Ajker Patrika

আশা জাগছে সূর্যমুখী চাষে

চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ এপ্রিল ২০২২, ১০: ২৮
আশা জাগছে সূর্যমুখী চাষে

আবু বক্কর ছিদ্দিক জাবেদ। সদ্য ডিগ্রি পাস করেছেন। তাঁর বাড়ির পাশে অনাবাদি জায়গায় সূর্যমুখী চাষ করে পুরো উপজেলায় এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন। জাবেদের দেখাদেখি অন্য যুবকেরাও আগ্রহ প্রকাশ করছেন সূর্যমুখী আবাদের।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, এবার পুরো উপজেলায় মাত্র পাঁচ বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করা হয়েছে। তবে জাবেদের মতো শিক্ষিত যুবকেরা এগিয়ে এলেই চৌদ্দগ্রামে ভবিষ্যতে সূর্যমুখীর আবাদ আরও বাড়বে। এর ফলনও ভালো হবে।

উপজেলার জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নের পায়েরখোলা গ্রামে জাবেদের সূর্যমুখী বাগানে গিয়ে দেখা গেছে, অনেক দর্শনার্থী ভিড় করে আছেন। জানতে চাইলে জাবেদ বলেন, ‘আমি এবার ফেনী সরকারি কলেজ থেকে ডিগ্রি পাস করেছি। নানার বাড়িতে থাকা অবস্থায় দেখেছি সূর্যমুখী চাষ করতে। সূর্যমুখী চাষের সুফল সম্পর্কে সেখানেই জানতে পারি। কীভাবে সূর্যমুখী চাষ করতে হয় তা নানার বাড়ির এক ভগ্নিপতির কাছ থেকে শিখেছি। সূর্যমুখী ফুল দেখতে সুন্দর। আর এর তেল স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এ সব কথা শুনে আমি উদ্বুদ্ধ হই। বাড়িতে এসে ছয় শতক অনাবাদি জায়গায় সূর্যমুখীর চাষ শুরু করি। ফলন ভালোই হয়েছে। আমার চাষের খবর শুনে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এগিয়ে এসেছেন। তাঁরা আমাকে নিয়মিতভাবে দিক নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। কীভাবে গাছের পরিচর্যা করতে হয়, তা বলে দিচ্ছেন। আমি পরীক্ষামূলকভাবে এ ছয় শতক জায়গায় সূর্যমুখীর আবাদ করে সফলতা পেয়েছি। আগামী বছর আরও বেশি জায়গায় সূর্যমুখী আবাদ করব।’

অনেক যুবক প্রতিদিন জাবেদের সূর্যমুখী বাগান দেখে নিজেদের আগ্রহের কথা জানাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

জগন্নাথদীঘি কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুর রেজা বলেন, ‘সূর্যমুখী বাগান করার পরে জাবেদ আমাদের সাথে যোগাযোগ করেছেন। আমরা নিয়মিত তাঁকে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন বলেন, সূর্যমুখী তেল স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ভালো। এ তেলে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও মিনারেল আছে। এর মধ্যে ভিটামিন এ ও সি রয়েছে। সূর্যমুখী উৎপাদন খরচ কম। রবি মৌসুমে এই ফসল ভালো হয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত