Ajker Patrika

মহাসড়কে অবৈধ স্থাপনা

কাজল সরকার, হবিগঞ্জ
আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২১, ১৭: ১১
মহাসড়কে অবৈধ স্থাপনা

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুই পাশ দখল করে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা। এমনকি নতুন সেতু ও ওলিপুর এলাকায় সড়কগুলোতে গাড়ি পার্কিং আর সিএনজিচালিত অটোরিকশার স্ট্যান্ড বসানো হয়েছে। এ অবস্থায় ভোগান্তিতে পড়ছেন বাজারে আসা মানুষেরা। এদিকে সড়ক বিভাগ বলছে, ভোগান্তি নিরসনে শিগগির এসব অবৈধ দখলদাকে উচ্ছেদ করা হবে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, উপজেলার নতুন ব্রিজ পয়েন্ট একটি জনগুরুত্বপূর্ণ স্থান। মাধবপুর উপজেলা ছাড়া সিলেট বিভাগের মানুষের সারা দেশের সঙ্গে যোগাযোগের স্থান এই পয়েন্ট। এ কারণে প্রতিদিন এখানে কয়েক শ গণপরিবহন যাত্রী ওঠানামা করে। পাশাপাশি এখানে রয়েছে অন্তত চারটি অটোরিকশার স্ট্যান্ড।

অথচ এ সড়কের দুই পাশে রয়েছে ফল ও ভ্যারাইটিজ দোকান। কোনো কোনো দোকানি আবার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের পণ্য বাইরে রাখার কারণে দুর্ভোগ বেড়ে যায় কয়েক গুণ।

অপর দিকে ওলিপুর পয়েন্টের অবস্থাও একই। সেখানে গড়ে উঠেছে অন্তত ২০টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কারখানা। এসব কারখানায় কাজ করেন অন্তত ৫০ হাজার শ্রমিক। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শ্রমিকেরা সেখানে বাসাভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন। এতে ওলিপুর হয়ে উঠেছে একটি পরিপূর্ণ আবাসিক এলাকা। এত মানুষের জন্য সেখানে নির্দিষ্ট কোনো বাজার না থাকায় মহাসড়কের দুই পাশ দখল করে বসছে অস্থায়ী বাজার।

সকালে শ্রমিকদের কারখানায় যাওয়া এবং বিকেলে ফেরার সময় ওই স্থানে সৃষ্টি হয় যানজট। এতে ভোগান্তির শিকার হতে হয় শ্রমিকদের। যানজটের কারণে ঠিক সময় কারখানায় পৌঁছতে পারছেন না অনেক শ্রমিক।

শহরের বাসিন্দা আল আমিন বলেন, ‘প্রতিদিন প্রধান সড়কে সিএনজি দাঁড়িয়ে থাকে। এ ছাড়া কোম্পানিরসহ আরও বিভিন্ন গাড়ি চলাচলের কারণে সকাল-বিকেল এখানে যানজট লাগে। এতে যাতায়াতে সমস্যা হয়। দ্রুত এসব অবৈধ গাড়ির স্ট্যান্ড এখান থেকে উচ্ছেদ করার দাবি জানাই।’

স্থানীয় আরেক বাসিন্দা মঈনুল হক বলেন, ‘সড়ক বিভাগ এর আগেও দুবার উচ্ছেদ করেছে। কিন্তু কিছুদিন গেলেই আবারও অবৈধ দোকানপাট বসে যায়। প্রশাসনকে আরও কঠোর হওয়া উচিত। যেন একবার উচ্ছেদের পর আবার নতুন করে কেউ বসতে না পারে। প্রয়োজনে এখানে একটি স্থায়ী বাজার তৈরি করে দেওয়া হোক।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হবিগঞ্জ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিল মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, ‘এর আগেও আমরা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছি। কিন্তু নতুন করে আবারও সেই জায়গাগুলো দখল হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে নতুন করে উচ্ছেদ প্রক্রিয়া চালানোর জন্য জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চলছে। অচিরেই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে। ইতিমধ্যে অবৈধ দখলদারদের তালিকা করা হয়েছে।’

শাকিল মোহাম্মদ ফয়সাল আরও বলেন, ‘শিগগির ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীতকরণের কাজ শুরু হবে। তাহলে আর কেউ নতুন করে অবৈধ স্থাপনা বসাতে পারবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত