর কাজ একজন সাহিত্যিকের, তাঁর লেখায় দর্শনের সঙ্গে সাহিত্যের যোগটা ঘটেছে একেবারে ভেতর থেকেই।
তাঁর বলার ধরনটা সম্পূর্ণ নিজস্ব। বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হয় তাঁর ভাষার। পড়তে শুরু করলেই বোঝা যায়, এ ভাষা অন্য কারও নয়। শুধু কথাসাহিত্যে নয়, তাঁর প্রবন্ধেও ওই বলার ধরন এবং ভাষার ব্যবহার বলে দেয়—তিনি তাঁর নিজের মতোই। সব সময়।
আর দেখেছি সংযম। তড়িঘড়ি করে লেখেননি, যা লিখেছেন অত্যন্ত যত্ন করে। পরিশ্রম ছিল নিশ্চয়ই; কিন্তু পরিশ্রমের ছাপ থাকে না, শিল্পের কারণে। তাঁর লেখা প্রবন্ধের মধ্যেও ওই সংযমটা দেখেছি। আড়ম্বর থাকে না, থাকে না অতিরেক, আর সে জন্যই পড়ার পর অনেক দিন মনে থাকে।
সংযম দেখেছি আরও একটা জায়গায়। তিনি রাজধানীমুখী নন। রাজধানীকেই বরং নিয়ে যেতে চেয়েছেন রাজশাহীতে। রাজশাহী তাঁর কর্মক্ষেত্র; কিন্তু নিতান্ত বাধ্য হয়েই সেখানে ছিলেন, কর্মজীবন শেষ হয়ে যাওয়া মাত্র ঢাকায় ছুটতে হবে—এমন কোনো অস্থিরতা তাঁর মধ্যে ছিল না। না-থাকায় ঢাকার ক্ষতি হয়েছে, লাভ হয়েছে রাজশাহীর। রাজশাহী আমার কৈশোরের শহর। এখন গেলে চিনতে পারি না। কারণ, পদ্মা নদী আর নেই। কৈশোরে দেখতাম ওই শহরের একটা সাংস্কৃতিক জীবন আছে; পদ্মা শুকালেও ওই জীবনটা কিন্তু শুকায়নি, এবং তাকে সজীব রাখার কাজে হাসান আজিজুল হক যেভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন, সে জন্য তাঁর প্রতি অতিরিক্ত কৃতজ্ঞতা।
সাহিত্যসৃষ্টির পেছনে বেদনা থাকে। হাসান আজিজুল হকের লেখার মধ্যে যেমন লেখার পেছনেও তেমনি গভীর বেদনা যে ছিল, সেটি টের পাই। ব্যক্তিগত বেদনা সবারই থাকে, থাকবেই; তবে আমাদের সমষ্টিগত বেদনার বিশেষ ক্ষেত্র দুটি। একটি সাতচল্লিশের, অপরটি একাত্তরের। সাতচল্লিশের ঘটনা তাঁকে শরণার্থী করে ওপার থেকে এপারে নিয়ে এসেছিল। একাত্তরে এপারেই সবাই আমরা উৎপাটিত হব—এমন আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। ওই দুই ক্ষতিকে আমরা নানাভাবে ধারণ করে চলেছি; হাসান আজিজুল হক ধারণ করেছেন তাঁর সৃষ্টিশীলতার মধ্যে। এ কাজ সৃষ্টিশীলরাই শুধু পারেন।
ব্যক্তিগত কথা বলি। হাসান আজিজুল হকের সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় তাঁর লেখার মধ্য দিয়েই। অনেককাল আগের কথা; কিন্তু পরিষ্কার মনে আছে। আমি তখন যুক্ত ছিলাম মাসিক পত্রিকা ‘পরিক্রম’-এর সম্পাদনার কাজের সঙ্গে। সম্পাদকদের জন্য সবচেয়ে বড় পাওনা নতুন লেখকের সন্ধান পাওয়া। ডাকে একটি গল্প এসেছিল, নাম ‘আত্মজা ও একটি কবরী গাছ’। প্রথমে গল্পের নামটি পড়ে, এবং তারপরই প্রথম বাক্যটির ওপর চোখ রেখেই নিশ্চিত হয়েছিলাম—একজন বড়মাপের লেখকের আগমন ঘটেছে। এরপর তাঁর অন্য লেখা যত পড়েছি ততই নিশ্চিন্ত হয়েছি আমার ওই প্রথম প্রতিক্রিয়ার নির্ভুলতার ব্যাপারে।
ব্যক্তিগত স্মৃতি আরও একটি আছে। আমার স্ত্রী নাজমা জেসমিন চৌধুরী মারা যান ১৯৮৯-তে। তখন ওই গভীর বেদনার সময় অনেকেই চিঠি লিখেছেন। ফোন করেছেন; টেলিগ্রাম পেয়েছি, বাসায় এসেছেন তো বটেই। রাজশাহী থেকে হাসান আজিজুল হক যে চিঠিটি পাঠিয়েছিলেন তাঁর সেই পরিচিত হস্তাক্ষরে ও ভাষায়, সেটির কথা এখনো মনে পড়ে।
তাঁর সৃষ্টিশীলতা সবার মাঝে ছড়িয়ে থাকুক, তাঁর এই চলে যাওয়ার বেদনা ও কষ্ট; অন্য সবার যেমন, তেমনি আমারও। তাঁর লেখার প্রতি আমার আকর্ষণের শেষ নেই, শেষ থাকবেও না।
রৌদ্র হয়তো প্রতিদিনই পাওয়া যাবে, কোনো না কোনোভাবে; কিন্তু সকালের রোদের মতো উজ্জ্বল হাসান আজিজুল হকের সঙ্গে আর যে কোনো দিন দেখা হবে না, এই সত্যটাকে মেনে নিই কীভাবে? মেনে নেওয়াটা শুধু কঠিন নয়, মনে হচ্ছে অসম্ভবই। প্রাকৃতিক শূন্যতার কথা স্বতন্ত্র, মানবিক শূন্যতা কি পূরণ হয় কখনো? হয় না। হবেও না।
ইমেরিটাস অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৪ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৪ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৪ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫