Ajker Patrika

আজ উদার হওয়ার দিন

অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী
আজ উদার হওয়ার দিন

সদয় হওয়া কিংবা সহানুভূতি প্রবণ হওয়া মানুষের ধর্ম। কিন্তু আমরা যেন ধীরে ধীরে এই মানবিক গুণ হারিয়ে ফেলছি। আমরা যেন উদার হতে পারি এবং এর চর্চা করতে পারি এমন ধারণাকে অবলম্বন করে বিশ্ব উদারতা দিবসের জন্ম।

উদারতা, সমন্বয়বাদিতা এবং সর্বোপরি সহিষ্ণুতা আজ বিপন্ন। এ বিষয়টিকে বিবেচনায় নিয়ে ‘যখন  সম্ভব উদার হোন, সদয় হোন’ এ স্লোগানকে উপজীব্য করে আজ বিশ্ব জুড়ে পালিত হবে বিশ্ব উদারতা দিবস। উদার হওয়ার শক্তি আর এর প্রভাব তুলে ধরাই এ দিবস পালনের লক্ষ্য। বিশ্ব জুড়ে আমরা যেন শান্তিতে সবাই উন্নতি লাভ করতে পারি, সমৃদ্ধিশালী হতে পারি এ দিবস সে ইচ্ছা প্রকাশের বাহন।

১৯৯৮ সালে টোকিয়তে এক সম্মেলনে দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত হয়। এর উদ্দ্যেশ্য ছিল, সবার  মধ্যে সদয় হওয়ার ইচ্ছা জাগানো। প্রথমে ২৭টি দেশ এই অভিযানে যোগ দিয়েছিল।

উদার হওয়ার আহ্বান এখনকার দিনে যে ভীষণ রকম প্রাসঙ্গিক, তা অস্বীকার করা যায় না। বিশ্ব এখনো অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াই করছে, সাম্প্রতিক  যুদ্ধের ফলে অবস্থা হয়েছে আরও শোচনীয়। বিভিন্ন দেশে জন দুর্ভোগের শেষ নেই। সামান্য সদয় ব্যবহার আর উদারতার উদাহরণ অনেকটাই বদলে দিতে পারে বিশ্বকে। বিপদের সময় কাউকে সাহায্য করুন, এতে কুশল আসবে জীবনে।

সদয় হোন আর দিনে অন্তত একজনের ভালো করুন। এতে আমাদের হৃদয় হবে উষ্ণ। এমন উদারতা বদলে দিতে পারে বিশ্বকে। সমমর্মিতা আর দয়া এই পৃথিবীকে আরও বেশি বাসযোগ্য করে তুলবে। 

যে চর্চাগুলো করতে পারি

  • অন্যের প্রতি সম্মান দেখিয়ে সদয় কথা বলি।
  • ভালো কাজের জন্য প্রশংসা করি এবং লিখি কাইন্ডনেস নোট।
  • বয়স্ক প্রতিবেশীর প্রতি বাড়াই সাহায্যের হাত। সহকর্মীর সঙ্গে করি সদয় ব্যবহার।
  • আলিঙ্গন করি এবং সময় কাটাই পরিবারের সব মানুষের সঙ্গে। 
  • বিপদে পাশে দাঁড়াই বন্ধুদের।
  • বিভিন্ন বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবা করি।

উদারতায় যা হয়
উদার হলে শুধু যার তা প্রয়োজন কেবল তারই উপকার হয়, তা নয়। যিনি দুর্গত মানুষকে সাহায্য করেন তাঁর নিজের মূল্য নিজের কাছে বাড়ে। এতে,

  • মানসিক প্রশান্তি মেলে। 
  • মন ভালো থাকে। 
  • কমে বিষণ্নতা এবং দুশ্চিন্তার উপশম হয়। 
  • প্রচুর বন্ধু পাওয়া যায়। বিপদে তারাই সহায়ক হতে পারে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত