Ajker Patrika

আমতলী কলেজে ভর্তিতে অতিরিক্ত ফি আদায়

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৭: ৪৫
আমতলী কলেজে ভর্তিতে অতিরিক্ত ফি আদায়

আমতলী সরকারি ডিগ্রি কলেজে একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে অতিরিক্ত টাকা আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুই টাকার ছাপানো ভর্তি ফরমের মূল্য ৫০০ টাকা রাখা হচ্ছে বলে কলেজের ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে। অতিরিক্ত টাকা আদায় বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে তারা।

জানা গেছে, আমতলী সরকারি ডিগ্রি কলেজের ৫৫০ জন নিশ্চায়নকৃত শিক্ষার্থীর একাদশ শ্রেণির ভর্তি ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে। ২৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে। ভর্তিতে কলেজ কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে বলে অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীরা। সরকারিভাবে ভর্তিতে ১ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ ২ হাজার ৬০০ টাকা আদায় করছে। ওই টাকার ২ হাজার ১০০ টাকার ব্যাংক রিসিট দেওয়া হলেও ৫০০ টাকার রিসিট দেওয়া হচ্ছে না। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে, দুই টাকার ছাপানো ভর্তি ফরমে ৫০০ টাকা আদায় করছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। অপরদিকে ২৪ ফেব্রুয়ারি কলেজ কর্তৃপক্ষ ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভর্তির কার্যক্রম শুরু করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভর্তির জন্য তারা ৪ হাজার ২০০ টাকা ধার্য করেছে। অতিরিক্ত টাকা দিয়ে ভর্তিতে অভিভাবকদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। দ্রুত অতিরিক্ত টাকা আদায় বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকেরা।

ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থী স্বজল, স্বর্ণা ও রুবিনা বলে, সরকারিভাবে ভর্তির জন্য ১ হাজার ৫০০ টাকা ধার্য করা হলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ ২ হাজার ৬০০ টাকা আদায় করছে। এর মধ্যে ২ হাজার ১০০ টাকার ব্যাংকের রিসিট দেওয়া হয় বাকি ৫০০ টাকার কোনো রিসিট দিচ্ছে না তারা।

ইসরাত জাহান বলে, দুই টাকার ছাপানো ভর্তি ফরমের দাম নিচ্ছে ৫০০ টাকা। এত টাকা নেওয়া অন্যায়।

মিরাজ বলে, ‘ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভর্তির জন্য এসেছিলাম। এসে জানতে পারলাম ৪ হাজার ২০০ টাকা ধার্য করা হয়েছে। এত টাকা দিয়ে কীভাবে ভর্তি হব তা ভাবছি?’

অভিভাবক মো. লিটন মিয়া বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ ভর্তিতে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে। অনেক অভিভাবকের এত টাকা দিয়ে ভর্তি করতে খুবই কষ্ট হবে। দ্রুত অতিরিক্ত ভর্তি ফি বন্ধের দাবি জানান তিনি।

আমতলী সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক মো. ফজলুল হক বলেন, টিউটর শিক্ষক দিয়ে ক্লাস নিতে হবে। তাই ভর্তির জন্য অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে।

আমতলী সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. হোসেন আহম্মেদ বলেন, ২০১৪ সালের পরিপত্র অনুযায়ী অত্যাবশ্যকীয় ও উন্নয়ন ফি বাবদ কিছু টাকা নেওয়া হচ্ছে। টিউটর শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ব্যাজ আইডি কার্ড বাবদ ৫০০ টাকা নেওয়া হয়।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে ঘটনার সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক ড. মো. লিয়াকত হোসেন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ­

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফোন-ইন্টারনেট ভাতা পাচ্ছেন মাঠ প্রশাসনের সব কর্মচারী

ভাড়া বাড়িতে চলা ১৬ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিসহ সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ

পিপির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব ৪৯ জন সহকারী পিপির

জোবাইদার নিরাপত্তার নামে প্রতিবেশীদের বিরক্ত না করার নির্দেশ তারেক রহমানের

শান্ত যে কারণে টি-টোয়েন্টি দলে, মিরাজ কেন নেই

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত