Ajker Patrika

প্রতিমন্ত্রী ‘না’ বলার ৩ দিনের মাথায় গ্রাহকের বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৫ নভেম্বর ২০২২, ০৯: ২৭
প্রতিমন্ত্রী ‘না’ বলার ৩ দিনের মাথায় গ্রাহকের বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব

ছয় মাসের ব্যবধানে গ্যাস ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর এবার গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে। বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণে নিয়োজিত সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) গতকাল বৃহস্পতিবার দাম বাড়ানোর প্রস্তাব জমা দিয়েছে কয়েকটি বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি। বিইআরসি সূত্রে জানা গেছে, মোট ছয়টি কোম্পানি খুচরা পর্যায়ে গড়ে ১৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ দাম বাড়ানোর আবেদন করেছে।

সর্বশেষ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে গ্রাহক পর্যায়ে খুচরা বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে সরকার। গ্রাহক পর্যায়ে তখন বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয় ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। চলতি বছরের ৫ জুন প্রথম গ্যাসের দাম প্রায় ২৩ শতাংশ বাড়ানো হয়। অন্যদিকে আগস্টের ৫ তারিখে বাড়ানো হয় জ্বালানি তেলের রেকর্ড পরিমাণ দাম।

তিন দিন আগে গত সোমবার পাইকারিতে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে সরকার। সেদিন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছিলেন, পাইকারিতে বিদ্যুতের দাম বাড়লেও গ্রাহক পর্যায়ে এখনই দাম বাড়ছে না। কিন্তু বিতরণ কোম্পানিগুলো তিন দিনের মাথায় খুচরা পর্যায়ে ভোক্তাদের জন্য বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর আবেদন করল।

কোম্পানিগুলোর প্রস্তাবের বিষয়ে জানতে চাইলে বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জলিল আজকের পত্রিকা বলেন, ‘এর আগে কয়েকটা কোম্পানি গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর আবেদন করেছে। আজ (গতকাল) ডিপিডিসি, ডেসকো ও ওজোপাডিকোর আবেদন আমরা গ্রহণ করেছি।’

বিইআরসির কয়েকজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলো ভিন্ন ভিন্ন দাম প্রস্তাব করেছে। তবে গড় মূল্যবৃদ্ধির হার ১৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া কবে নাগাদ শুরু হতে পারে, জানতে চাইলে বিইআরসির সদস্য (বিদ্যুৎ) মোহাম্মদ বজলুর রহমান আজকের পত্রিকা বলেন, ‘কোম্পানিগুলোর আবেদন আমাদের ট্যারিফ বিভাগ এখন যাচাই-বাছাই করছে। আবেদনে কোনো অসংগতি বা ঘাটতি পাওয়া না গেলে আমরা গণশুনানির জন্য তারিখ নির্ধারণ করব।

নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির নির্বাহী পরিচালক (কারিগরি ও অপারেশনস) আবদুর রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, গ্রাহক পর্যায়ে কতটুকু দাম বাড়াতে হবে, সেটা নিয়ে আমরা এখন হিসাব-নিকাশ করছি। আমাদের হিসাবমতে, ২০-২২ শতাংশ দাম বাড়াতে হবে। এই পরিমাণ দাম বাড়ালে আমাদের লাভ-লোকসান সমান থাকবে।’

বিপিডির সূত্র জানিয়েছে, প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম গড়ে ১ টাকা ৪৭ পয়সা বাড়ানোর আবেদন করেছে সংস্থাটি।

চলতি মাসের ২১ তারিখে বিইআরসি পাইকারিতে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে প্রায় ২০ শতাংশ এবং পাইকারি বিদ্যুতের এই বর্ধিত দর কার্যকর হবে ডিসেম্বর থেকে। বর্ধিত দামের কারণে বিদ্যুতের ইউনিটপ্রতি বর্তমান পাইকারি দাম ৫ টাকা ১৭ পয়সা থেকে বেড়ে দাঁড়াবে ৬ টাকা ২০ পয়সা।

বিইআরসি সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ বছরে দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বেড়েছে পাইকারি পর্যায়ে ১১৮ শতাংশ এবং গ্রাহক পর্যায়ে ৯০ শতাংশ। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত এক যুগে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে ১১ বার। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তাদের অবস্থান

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে ধর্ষণ করলেন ছাত্রদল নেতা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত