আনিসুল হক জুয়েল, দিনাজপুর
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার গোয়ালডিহি ইউনিয়নের পুলহাট বাজার। পথের ধারে ছোট্ট একটি সাইনবোর্ডে লেখা বাঁশের চারা উৎপাদনকারী নার্সারির নাম। বাঁশ বাংলাদেশের অতি পরিচিত উদ্ভিদ হলেও এর চারা উৎপাদনের কোনো নার্সারি কখনো চোখে পড়েনি। সাইনবোর্ডের নিচে ‘ব্রীফ’ নামের একটি বেসরকারি সংগঠনের (এনজিও) নাম লেখা। এনজিওটি দীর্ঘদিন ধরে দিনাজপুর অঞ্চলে পিছিয়ে পড়া গ্রামীণ মানুষের উন্নয়নে কাজ করছে।
বাঁশের বেড়া ঠেলে ব্রীফের কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে পড়ি। ভেতরে দেখা গেল, সেটি অফিস কাম শোরুম। বিভিন্ন সৌখিনপণ্যে ঠাসা। সব পণ্যই বাঁশের তৈরি। অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকি। কী নেই সেখানে! বাঁশের চেয়ার-টেবিল থেকে শুরু করে কলমদানি, বিভিন্ন রকমের বাহারি ঝাড়বাতি, ফল রাখার ঝুড়ি, টেবিলে ফাইল রাখার ট্রে, ফুলদানি, দেয়ালঘড়ি, টিস্যু বক্স, পানি খাওয়ার মগ, পানির বোতল, ফ্লাওয়ার স্ট্যান্ড, বিভিন্ন শোপিসসহ অনেক পণ্য অগোছালোভাবে গোটা রুমে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা। শুধু তা-ই নয়, প্রাচীন যুগ থেকে বাঁশের তৈরি নানা জিনিসপত্রও রয়েছে। এ যেন বাঁশশিল্পের ঐতিহ্য ধরে রাখার লড়াই।
পাশের কক্ষে বাঁশ প্রক্রিয়াজাতকরণের বিভিন্ন মেশিন ও অন্যান্য দেশীয় যন্ত্র দিয়ে কাজ করছেন বেশ কয়েকজন শ্রমিক। তাঁরা জানালেন, এখানে প্রক্রিয়াজাত করার পর সেই বাঁশ মজুরেরা নিয়ে যান। তারপর চাহিদামতো বিভিন্ন জিনিস তৈরি করে সেগুলো তাঁরা হাটবাজারসহ বিভিন্ন মেলায় বিক্রি করেন। এখান থেকে বাঁশের তৈরি পণ্য যায় দেশের বাইরেও। জানা গেল, ইতিমধ্যে দিনাজপুর ও নীলফামারীর তিন শতাধিক নারী ও পুরুষকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বাঁশ দিয়ে নিত্যব্যবহার্য পণ্যের পাশাপাশি সৌখিনপণ্য তৈরির কাজে নিয়োজিত করা হয়েছে।
ব্রীফের কার্যালয় থেকে গেলাম পালপাড়ায়। সেখানে একজন জানালেন, বাঁশ দিয়ে তৈরি সৌখিনপণ্যের বেশ চাহিদা রয়েছে। সেখান থেকে গেলাম নীলফামারী সদর উপজেলার বড়ুয়া গ্রামে। সেখানে দেখা যায়, এখনো কুড়িটির মতো পরিবার বাঁশশিল্পের ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন।
পুলহাটে ব্রীফের কার্যালয়ে ফিরে তাদের বাঁশের চারা উৎপাদন নার্সারি ঘুরে দেখি, সেখানে বিভিন্ন বাঁশের কলম থেকে চারা উৎপাদন করা হচ্ছে। চলছে গবেষণাও। দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মূলত এ গবেষণায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন। হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি-বনায়ন ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শোয়াইবুর রহমান বলেন, সহজলভ্য ও পরিবেশবান্ধব বাঁশ প্রক্রিয়াজাত করে বিভিন্ন সৌখিনপণ্য উৎপাদন করে এ অঞ্চলের বিপুল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান হতে পারে। পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় করাও সম্ভব।
ব্রীফের নির্বাহী পরিচালক শাহ আহসান হাবীব বললেন, বাংলাদেশসহ সার্কের আরও পাঁচটি দেশ—ভারত, ভুটান, নেপাল, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে তাঁদের কার্যক্রম রয়েছে। ব্যাম্বু প্রকল্প নামের এই কর্মসূচির যাত্রা শুরু ২০১৭ সালের মার্চ মাসে সার্ক ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের সহায়তায়। এর উদ্দেশ্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অবহেলিত পেশার লোকেদের জীবনমানের উন্নয়ন। কর্মসূচির আওতায় উন্নত প্রশিক্ষণ, নতুন নতুন পণ্যের নকশাসহ উৎপাদিত পণ্যের দেশ-বিদেশে বিপণনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার গোয়ালডিহি ইউনিয়নের পুলহাট বাজার। পথের ধারে ছোট্ট একটি সাইনবোর্ডে লেখা বাঁশের চারা উৎপাদনকারী নার্সারির নাম। বাঁশ বাংলাদেশের অতি পরিচিত উদ্ভিদ হলেও এর চারা উৎপাদনের কোনো নার্সারি কখনো চোখে পড়েনি। সাইনবোর্ডের নিচে ‘ব্রীফ’ নামের একটি বেসরকারি সংগঠনের (এনজিও) নাম লেখা। এনজিওটি দীর্ঘদিন ধরে দিনাজপুর অঞ্চলে পিছিয়ে পড়া গ্রামীণ মানুষের উন্নয়নে কাজ করছে।
বাঁশের বেড়া ঠেলে ব্রীফের কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে পড়ি। ভেতরে দেখা গেল, সেটি অফিস কাম শোরুম। বিভিন্ন সৌখিনপণ্যে ঠাসা। সব পণ্যই বাঁশের তৈরি। অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকি। কী নেই সেখানে! বাঁশের চেয়ার-টেবিল থেকে শুরু করে কলমদানি, বিভিন্ন রকমের বাহারি ঝাড়বাতি, ফল রাখার ঝুড়ি, টেবিলে ফাইল রাখার ট্রে, ফুলদানি, দেয়ালঘড়ি, টিস্যু বক্স, পানি খাওয়ার মগ, পানির বোতল, ফ্লাওয়ার স্ট্যান্ড, বিভিন্ন শোপিসসহ অনেক পণ্য অগোছালোভাবে গোটা রুমে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা। শুধু তা-ই নয়, প্রাচীন যুগ থেকে বাঁশের তৈরি নানা জিনিসপত্রও রয়েছে। এ যেন বাঁশশিল্পের ঐতিহ্য ধরে রাখার লড়াই।
পাশের কক্ষে বাঁশ প্রক্রিয়াজাতকরণের বিভিন্ন মেশিন ও অন্যান্য দেশীয় যন্ত্র দিয়ে কাজ করছেন বেশ কয়েকজন শ্রমিক। তাঁরা জানালেন, এখানে প্রক্রিয়াজাত করার পর সেই বাঁশ মজুরেরা নিয়ে যান। তারপর চাহিদামতো বিভিন্ন জিনিস তৈরি করে সেগুলো তাঁরা হাটবাজারসহ বিভিন্ন মেলায় বিক্রি করেন। এখান থেকে বাঁশের তৈরি পণ্য যায় দেশের বাইরেও। জানা গেল, ইতিমধ্যে দিনাজপুর ও নীলফামারীর তিন শতাধিক নারী ও পুরুষকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বাঁশ দিয়ে নিত্যব্যবহার্য পণ্যের পাশাপাশি সৌখিনপণ্য তৈরির কাজে নিয়োজিত করা হয়েছে।
ব্রীফের কার্যালয় থেকে গেলাম পালপাড়ায়। সেখানে একজন জানালেন, বাঁশ দিয়ে তৈরি সৌখিনপণ্যের বেশ চাহিদা রয়েছে। সেখান থেকে গেলাম নীলফামারী সদর উপজেলার বড়ুয়া গ্রামে। সেখানে দেখা যায়, এখনো কুড়িটির মতো পরিবার বাঁশশিল্পের ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন।
পুলহাটে ব্রীফের কার্যালয়ে ফিরে তাদের বাঁশের চারা উৎপাদন নার্সারি ঘুরে দেখি, সেখানে বিভিন্ন বাঁশের কলম থেকে চারা উৎপাদন করা হচ্ছে। চলছে গবেষণাও। দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মূলত এ গবেষণায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন। হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি-বনায়ন ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শোয়াইবুর রহমান বলেন, সহজলভ্য ও পরিবেশবান্ধব বাঁশ প্রক্রিয়াজাত করে বিভিন্ন সৌখিনপণ্য উৎপাদন করে এ অঞ্চলের বিপুল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান হতে পারে। পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় করাও সম্ভব।
ব্রীফের নির্বাহী পরিচালক শাহ আহসান হাবীব বললেন, বাংলাদেশসহ সার্কের আরও পাঁচটি দেশ—ভারত, ভুটান, নেপাল, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে তাঁদের কার্যক্রম রয়েছে। ব্যাম্বু প্রকল্প নামের এই কর্মসূচির যাত্রা শুরু ২০১৭ সালের মার্চ মাসে সার্ক ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের সহায়তায়। এর উদ্দেশ্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অবহেলিত পেশার লোকেদের জীবনমানের উন্নয়ন। কর্মসূচির আওতায় উন্নত প্রশিক্ষণ, নতুন নতুন পণ্যের নকশাসহ উৎপাদিত পণ্যের দেশ-বিদেশে বিপণনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৮ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৮ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৮ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫