Ajker Patrika

ঠাঁই নেই হোটেল মোটেল সৈকতে

মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২১, ১৪: ০৫
ঠাঁই নেই হোটেল মোটেল সৈকতে

বিজয় দিবস ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে তিন দিনের ছুটিতে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে লাখো পর্যটকের ঢল নামছে। শহরের হোটেল-মোটেলের কক্ষের বেশির ভাগ বুকিং হয়ে গেছে। করোনাকালে পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ থাকার পর এবারই দেশের প্রধান অবকাশযাপনের স্থান কক্সবাজারে বেশি পর্যটকের সমাগম হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

গতকাল বুধবার বিকেল থেকে পর্যটকেরা কক্সবাজারমুখী হয়েছেন। ইতিমধ্যে কক্সবাজার, ইনানী, টেকনাফ ও সেন্ট মার্টিনের হোটেলগুলোতে তিন দিনের কক্ষ ভাড়া প্রায় শেষ হয়েছে। টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন ও কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন নৌরুটের পর্যটকবাহী আটটি জাহাজের টিকিট বেচাকেনা শেষ হয়েছে।

প্রতিবছরই নববর্ষ, ঈদ ও পূজায় সর্বোচ্চ পর্যটকের সমাগম হয় কক্সবাজারে। চলতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারিতে তিন দিনের বন্ধে অন্তত ১০ লাখ পর্যটক এসেছিলন। এটিই এ পর্যন্ত পর্যটক সমাগমের সর্বোচ্চ রেকর্ড।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত কক্সবাজারের পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। প্রায় সাড়ে চার মাস পর ১৯ আগস্ট থেকে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয় সমুদ্রসৈকত।

পর্যটন-সংশ্লিষ্টরা জানান, বিজয় দিবস ও সাপ্তাহিক ছুটি একসঙ্গে হওয়ায় ভ্রমণপিপাসুদের সুবিধা হয়েছে। এতে টানা তিন দিন বেড়ানোর সুযোগ পাচ্ছেন পর্যটকেরা।

কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল, গেস্টহাউস, কটেজ ও রেস্তোরাঁ মালিকদের সংগঠন ফেডারেশন অব ট্যুরিজম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার বলেন, কক্সবাজার শহর ও আশপাশে ৫০০ হোটেল-মোটেল ও গেস্টহাউসে প্রায় দেড় লাখ পর্যটকের রাত যাপনের সুবিধা রয়েছে। টানা তিন দিনের ছুটিতে সিংহভাগ কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে গেছে। আবার অনেকেই কক্সবাজার পৌঁছে কক্ষ ভাড়া নেন। ফলে যেসব কক্ষ খালি রয়েছে, সেগুলো পর্যটকদের জন্য পর্যাপ্ত না-ও হতে পারে।

একই কথা বলেন, কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ হোটেল-রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান। তিনি বলেন, আগামী তিন দিনের জন্য বেশির ভাগ কক্ষ বুকিং রয়েছে। এ ছাড়া এ মাসের ২৪ ও ২৫ ডিসেম্বর এবং ৩০,৩১ ডিসেম্বর ও ১ জানুয়ারি পর্যন্ত আগাম বুকিং দিয়ে রেখেছেন পর্যটকেরা।

কক্সবাজার ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি তৌহিদুল ইসলাম তোহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সেন্ট মার্টিন ভ্রমণের জন্য জাহাজ ও হোটেলগুলোতেও আগামী তিন দিন পর্যন্ত বুকিং অনেকটা শেষ হয়েছে। এখন টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন রুটে ৭টি এবং কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন ও চট্টগ্রাম-সেন্ট মার্টিন রুটে একটি করে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু রয়েছে।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার (এসপি) জিল্লুর রহমান বলেন, পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় সৈকতের পাশাপাশি পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে ট্যুরিস্ট পুলিশের একাধিক টিম কাজ করবে।

জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, পর্যটকেরা যাতে সৈকতে স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরে বেড়াতে পারেন এবং কোনো হয়রানির শিকার না হন, তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের সৈকত ব্যবস্থাপনা কমিটির পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সৈকতকর্মীরা দায়িত্ব পালন করবেন।

এদিকে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে কলাতলী পর্যটন জোনের হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো নতুন করে সাজানো হয়েছে। সৈকতের নানা পেশার হকার ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও তৎপর রয়েছেন। সবার মধ্যে বেড়েছে কর্মতৎপরতা ও উদ্দীপনা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশসহ এশিয়ার ৫ দেশে সফর বাতিল করলেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনি

স্ত্রীকে হতে হবে নোরা ফাতেহির মতো, না খাইয়ে রেখে তিন ঘণ্টা করে ব্যায়াম করান স্বামী

বাংলা বলায় কলকাতার মার্কেটে ছুরি, বন্দুকের বাঁট ও হকিস্টিক নিয়ে ছাত্রদের ওপর হামলা

চাকরির নামে মিরপুর-শেওড়াপাড়ায় বাসায় ডেকে নারীর সঙ্গে ভিডিও ধারণের পর টাকা হাতিয়ে নিত ‘হানি ট্র্যাপ’ চক্র

দুস্থদের ৩৪ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা মোহনগঞ্জ সমাজসেবা কর্মকর্তা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত