Ajker Patrika

সাজা কমল ৫ শিক্ষার্থীর

খুবি প্রতিনিধি
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২১, ১২: ০৯
সাজা কমল ৫ শিক্ষার্থীর

খুবির বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের রাতভর শারীরিক নির্যাতন, গালাগাল ও নির্যাতনে উসকানি দেওয়ার ঘটনায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্থীর সাজা কমিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শাস্তিপ্রাপ্ত ৫ শীক্ষার্থীর সবাই খুবির ইংরেজি ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী। গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-বিষয়ক পরিচালক ও শৃঙ্খলা বোর্ডের সদস্যসচিব শরীফ হাসান লিমন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, র‍্যাগিংয়ের দায়ে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর ওই পাঁচ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মেয়াদের শাস্তিমূলক ব্যবস্থার নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এ ঘটনায় ইংরেজি ডিসিপ্লিনের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মশিউর রহমান রাজা এবং রাজবর্মণ বিধানকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়া ঘটনার সময় উপস্থিত থেকে নির্যাতনে উসকানি দেওয়ার দায়ে একই ডিসিপ্লিনের মিনহাজ উর রহমানকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার, সাবেরুল বাশার নীরবের এক বছরের জন্য সার্টিফিকেট স্থগিত এবং ফাহাদ রহমান অঝোরকে অভিভাবকসহ মুচলেকা দেওয়ার শর্তে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

কিন্তু গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক ও শৃঙ্খলা বোর্ডের সদস্যসচিব অধ্যাপক মো. শরীফ হাসান লিমন জানান, ওই ৫ শিক্ষার্থীর শাস্তি কমানো হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মশিউর রহমান রাজা এবং রাজবর্মণ বিধানের সার্টিফিকেট ৬ মাসের জন্য স্থগিত করার পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া মিনহাজ উর রহমান ও সাবেরুল বাশার নীরবের সার্টিফিকেট ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। একই অভিযোগে আরেক শিক্ষার্থী ফাহাদ রহমান অঝোরকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

অধ্যাপক মো. শরীফ হাসান লিমন আরও জানান, শাস্তির বিষয়ে সাজাপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা নিয়মানুযায়ী একাডেমিক কাউন্সিলে আপিল করতে পারবেন।

এদিকে সাজাপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী মন্দির রহমান রাজা বলেন, ‘আমাদের পাঁচজনকে যে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে এটা আমরা বুধবারে জানতে পেরেছি। এখন তো সবাই ক্যাম্পাসে নেই, সবাই আসলে আমরা একাডেমিক কাউন্সিলে আপিলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।’

আরেক সাজাপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী ফাহাদ রহমান অঝোর বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। আমি ঘটনার দিন উপস্থিত ছিলাম না। এমনকি হল কর্তৃপক্ষের তদন্তে আমি নিরপরাধ প্রমাণ হওয়ায় আমার হলের সিটও বাতিল করা হয়নি। আমি একাডেমিক কাউন্সিলে আপিল করব। আমি ন্যায়বিচার চাই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত