সম্পাদকীয়
এসএসসি পরীক্ষায় সবচেয়ে খারাপ হলো বাংলা। ভাবসম্প্রসারণ যা দেওয়া হয়েছিল, সেটা নোট বইয়ে যেভাবে লেখা আছে তার বিপরীত জায়গা থেকে তুলে ধরেছেন সাঈদ হায়দার। এখন নম্বর যদি কম পান, তাহলে ডাক্তারি পড়া হয়ে উঠবে না।
অস্থির হয়ে আছেন তিনি। মা যখন ছেলের অস্থিরতা বুঝতে পারলেন, তখন বাবাকে বলে কলকাতা যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিলেন। সঙ্গে দিলেন বাল্যবন্ধু ড. রাধা বিনোদ পালকে একটি চিঠি লিখে। ড. পাল তখন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
চিঠিতে শুধু কুশল সংবাদ ছিল। পরীক্ষার ব্যাপার-স্যাপার ছিল না। তাই রাধা বিনোদ পাল বা সাঈদ হায়দারের কাকাবাবুর বিডেন স্ট্রিটের বাসভবনে গিয়ে যখন হাজির হলেন সাঈদ হায়দার, তখন বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে সংকোচ হচ্ছিল তাঁর। কথাবার্তা বলে ওপরে পাঠিয়ে দিলেন কাকিমার কাছে। সেখানে জুটল লুচি-তরকারি আর মিষ্টান্ন। আবার ড. পাল বা কাকাবাবুর কাছে ফিরে এলে তিনি পড়াশোনার বিষয়ে যখন জিজ্ঞেস করলেন, তখন সবিস্তারে সংকটের কথা জানালেন সাঈদ হায়দার। বাবু খগেন্দ্রনাথ মিত্রের হাতে ছিল সাঈদ হায়দারের খাতা। কাকাবাবু কিছুদিন আগে এক্সামিনারদের সভায় বলেছিলেন, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা বদনাম আছে—পরীক্ষকেরা আগাম ফল বলে দেন। সেটা বন্ধ করা দরকার।
সাঈদ হায়দারের বিষয়টি যাচাই করতে গেলে পরীক্ষা হয়ে যাবে, শিক্ষকেরা তাঁর পরামর্শ মেনে চলেন কি না। নির্দেশ মানা হলে নম্বর আগাম জানতে পারবেন না, নির্দেশ মানা না হলে সাঈদ হায়দার জেনে যাবেন বাংলায় তিনি কত পেয়েছেন।
দুদিনের মধ্যে সেই ফল জানতে না পেরে মন খারাপ করে বাড়ি ফিরে এসেছেন সাঈদ হায়দার। এরপর মেজদা কলকাতায় থেকে সাত দিন পর খবর পাঠালেন, ‘পাস করেছ প্রথম বিভাগে।’
মনের আশা পূর্ণ হবে এবার!তবে এটাও বোঝা গেল, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা পরীক্ষার আগে তখনো রেজাল্ট ফাঁস করে দিতেন।
সূত্র: ডা. সাঈদ হায়দার, পিছু ফিরে দেখা, পৃষ্ঠা ১৮৬-১৮৮
এসএসসি পরীক্ষায় সবচেয়ে খারাপ হলো বাংলা। ভাবসম্প্রসারণ যা দেওয়া হয়েছিল, সেটা নোট বইয়ে যেভাবে লেখা আছে তার বিপরীত জায়গা থেকে তুলে ধরেছেন সাঈদ হায়দার। এখন নম্বর যদি কম পান, তাহলে ডাক্তারি পড়া হয়ে উঠবে না।
অস্থির হয়ে আছেন তিনি। মা যখন ছেলের অস্থিরতা বুঝতে পারলেন, তখন বাবাকে বলে কলকাতা যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিলেন। সঙ্গে দিলেন বাল্যবন্ধু ড. রাধা বিনোদ পালকে একটি চিঠি লিখে। ড. পাল তখন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
চিঠিতে শুধু কুশল সংবাদ ছিল। পরীক্ষার ব্যাপার-স্যাপার ছিল না। তাই রাধা বিনোদ পাল বা সাঈদ হায়দারের কাকাবাবুর বিডেন স্ট্রিটের বাসভবনে গিয়ে যখন হাজির হলেন সাঈদ হায়দার, তখন বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে সংকোচ হচ্ছিল তাঁর। কথাবার্তা বলে ওপরে পাঠিয়ে দিলেন কাকিমার কাছে। সেখানে জুটল লুচি-তরকারি আর মিষ্টান্ন। আবার ড. পাল বা কাকাবাবুর কাছে ফিরে এলে তিনি পড়াশোনার বিষয়ে যখন জিজ্ঞেস করলেন, তখন সবিস্তারে সংকটের কথা জানালেন সাঈদ হায়দার। বাবু খগেন্দ্রনাথ মিত্রের হাতে ছিল সাঈদ হায়দারের খাতা। কাকাবাবু কিছুদিন আগে এক্সামিনারদের সভায় বলেছিলেন, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা বদনাম আছে—পরীক্ষকেরা আগাম ফল বলে দেন। সেটা বন্ধ করা দরকার।
সাঈদ হায়দারের বিষয়টি যাচাই করতে গেলে পরীক্ষা হয়ে যাবে, শিক্ষকেরা তাঁর পরামর্শ মেনে চলেন কি না। নির্দেশ মানা হলে নম্বর আগাম জানতে পারবেন না, নির্দেশ মানা না হলে সাঈদ হায়দার জেনে যাবেন বাংলায় তিনি কত পেয়েছেন।
দুদিনের মধ্যে সেই ফল জানতে না পেরে মন খারাপ করে বাড়ি ফিরে এসেছেন সাঈদ হায়দার। এরপর মেজদা কলকাতায় থেকে সাত দিন পর খবর পাঠালেন, ‘পাস করেছ প্রথম বিভাগে।’
মনের আশা পূর্ণ হবে এবার!তবে এটাও বোঝা গেল, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা পরীক্ষার আগে তখনো রেজাল্ট ফাঁস করে দিতেন।
সূত্র: ডা. সাঈদ হায়দার, পিছু ফিরে দেখা, পৃষ্ঠা ১৮৬-১৮৮
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৫ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৫ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৫ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫