শাহ আলম, আলীকদম (বান্দরবান)
প্রকৃতির এমন কিছু রহস্য থাকে, যা কখনো ভেদ করা যায় না। তেমনি রহস্যঘেরা ঐতিহাসিক ‘আলীর গুহা’। বিশাল একটি পাহাড় মাঝখানে দুই ভাগ হয়ে গেছে। সে পাহাড়ের তিনটি গুহা কীভাবে সৃষ্টি হলো, সেই রহস্যের জাল এখনো কেউ ভেদ করতে পারেনি। রহস্যময় এবং দৃষ্টিনন্দন স্থানটি বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় অবস্থিত। প্রকৃতির সুধা পান করতে প্রতিদিন দেশের নানা প্রান্ত থেকে হাজারো পর্যটক এ গুহা দেখতে আসেন।
আলীকদম সদর থেকে ৪ কিলোমিটার পূর্বে আলীর গুহাকে স্থানীয়রা ‘আলীর সুড়ঙ্গ’ নামে চেনে। ঐতিহাসিক বিবেচনায় আলীর গুহাকে পুরাকীর্তির মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। নামকরণের সঠিক কোনো তথ্য কারও জানা নেই। দুই পাশে আলীর পাহাড়, মাঝে ঝিরিপথে গুহায় যেতে হয়। পথটি পিচ্ছিল। আর এর ঠান্ডা আবহাওয়া বেশ উপভোগ্য। গ্রীষ্মের ৪০ ডিগ্রির সেলসিয়াস তাপমাত্রা হলেও ঝিরিতে থাকবে মাত্র ১৮ ডিগ্রির আশপাশে। ঝিরিপথে ১৫ মিনিট হাঁটার পর আলীর গুহার ১ নম্বর সুড়ঙ্গটির দেখা মিলবে।
গুহার পাহাড়ে ওঠা বেশ কষ্টকর। পাথরবেষ্টিত গুহায় কিছুদিন আগেও উঠতে হলে দড়ি বা পাহাড়ের লতা ধরে ধীরে ধীরে উঠতে হতো। পর্যটকদের সমস্যার সমাধানে আলীকদম সেনা জোনের উদ্যোগে তিনটি সিঁড়ি স্থাপন করা হয়েছে। ফলে বড় কোনো সমস্যা হয় না। অনায়াসেই যাওয়া যায়। দেখতে অনেকটা ভয়ংকর পাহাড়ের মাঝখানের গুহাটি প্রায় ১০০ ফুট লম্বা। পাশেই আরও দুটি গুহা রয়েছে।
২ নম্বর সুড়ঙ্গটি পাহাড়ের একপাশ থেকে ভেদ করে অপর পাশে বের হয়েছে। ভেতরে অন্ধকার, টর্চলাইট বা আগুনের মশাল নিয়ে প্রবেশ করতে হয়। প্রথম দিকে গুহামুখ খুবই ছোট। একজনের বেশি একসঙ্গে প্রবেশ করা যায় না। কিন্তু ২০ ফুট যেতেই দেখা মিলবে বিশাল গুহাপথ। ছোটবড় চাপা বাদুড় থেকে সতর্ক থাকতে হবে। এরা এদিক থেকে ওদিক উড়ে যাওয়ার সময় ভয় হতে পারে। তবে কারও ক্ষতি করে না। গুহাটির দেয়াল ঘেমে ভেতরে পথ পিচ্ছিল হয়ে থাকে। অন্ধকারে দেখে পা ফেলতে হয়। না হলে বিপদ।
আলীকদম নামের সঙ্গে আলীর গুহার নামটির বেশ মিল। আলীর গুহার রহস্য নিয়ে নানা উপকথা প্রচলিত আছে। রাতে এই গুহায় কেউ থেকেছে—এমন নজির নেই। স্থানীয়দের মধ্যে একটি কথা প্রচলিত আছে, রাত হলেই নাকি গুহার দৃশ্যপট পাল্টে যায়। অজানা মেয়েদের কণ্ঠ ভেসে আসে গুহার ভেতর থেকে। রহস্যময় সাদা আলো বের হতে দেখেছে বলেও প্রচলিত আছে লোকমুখে। পার্বত্য আলীকদম উপজেলার ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে আলীকদম প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক মমতাজ উদ্দিন আহমদ তাঁর ‘গিরিনন্দিনী আলীকদম’ বইয়ে আলীর সুড়ঙ্গ নিয়ে একটি চমৎকার রূপকথা উল্লেখ করেছেন। যেখানে রয়েছে এক কাঠুরিয়া আর এক ডাইনির ভয়ানক গল্প।
তবে আলীর গুহার ভেতর এমন কোনো অলৌকিক ঘটনার সম্মুখীন হয়নি কেউ। এ উপজেলায় আলীর গুহার মতো আরও অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এসব দর্শনীয় স্থানে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে তেমন পর্যটন স্থাপনা গড়ে ওঠেনি। আলীকদম উপজেলাকে পর্যটনবান্ধব করে গড়ে তুললে এখানকার আর্থসামাজিক দৃশ্য পাল্টে যাবে।
প্রকৃতির এমন কিছু রহস্য থাকে, যা কখনো ভেদ করা যায় না। তেমনি রহস্যঘেরা ঐতিহাসিক ‘আলীর গুহা’। বিশাল একটি পাহাড় মাঝখানে দুই ভাগ হয়ে গেছে। সে পাহাড়ের তিনটি গুহা কীভাবে সৃষ্টি হলো, সেই রহস্যের জাল এখনো কেউ ভেদ করতে পারেনি। রহস্যময় এবং দৃষ্টিনন্দন স্থানটি বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় অবস্থিত। প্রকৃতির সুধা পান করতে প্রতিদিন দেশের নানা প্রান্ত থেকে হাজারো পর্যটক এ গুহা দেখতে আসেন।
আলীকদম সদর থেকে ৪ কিলোমিটার পূর্বে আলীর গুহাকে স্থানীয়রা ‘আলীর সুড়ঙ্গ’ নামে চেনে। ঐতিহাসিক বিবেচনায় আলীর গুহাকে পুরাকীর্তির মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। নামকরণের সঠিক কোনো তথ্য কারও জানা নেই। দুই পাশে আলীর পাহাড়, মাঝে ঝিরিপথে গুহায় যেতে হয়। পথটি পিচ্ছিল। আর এর ঠান্ডা আবহাওয়া বেশ উপভোগ্য। গ্রীষ্মের ৪০ ডিগ্রির সেলসিয়াস তাপমাত্রা হলেও ঝিরিতে থাকবে মাত্র ১৮ ডিগ্রির আশপাশে। ঝিরিপথে ১৫ মিনিট হাঁটার পর আলীর গুহার ১ নম্বর সুড়ঙ্গটির দেখা মিলবে।
গুহার পাহাড়ে ওঠা বেশ কষ্টকর। পাথরবেষ্টিত গুহায় কিছুদিন আগেও উঠতে হলে দড়ি বা পাহাড়ের লতা ধরে ধীরে ধীরে উঠতে হতো। পর্যটকদের সমস্যার সমাধানে আলীকদম সেনা জোনের উদ্যোগে তিনটি সিঁড়ি স্থাপন করা হয়েছে। ফলে বড় কোনো সমস্যা হয় না। অনায়াসেই যাওয়া যায়। দেখতে অনেকটা ভয়ংকর পাহাড়ের মাঝখানের গুহাটি প্রায় ১০০ ফুট লম্বা। পাশেই আরও দুটি গুহা রয়েছে।
২ নম্বর সুড়ঙ্গটি পাহাড়ের একপাশ থেকে ভেদ করে অপর পাশে বের হয়েছে। ভেতরে অন্ধকার, টর্চলাইট বা আগুনের মশাল নিয়ে প্রবেশ করতে হয়। প্রথম দিকে গুহামুখ খুবই ছোট। একজনের বেশি একসঙ্গে প্রবেশ করা যায় না। কিন্তু ২০ ফুট যেতেই দেখা মিলবে বিশাল গুহাপথ। ছোটবড় চাপা বাদুড় থেকে সতর্ক থাকতে হবে। এরা এদিক থেকে ওদিক উড়ে যাওয়ার সময় ভয় হতে পারে। তবে কারও ক্ষতি করে না। গুহাটির দেয়াল ঘেমে ভেতরে পথ পিচ্ছিল হয়ে থাকে। অন্ধকারে দেখে পা ফেলতে হয়। না হলে বিপদ।
আলীকদম নামের সঙ্গে আলীর গুহার নামটির বেশ মিল। আলীর গুহার রহস্য নিয়ে নানা উপকথা প্রচলিত আছে। রাতে এই গুহায় কেউ থেকেছে—এমন নজির নেই। স্থানীয়দের মধ্যে একটি কথা প্রচলিত আছে, রাত হলেই নাকি গুহার দৃশ্যপট পাল্টে যায়। অজানা মেয়েদের কণ্ঠ ভেসে আসে গুহার ভেতর থেকে। রহস্যময় সাদা আলো বের হতে দেখেছে বলেও প্রচলিত আছে লোকমুখে। পার্বত্য আলীকদম উপজেলার ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে আলীকদম প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক মমতাজ উদ্দিন আহমদ তাঁর ‘গিরিনন্দিনী আলীকদম’ বইয়ে আলীর সুড়ঙ্গ নিয়ে একটি চমৎকার রূপকথা উল্লেখ করেছেন। যেখানে রয়েছে এক কাঠুরিয়া আর এক ডাইনির ভয়ানক গল্প।
তবে আলীর গুহার ভেতর এমন কোনো অলৌকিক ঘটনার সম্মুখীন হয়নি কেউ। এ উপজেলায় আলীর গুহার মতো আরও অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এসব দর্শনীয় স্থানে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে তেমন পর্যটন স্থাপনা গড়ে ওঠেনি। আলীকদম উপজেলাকে পর্যটনবান্ধব করে গড়ে তুললে এখানকার আর্থসামাজিক দৃশ্য পাল্টে যাবে।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫