Ajker Patrika

দুধের বদলে পরিমিত পরিমাণে দই খাওয়া যেতে পারে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক
দুধের বদলে পরিমিত পরিমাণে দই খাওয়া যেতে পারে

প্রশ্ন: আমার বয়স ১৬ বছর। কয়েক দিন হলো এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছি। বছরখানেক থেকে আমার পরিপাকতন্ত্রের বেশ কিছু সমস্যা মনে হচ্ছে। দুধ খেয়ে হজম করতে পারি না; অর্থাৎ এটি খেলে পেটে সমস্যা হয়। আবার অনেক সময় প্রোটিনজাতীয় খাবার খেলেই সমস্যা হয়। উল্লেখ্য, এমনিতে আমার কোনো শারীরিক পরিশ্রম করা হয় না। সপ্তাহে দুই-এক দিন মাঠে ফুটবল খেলি। দুধ বা প্রোটিনজাতীয় খাবার খাওয়া বাদ দেব?

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ই-মেইলে আসা প্রশ্ন

আমি মনে করি, আপনার একজন গ্যাস্ট্রোএনটারোলজিস্টের সঙ্গে দেখা করা উচিত। তবে এমন অনেকেই আছেন যাঁদের দুধ খেলে হজম হয় না। একে বলে ল্যাকটোজ ইন্টলারেন্স। দুধ বাদ দেওয়া যেতে পারে খাবার তালিকা থেকে। খেলেও অল্প পরিমাণে খেতে হবে। সে ক্ষেত্রে দুধের পরিবর্তে দই খাওয়া যেতে পারে। 

অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী, সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

প্রশ্ন: আমার বয়স ৩৫ বছর এবং ওজন ৬৫ কেজি। এক বছর ধরে ডায়াবেটিসে ভুগছি। প্রথমবারের মতো গর্ভবতী হয়েছি দুই মাস হলো। খাওয়াদাওয়ায় কি বিশেষ কোনো নজর দিতে হবে? আর কী কী মেনে চলা উচিত হবে এখন?

সাদিকা শাম্মী আহমেদ, খুলনা

অতি শিগগির ডায়াবেটিস ও হরমোন রোগ বিশেষজ্ঞ দেখাতে হবে। গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস থাকলে আগে ওষুধ পরিবর্তন করতে হয়। আর খাবার আগের মতোই—মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না। দুই বেলা রুটি, এক বেলা ভাত। আপেল, পেয়ারা, দুধ, ডিম খেতে পারবেন। 

ডা. মো. মাজহারুল হক তানিম, হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ

প্রশ্ন: সাড়ে চার বছরের বিবাহিত জীবন আমার। এত দিন সন্তান নেওয়ার কথা ভাবিনি। কারণ,  ভালোবেসে বিয়ে করলেও স্বামীর উদাসীন আচরণ, সংসারের প্রতি কর্তব্য়হীনতা আমাকে মানসিক চাপে রাখত। ফলে একা সংসার সামলিয়ে আর সন্তান নেওয়ার কথা ভাবিনি। আমরা দুজনেই চাকরিজীবী। বিয়ের পর ওর অফিসে একটা ঝামেলা হওয়ায় চাকরিটা ছেড়ে দেয়। আমাকে একাই সংসার টানতে হয়েছে। সে সারাক্ষণ টিভি দেখা, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া আর ঘুরে বেড়ানো নিয়েই ব্যস্ত ছিল। এখন অবশ্য সে আবার কাজে ফিরেছে। তবে সংসারে মন ফেরেনি। সারা দিনে কথা হয় কেবল রাতের খাবার টেবিলে। সে কথাটুকুও ডাল নাও, আর কিছু পাতে দেব—এ ধরনের। এর বাইরে কিছু না। সারা দিনে আমি কেমন ছিলাম, আমার কিছু লাগবে কি না, শরীর খারাপ কি না, কিছুই জানতে চায় না সে। কোনো আগ্রহও নেই। এমনকি শারীরিক সম্পর্কেও। আমি প্রচণ্ড একাকিত্বে ভুগছি। সবকিছুর বাইরে স্বামীর সঙ্গে সুসম্পর্কটা আমার প্রয়োজন, এ কথা সে বুঝতেই পারছে না। যখনই বলি, বড্ড একা লাগে, তখনই নানান প্রসঙ্গ ধরে আক্রমণ করে বসে। কী করতে পারি এ তিক্ততা এড়াতে, ভালো থাকতে?

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ময়মনসিংহ

আপনার একাকিত্বটা স্বাভাবিক। বিবাহিত জীবনে নারী-পুরুষ পরস্পরের এত কাছে চলে আসে যেখানে শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং আধ্যাত্মিক জায়গাটিতে ফাঁকি দেওয়ার কোনো অবকাশ থাকে না।

আপনার জন্য বলার কথা হলো, ঠান্ডা মাথায় খোলামেলা পারস্পরিক আলোচনা করুন। তিনি যদি বুঝতে না চান তাহলে কাপল থেরাপির সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে উভয় পরিবারকে যুক্ত করবেন না। দিন শেষে ছেলের পরিবার ছেলের পক্ষে, মেয়ের পরিবার মেয়ের পক্ষে কথা বলবে। যেটা দাম্পত্যে তিক্ততাই বাড়াবে। তাই একজন নিরপেক্ষ মানুষ হিসেবে কাউন্সেলরের কাছে যেতে পারেন।

আপনার একা লাগে শুনলে আপনার স্বামী নানান প্রসঙ্গ ধরে আক্রমণ করে বসেন। খোলাখুলিভাবে জিজ্ঞেস করুন, কী কী কারণে তাঁর রাগ উঠছে আপনার প্রতি? খুব সাবলীল ভঙ্গিতে জানতে চান, আপনার কোন কোন আচরণ তাঁর ভেতরে আনন্দ, দুঃখ, ভয় এবং রাগের অনুভূতি তৈরি করে। ঠিক সেভাবে অকপটে তাঁর আচরণের পরিপ্রেক্ষিতে নিজের অনুভূতিগুলো কী হয়, তা তুলে ধরুন।

দাম্পত্য সমস্যার সমাধান না হলে সন্তান গ্রহণ করা জল ঘোলা করার নামান্তর। আপনারা নিজেরাই যেখানে ভালো নেই সেখানে নতুন একটা জীবনকে আনার কী মানে? কাজেই সন্তান নিলে সব ঝামেলা ঠিক হয়ে যাবে, এটি ভ্রান্ত ধারণা। নিজেরা আলাপ করুন। 

অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া, চিকিৎসক, কাউন্সেলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার বিডি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত