রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি
নরসিংদীর রায়পুরায় ধানখেত থেকে রুনা বেগম (২৫) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলার মরজাল ইউনিয়নের চরমরজাল গ্রাম থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় রুনার ডান পা ভাঙা ও ডান চোখ উপড়ানো ছিল।
নিহত রুনা বেগম একই এলাকার মোসলেম উদ্দিন ভূঁইয়ার মেয়ে এবং একই গ্রামের খোরশেদ প্রধানের ছেলে সৌদিপ্রবাসী আবুল কালামের স্ত্রী। রুনার তিন সন্তান রয়েছে। তাদের মধ্যে বড় ছেলে প্রতিবন্ধী বলে জানা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সকালে মরজাল ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চর মরজাল উত্তরপাড়ার কৃষক ইব্রাহীম মিয়ার ধানখেতে শ্রমিকেরা ধান কাটতে গিয়ে এক নারীর লাশ দেখে এলাকাবাসীকে খবর দেন। খবর পেয়ে নিহতের স্বজনেরা পরিচয় নিশ্চিত করেন। এদিকে খবর পেয়ে রায়পুরা সার্কেলের এএসপি ও রায়পুরা থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহতের বোন শান্তি বেগম জানান, গত সোমবার রাত আটটায় খাবার খেয়ে চর মরজাল উত্তরপাড়া গ্রামে মামার বাড়ি যাওয়ার কথা বলে বের হন রুনা। ওই রাতে আর বাড়ি ফেরেননি তাঁর বোন। পরে মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় এক কৃষক ইব্রাহীম খবর দেন, তাঁর জমিতে এক নারীর লাশ পড়ে আছে। খবর পেয়ে তাঁরা গিয়ে লাশটি শনাক্ত করেন। এ সময় রুনার পরনে লাল রঙের থ্রিপিস ছিল। এ ছাড়া ডান পা ভাঙা ও ডান চোখ উপড়ানো ছিল।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে একই গ্রামের রুনা বেগম ও আবুল কালাম প্রেম করে বিয়ে করেন। বিয়ের পর ছেলের পরিবারের লোকজন প্রথম অবস্থায় রুনাকে মেনে না নিলেও পরে উভয় পরিবার মেনে নেয়। ১২ বছরের সংসারে তাঁদের এক প্রতিবন্ধী ছেলে ও দুই মেয়ের জন্ম হয়। চার বছর আগে শ্বশুরবাড়ির টাকায় সৌদি আরবে যান কালাম।
এর আগে বাবার বাড়ির ধার শোধ করতে প্রবাসী স্বামীকে ফোন করলে কালাম জানিয়েছিলেন, তাঁকে ডিভোর্স দিলেই মিলবে টাকা। স্বামী আবুল কালাম প্রায়ই রুনাকে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিতেন। একপর্যায়ে রুনা জানতে পারেন, তাঁকে ডিভোর্স না দিয়েই তাঁর স্বামী একই ইউনিয়নের ফুলদি গ্রামের হোসেন মিয়ার মেয়ে হাফেজাকে বিয়ে করেছেন। এ নিয়ে স্বামী আবুল কালামের সঙ্গে ঝগড়া শুরু হয় রুনার। একপর্যায়ে কালাম রুনাকে খুন করার হুমকি দেন। এ ঘটনায় রুনার পরিবার কালামসহ পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা করে।
বোন শান্তি বেগম আরও জানান, কালাম বিদেশে যাওয়ার ছয় মাসের মাথায় ডিভোর্সের জন্য স্ত্রীকে চাপ দিতে থাকেন। তাতে রাজি না হয়ে তিন সন্তান নিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসেন রুনা। এর জের ধরে রুনাকে তিনি প্রাণনাশের হুমকিও দিয়ে আসছিলেন।
তবে রুনার শাশুড়ি চেহারা বেগম বলেন, ছেলে বিদেশে যাওয়ার ছয় মাস পর তিন সন্তান নিয়ে পুত্রবধূ তাঁর বাবার বাড়ি চলে যান। এরপর তাঁদের মধ্যে কী ঘটেছে, কিছুই জানেন না তিনি।
এ বিষয়ে রায়পুরা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) গোবিন্দ সরকার জানান, রুনা বেগমের লাশ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। লিখিত অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
নরসিংদীর রায়পুরায় ধানখেত থেকে রুনা বেগম (২৫) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলার মরজাল ইউনিয়নের চরমরজাল গ্রাম থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় রুনার ডান পা ভাঙা ও ডান চোখ উপড়ানো ছিল।
নিহত রুনা বেগম একই এলাকার মোসলেম উদ্দিন ভূঁইয়ার মেয়ে এবং একই গ্রামের খোরশেদ প্রধানের ছেলে সৌদিপ্রবাসী আবুল কালামের স্ত্রী। রুনার তিন সন্তান রয়েছে। তাদের মধ্যে বড় ছেলে প্রতিবন্ধী বলে জানা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সকালে মরজাল ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চর মরজাল উত্তরপাড়ার কৃষক ইব্রাহীম মিয়ার ধানখেতে শ্রমিকেরা ধান কাটতে গিয়ে এক নারীর লাশ দেখে এলাকাবাসীকে খবর দেন। খবর পেয়ে নিহতের স্বজনেরা পরিচয় নিশ্চিত করেন। এদিকে খবর পেয়ে রায়পুরা সার্কেলের এএসপি ও রায়পুরা থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহতের বোন শান্তি বেগম জানান, গত সোমবার রাত আটটায় খাবার খেয়ে চর মরজাল উত্তরপাড়া গ্রামে মামার বাড়ি যাওয়ার কথা বলে বের হন রুনা। ওই রাতে আর বাড়ি ফেরেননি তাঁর বোন। পরে মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় এক কৃষক ইব্রাহীম খবর দেন, তাঁর জমিতে এক নারীর লাশ পড়ে আছে। খবর পেয়ে তাঁরা গিয়ে লাশটি শনাক্ত করেন। এ সময় রুনার পরনে লাল রঙের থ্রিপিস ছিল। এ ছাড়া ডান পা ভাঙা ও ডান চোখ উপড়ানো ছিল।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে একই গ্রামের রুনা বেগম ও আবুল কালাম প্রেম করে বিয়ে করেন। বিয়ের পর ছেলের পরিবারের লোকজন প্রথম অবস্থায় রুনাকে মেনে না নিলেও পরে উভয় পরিবার মেনে নেয়। ১২ বছরের সংসারে তাঁদের এক প্রতিবন্ধী ছেলে ও দুই মেয়ের জন্ম হয়। চার বছর আগে শ্বশুরবাড়ির টাকায় সৌদি আরবে যান কালাম।
এর আগে বাবার বাড়ির ধার শোধ করতে প্রবাসী স্বামীকে ফোন করলে কালাম জানিয়েছিলেন, তাঁকে ডিভোর্স দিলেই মিলবে টাকা। স্বামী আবুল কালাম প্রায়ই রুনাকে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিতেন। একপর্যায়ে রুনা জানতে পারেন, তাঁকে ডিভোর্স না দিয়েই তাঁর স্বামী একই ইউনিয়নের ফুলদি গ্রামের হোসেন মিয়ার মেয়ে হাফেজাকে বিয়ে করেছেন। এ নিয়ে স্বামী আবুল কালামের সঙ্গে ঝগড়া শুরু হয় রুনার। একপর্যায়ে কালাম রুনাকে খুন করার হুমকি দেন। এ ঘটনায় রুনার পরিবার কালামসহ পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা করে।
বোন শান্তি বেগম আরও জানান, কালাম বিদেশে যাওয়ার ছয় মাসের মাথায় ডিভোর্সের জন্য স্ত্রীকে চাপ দিতে থাকেন। তাতে রাজি না হয়ে তিন সন্তান নিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসেন রুনা। এর জের ধরে রুনাকে তিনি প্রাণনাশের হুমকিও দিয়ে আসছিলেন।
তবে রুনার শাশুড়ি চেহারা বেগম বলেন, ছেলে বিদেশে যাওয়ার ছয় মাস পর তিন সন্তান নিয়ে পুত্রবধূ তাঁর বাবার বাড়ি চলে যান। এরপর তাঁদের মধ্যে কী ঘটেছে, কিছুই জানেন না তিনি।
এ বিষয়ে রায়পুরা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) গোবিন্দ সরকার জানান, রুনা বেগমের লাশ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। লিখিত অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৭ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৭ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৭ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫