সম্পাদকীয়
জাপানে গিয়েছিলেন আনিসুজ্জামান। বেশ ছিলেন। সম্মেলনের বিভিন্ন সেশনে উপস্থিত থেকেছেন। একসময় সাঙ্গ হলো সম্মেলন। এবার ফেরার পালা। শ্যালক আজিজ অনুরোধ করেছিলেন, টোকিওর এক বিশেষ দোকান থেকে তাঁর জন্য যেন একটা টাই কিনে আনা হয়। শ্যালকের অনুরোধ রক্ষার জন্য সকালবেলায় মেট্রোতে করে সেই জায়গায় এসে টাই কিনলেন আনিসুজ্জামান। হাতে ছিল ইংরেজিতে লেখা নির্দেশিকা, যা দেখে দেখে এখানে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই দোকানেই ভুলে ফেলে গেলেন নির্দেশিকা। এবার ঠিক জায়গায় ফিরবেন কী করে, তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে উঠলেন তিনি।
টোকিওতে ইংরেজিতে কোনো সাইনবোর্ড নেই, যা লেখা বা যে ছবি আঁকা আছে, তা-ও জাপানি ভাষায়। এখন যদি ঠিক জায়গায় না নামেন, তাহলে তো বিপদ! কী করা যায়! এ সময় এক মেয়েকে দেখলেন, যাকে দেখে মনে হলো মার্কিন। সাহস করে তার কাছে গিয়ে ইংরেজিতে জিজ্ঞেস করলেন তাঁর গন্তব্য সম্পর্কে কোনো ধারণা দিতে পারে কি না। সেই মেয়ে বাতলে দিল পথ।
সন্ধ্যায় আনিসুজ্জামানের ফ্লাইট ছিল হংকংয়ের। প্যানাম এয়ারওয়েজে। যে দুজন বিমানের দরজায় দাঁড়িয়ে অভ্যর্থনা জানাচ্ছিল, তাদের একজন বলে উঠল, ‘তুমি কি আজ সকালে মেট্রোতে অমুক স্টেশনের দিকে যাচ্ছিলে?’
আনিসুজ্জামান বললেন, ‘তুমিই কি আমার সেই উদ্ধারকারিণী?’
মেয়েটি হেসে বলল, ‘হ্যাঁ।’
মেয়েটি ইউনিফর্মে আছে বলে আনিসুজ্জামান চিনতে পারেননি। মেয়েটি বলল, ‘বিমান ছাড়লে ফের দেখা হবে।’
বিমান ছাড়ার পর সত্যিই মেয়েটি এসে কিছু লাগবে কি না, জানতে চাইল। আনিসুজ্জামান বললেন, ‘এই কেবিনে তোমার ডিউটি থাকলে আমার ভালো লাগত।’
মেয়েটি বললেন, ‘বিমান নামার আগে আবার আসব।’
সত্যিই সে এল। জানতে চাইল, কোন হোটেলে উঠেছেন আনিসুজ্জামান। ক্ষণিকের এই অতিথির সংস্পর্শে এসে মুগ্ধ হয়েছিলেন তিনি। হোটেলে পৌঁছে ভেবেছিলেন, ওকে একবার ফোন করবেন। পরক্ষণেই রবীন্দ্রনাথের পোস্টমাস্টারের সেই প্রশ্নটিই সামনে এল আনিসুজ্জামানের, ‘পৃথিবীতে কে কাহার?’
সূত্র: আনিসুজ্জামান, বিপুলা পৃথিবী, পৃষ্ঠা ৩৩৭–৩৩৮
জাপানে গিয়েছিলেন আনিসুজ্জামান। বেশ ছিলেন। সম্মেলনের বিভিন্ন সেশনে উপস্থিত থেকেছেন। একসময় সাঙ্গ হলো সম্মেলন। এবার ফেরার পালা। শ্যালক আজিজ অনুরোধ করেছিলেন, টোকিওর এক বিশেষ দোকান থেকে তাঁর জন্য যেন একটা টাই কিনে আনা হয়। শ্যালকের অনুরোধ রক্ষার জন্য সকালবেলায় মেট্রোতে করে সেই জায়গায় এসে টাই কিনলেন আনিসুজ্জামান। হাতে ছিল ইংরেজিতে লেখা নির্দেশিকা, যা দেখে দেখে এখানে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই দোকানেই ভুলে ফেলে গেলেন নির্দেশিকা। এবার ঠিক জায়গায় ফিরবেন কী করে, তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে উঠলেন তিনি।
টোকিওতে ইংরেজিতে কোনো সাইনবোর্ড নেই, যা লেখা বা যে ছবি আঁকা আছে, তা-ও জাপানি ভাষায়। এখন যদি ঠিক জায়গায় না নামেন, তাহলে তো বিপদ! কী করা যায়! এ সময় এক মেয়েকে দেখলেন, যাকে দেখে মনে হলো মার্কিন। সাহস করে তার কাছে গিয়ে ইংরেজিতে জিজ্ঞেস করলেন তাঁর গন্তব্য সম্পর্কে কোনো ধারণা দিতে পারে কি না। সেই মেয়ে বাতলে দিল পথ।
সন্ধ্যায় আনিসুজ্জামানের ফ্লাইট ছিল হংকংয়ের। প্যানাম এয়ারওয়েজে। যে দুজন বিমানের দরজায় দাঁড়িয়ে অভ্যর্থনা জানাচ্ছিল, তাদের একজন বলে উঠল, ‘তুমি কি আজ সকালে মেট্রোতে অমুক স্টেশনের দিকে যাচ্ছিলে?’
আনিসুজ্জামান বললেন, ‘তুমিই কি আমার সেই উদ্ধারকারিণী?’
মেয়েটি হেসে বলল, ‘হ্যাঁ।’
মেয়েটি ইউনিফর্মে আছে বলে আনিসুজ্জামান চিনতে পারেননি। মেয়েটি বলল, ‘বিমান ছাড়লে ফের দেখা হবে।’
বিমান ছাড়ার পর সত্যিই মেয়েটি এসে কিছু লাগবে কি না, জানতে চাইল। আনিসুজ্জামান বললেন, ‘এই কেবিনে তোমার ডিউটি থাকলে আমার ভালো লাগত।’
মেয়েটি বললেন, ‘বিমান নামার আগে আবার আসব।’
সত্যিই সে এল। জানতে চাইল, কোন হোটেলে উঠেছেন আনিসুজ্জামান। ক্ষণিকের এই অতিথির সংস্পর্শে এসে মুগ্ধ হয়েছিলেন তিনি। হোটেলে পৌঁছে ভেবেছিলেন, ওকে একবার ফোন করবেন। পরক্ষণেই রবীন্দ্রনাথের পোস্টমাস্টারের সেই প্রশ্নটিই সামনে এল আনিসুজ্জামানের, ‘পৃথিবীতে কে কাহার?’
সূত্র: আনিসুজ্জামান, বিপুলা পৃথিবী, পৃষ্ঠা ৩৩৭–৩৩৮
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৫ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৫ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৫ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫