Ajker Patrika

এবার গাছ মেরে কাটার কৌশল

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ জানুয়ারি ২০২২, ১৫: ৩৪
এবার গাছ মেরে কাটার কৌশল

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে রাস্তার দুই পাশের গাছ কেটে নিতে অভিনব পন্থা অবলম্বন করছে একটি অসাধু চক্র। এত দিন তাজা গাছ কেটে নিলেও এখন শুরু করেছে ভিন্ন কৌশল। তাজা গাছ কাটা সম্ভব না হলে প্রথমে গাছের ছাল বা বাকল তুলে ফেলা হয়। তাতে গাছটি একসময় মারা গেলে তা কেটে নিয়ে যায় তারা।

গাছ কাটায় স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধা এড়াতে বন বিভাগ থেকে অনুমতি নিয়ে কাটছেন এমন মিথ্যা দাবিও প্রচার করা হচ্ছে। আবার স্থানীয় কেউ কেউ তাদের বাড়ির সামনের গাছগুলো কৌশলে কেটে চলাচলের পথ প্রশস্ত করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সড়কের দুই পাশের গাছের মালিকানা নিশ্চিত না থাকার সুযোগে যে যেভাবে পারছে গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। কোনো গাছ প্রকাশ্যে কাটা সম্ভব না হলে সেটির ওপরের ছাল বা বাকল মাটি থেকে তিন-চার হাত পরিমাণ তুলে রাখা হচ্ছে। এ কারণে গাছটি ধীরে ধীরে মারা যায়। এ সুযোগে কোনো একসময় তা কেটে নিয়ে যাওয়া সহজ হয়।

বাকল তুলে ফেলা গাছটি অপরিণত বয়সের হওয়ায় তা বরাবরই বন বিভাগ বা সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর গণনার বাইরে থাকছে। কয়েক দিন আগে মিতালীবাজার থেকে হাওলাদার বাজার পর্যন্ত এ রকম প্রায় ১৫টি গাছ কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কারা এমনটি করেছে কেউ তা জানাতে পারেনি। অধিকাংশ সড়কে এভাবে কয়েক দিন পরপরই গাছ কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বেড়িবাঁধের গাছগুলো একইভাবে কাটা হচ্ছে।

উপজেলা বন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) চন্দন ভৌমিক বলেন, অনুমান করা হচ্ছে হায়দরগঞ্জ, মিতালীবাজার, খাসেরহাট, চরমোহনা এলাকার সড়কগুলো ও বেড়িবাঁধের দুই পাশের সড়কের গাছগুলো আশির দশকে লাগানো হয়। তথ্যপ্রমাণের অভাবে চুরি ঠেকাতে বা সংঘবদ্ধ গাছ চোরদের বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। নিজেদের অপরাধ লুকাতে কেউ কেউ বন বিভাগের কাছ থেকে কিনে নেওয়ার বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ায়।

উপজেলা প্রকৌশলী মোস্তফা মিনহাজ বলেন, ‘সড়কের দুই পাশের গাছগুলো বন বিভাগের আওতায় হলে আমাদের সঙ্গে চুক্তি থাকে। বন বিভাগের না হলে নিয়ম অনুযায়ী গাছগুলো এলজিইডি দপ্তরের হয়। তা ছাড়া গাছের নীতিমালা অনুযায়ী যে রাস্তাগুলো এলজিইডির অধিগ্রহণ করা জমিতে থাকবে, শুধু সেসব গাছই এলজিইডির হবে। অন্যথায় গাছ থাকলেও সেগুলো আমরা দাবি করতে পারি না।’

রায়পুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাসেল ইকবাল বলেন, ‘সরকারি জায়গার গাছগুলো এসিল্যান্ড অফিসের তত্ত্বাবধানে থাকে। তবে গাছ চুরির বিষয়টি আমাদের জানা নেই। গাছ চুরির ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত