আলাউদ্দিন আল আজাদ
একুশে ফেব্রুয়ারির ভয়াবহ গুলিবর্ষণে অন্য অনেকের মতোই হতভম্ব হয়ে যান আলাউদ্দিন আল আজাদ। তিনি তখন অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। হাসান হাফিজুর রহমান ও মুস্তাফা নূরউল ইসলাম পত্রিকার কাগজের মতো বড় একটা পৃষ্ঠায় কয়েকটি লেখা তৈরি করেন। আরও দু-একজনের লেখা ছিল সেখানে। একুশে ফেব্রুয়ারি বিকেল থেকেই আলাউদ্দিন আল আজাদ সেই বুলেটিনের কাজের জন্য প্রেসে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। পাইওনিয়ার প্রেসের জনাব মোহাইমেন ও তাঁর ছোট ভাই ছাপাখানার কাজে খুব সাহায্য করেন। প্রেসের ভেতরে একটি বড় টেবিল ও কাগজ দিয়ে তাঁদের লেখার সুযোগ করে দেন এবং সেই বুলেটিন বিনে পয়সায় ছাপিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।
বুলেটিন ছাপা হয়েছিল বড় কাগজের এক পৃষ্ঠায়। আলাউদ্দিন আল আজাদ তাতে একটি দীর্ঘ লেখা লিখেছিলেন, যে লেখায় ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চের ধর্মঘট, ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের আইনসভার ভাষণ থেকে শুরু করে একুশের হত্যাকাণ্ড পর্যন্ত আলোচনা করেছিলেন। দীর্ঘ লেখায় নুরুল আমিন সরকারের সমালোচনা ছিল। এই লেখার শিরোনাম তিনি দিয়েছিলেন ‘বিপ্লবের কোদাল দিয়ে আমরা অত্যাচারী শাসকগোষ্ঠীর কবর রচনা করব।’
রাত ১২টার সময় প্রেস থেকে বুলেটিনের ৩০০ কপি নিয়ে আসেন তাঁরা। পরে আরও কপি ছাপা হয়। রাতেই সেই ৩০০ কপি বিলি করে ফেলেন আলাউদ্দিন আল আজাদ ও তাঁর বন্ধুরা।
বিলি করা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও পলাশী ব্যারাক এলাকায়। সে রাতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর বেষ্টনী সত্ত্বেও অসংখ্য মানুষ দেখতে গিয়েছিল গুলিবর্ষণের এলাকাটি। একুশের রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ঘুমায়নি।
আলাউদ্দিন আল আজাদের ‘স্মৃতিস্তম্ভ’ নামের কবিতাটি অমর হয়ে আছে। যার প্রথম পঙ্ক্তি ‘স্মৃতির মিনার ভেঙেছে তোমার, ভয় কি বন্ধু? আমরা এখনো চারকোটি পরিবার, খাড়া রয়েছি তো’! কবিতাটি তিনি লিখেছিলেন ১৯৫২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি।
সূত্র: এম আর মাহবুব সম্পাদিত ভাষাসংগ্রামের স্মৃতি
একুশে ফেব্রুয়ারির ভয়াবহ গুলিবর্ষণে অন্য অনেকের মতোই হতভম্ব হয়ে যান আলাউদ্দিন আল আজাদ। তিনি তখন অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। হাসান হাফিজুর রহমান ও মুস্তাফা নূরউল ইসলাম পত্রিকার কাগজের মতো বড় একটা পৃষ্ঠায় কয়েকটি লেখা তৈরি করেন। আরও দু-একজনের লেখা ছিল সেখানে। একুশে ফেব্রুয়ারি বিকেল থেকেই আলাউদ্দিন আল আজাদ সেই বুলেটিনের কাজের জন্য প্রেসে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। পাইওনিয়ার প্রেসের জনাব মোহাইমেন ও তাঁর ছোট ভাই ছাপাখানার কাজে খুব সাহায্য করেন। প্রেসের ভেতরে একটি বড় টেবিল ও কাগজ দিয়ে তাঁদের লেখার সুযোগ করে দেন এবং সেই বুলেটিন বিনে পয়সায় ছাপিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।
বুলেটিন ছাপা হয়েছিল বড় কাগজের এক পৃষ্ঠায়। আলাউদ্দিন আল আজাদ তাতে একটি দীর্ঘ লেখা লিখেছিলেন, যে লেখায় ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চের ধর্মঘট, ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের আইনসভার ভাষণ থেকে শুরু করে একুশের হত্যাকাণ্ড পর্যন্ত আলোচনা করেছিলেন। দীর্ঘ লেখায় নুরুল আমিন সরকারের সমালোচনা ছিল। এই লেখার শিরোনাম তিনি দিয়েছিলেন ‘বিপ্লবের কোদাল দিয়ে আমরা অত্যাচারী শাসকগোষ্ঠীর কবর রচনা করব।’
রাত ১২টার সময় প্রেস থেকে বুলেটিনের ৩০০ কপি নিয়ে আসেন তাঁরা। পরে আরও কপি ছাপা হয়। রাতেই সেই ৩০০ কপি বিলি করে ফেলেন আলাউদ্দিন আল আজাদ ও তাঁর বন্ধুরা।
বিলি করা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও পলাশী ব্যারাক এলাকায়। সে রাতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর বেষ্টনী সত্ত্বেও অসংখ্য মানুষ দেখতে গিয়েছিল গুলিবর্ষণের এলাকাটি। একুশের রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ঘুমায়নি।
আলাউদ্দিন আল আজাদের ‘স্মৃতিস্তম্ভ’ নামের কবিতাটি অমর হয়ে আছে। যার প্রথম পঙ্ক্তি ‘স্মৃতির মিনার ভেঙেছে তোমার, ভয় কি বন্ধু? আমরা এখনো চারকোটি পরিবার, খাড়া রয়েছি তো’! কবিতাটি তিনি লিখেছিলেন ১৯৫২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি।
সূত্র: এম আর মাহবুব সম্পাদিত ভাষাসংগ্রামের স্মৃতি
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫