সম্পাদকীয়
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এখন নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন। এরই মধ্যে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে সাক্ষাৎ করেছেন। দেশ পুনর্গঠনের জন্য জো বাইডেন ইউনূসের সরকারকে সমর্থন জানিয়েছেন। প্রায় ২০ মিনিটের এই আলোচনায় ড. ইউনূস বিগত শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের বর্ণনা করেন। জো বাইডেন বলেন, যদি শিক্ষার্থীরা নিজের দেশের জন্য এতকিছু ত্যাগ করতে পারে, তাহলে মার্কিন সরকার ও জনগণেরও বাংলাদেশের জন্য কিছু করা উচিত।
আগামী শুক্রবার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘে ভাষণ দেবেন। এরই মধ্যে ড. ইউনূস কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন। এই সফরকালে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি। দেশ পুনর্গঠনে এইসব আলোচনা তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
হাসিনা সরকারের পতনের পর দেড় মাস অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনা করছে। সংস্কারের জন্য বেশ কয়েকটি কমিটি গঠন
করা হয়েছে বটে, কিন্তু এখনো সংস্কারের কোনো স্পষ্ট রূপরেখা দেখা যায়নি।
এরই মধ্যে একজন কমিটিপ্রধানকে হঠাৎ করে অপসারণ করে আরেকজনকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করায় সংবিধান সংস্কার নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। ছাত্র সমন্বয়কদের নিয়েও কিছু প্রশ্ন উঠেছে। ফলে সংস্কারটি সুচারুরূপে হবে কি না, কত দিন ধরে চলবে এই সংস্কারকাজ এবং কত দিনে হবে নির্বাচন, তা নিয়েও কথাবার্তা চলছে।
এ রকম এক পরিস্থিতিতে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। উপদেষ্টারা এখন পর্যন্ত এই সরকারের মেয়াদকাল নিয়ে সরাসরি কোনো কথা বলেননি। জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ড. ইউনূস তাঁর সরকারের মেয়াদ জনগণের ইচ্ছার ওপর ছেড়ে দিয়েছেন, কিন্তু তাতে মেয়াদের বিষয়টি স্পষ্ট হয়নি। সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎকারে এই সরকারের মেয়াদকাল নিয়ে একটি ভাষ্য উঠে এসেছে। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, আগামী দেড় বছরের মধ্যে যেন নির্বাচন হতে পারে, সে জন্য মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারকে যেকোনো পরিস্থিতিতে সমর্থন করবেন তাঁরা। এখানে দুটো বার্তা রয়েছে। এক. যেকোনো পরিস্থিতিতে আগামী দেড় বছর ইউনূস সরকারকে সমর্থন করে যাবে সেনাবাহিনী। দুই. দেড় বছরের মধ্যে সংস্কার শেষে নির্বাচন দিয়ে গণতন্ত্রে ফিরে আসতে হবে।
আমাদের দেশে স্বাধীনতার পর থেকে যে দলগুলো শাসনক্ষমতায় এসেছে, সে দলগুলো দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্র মেনে চলেনি। ক্ষমতায় এসেও তারা দেশে গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটায়নি। বরং সরকারি ব্যবস্থাকে দলীয়করণ করার চেষ্টা করেছে। ঠিকভাবে সংস্কারকার্য চালিয়ে গণতান্ত্রিক কাঠামো তৈরি না করলে এবং ব্যক্তির নিজের ভেতরে সংস্কার না করলে সত্যিকারের গণতন্ত্র দৃশ্যমান হবে না। জো বাইডেন কিংবা আন্তর্জাতিক বিশ্ব দেশ পুনর্গঠনে সমর্থন দিতে পারেন বটে, কিন্তু মূল কাজটা হতে হবে এই দেশে এবং সেটা হতে হবে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েই। সামনের দেড় বছর জাতীয় জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। দেশ পুনর্গঠনে সময়টি হয়ে উঠুক তাৎপর্যপূর্ণ—আমাদের সেটাই চাওয়া।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এখন নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন। এরই মধ্যে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে সাক্ষাৎ করেছেন। দেশ পুনর্গঠনের জন্য জো বাইডেন ইউনূসের সরকারকে সমর্থন জানিয়েছেন। প্রায় ২০ মিনিটের এই আলোচনায় ড. ইউনূস বিগত শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের বর্ণনা করেন। জো বাইডেন বলেন, যদি শিক্ষার্থীরা নিজের দেশের জন্য এতকিছু ত্যাগ করতে পারে, তাহলে মার্কিন সরকার ও জনগণেরও বাংলাদেশের জন্য কিছু করা উচিত।
আগামী শুক্রবার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘে ভাষণ দেবেন। এরই মধ্যে ড. ইউনূস কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন। এই সফরকালে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি। দেশ পুনর্গঠনে এইসব আলোচনা তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
হাসিনা সরকারের পতনের পর দেড় মাস অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনা করছে। সংস্কারের জন্য বেশ কয়েকটি কমিটি গঠন
করা হয়েছে বটে, কিন্তু এখনো সংস্কারের কোনো স্পষ্ট রূপরেখা দেখা যায়নি।
এরই মধ্যে একজন কমিটিপ্রধানকে হঠাৎ করে অপসারণ করে আরেকজনকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করায় সংবিধান সংস্কার নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। ছাত্র সমন্বয়কদের নিয়েও কিছু প্রশ্ন উঠেছে। ফলে সংস্কারটি সুচারুরূপে হবে কি না, কত দিন ধরে চলবে এই সংস্কারকাজ এবং কত দিনে হবে নির্বাচন, তা নিয়েও কথাবার্তা চলছে।
এ রকম এক পরিস্থিতিতে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। উপদেষ্টারা এখন পর্যন্ত এই সরকারের মেয়াদকাল নিয়ে সরাসরি কোনো কথা বলেননি। জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ড. ইউনূস তাঁর সরকারের মেয়াদ জনগণের ইচ্ছার ওপর ছেড়ে দিয়েছেন, কিন্তু তাতে মেয়াদের বিষয়টি স্পষ্ট হয়নি। সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎকারে এই সরকারের মেয়াদকাল নিয়ে একটি ভাষ্য উঠে এসেছে। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, আগামী দেড় বছরের মধ্যে যেন নির্বাচন হতে পারে, সে জন্য মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারকে যেকোনো পরিস্থিতিতে সমর্থন করবেন তাঁরা। এখানে দুটো বার্তা রয়েছে। এক. যেকোনো পরিস্থিতিতে আগামী দেড় বছর ইউনূস সরকারকে সমর্থন করে যাবে সেনাবাহিনী। দুই. দেড় বছরের মধ্যে সংস্কার শেষে নির্বাচন দিয়ে গণতন্ত্রে ফিরে আসতে হবে।
আমাদের দেশে স্বাধীনতার পর থেকে যে দলগুলো শাসনক্ষমতায় এসেছে, সে দলগুলো দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্র মেনে চলেনি। ক্ষমতায় এসেও তারা দেশে গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটায়নি। বরং সরকারি ব্যবস্থাকে দলীয়করণ করার চেষ্টা করেছে। ঠিকভাবে সংস্কারকার্য চালিয়ে গণতান্ত্রিক কাঠামো তৈরি না করলে এবং ব্যক্তির নিজের ভেতরে সংস্কার না করলে সত্যিকারের গণতন্ত্র দৃশ্যমান হবে না। জো বাইডেন কিংবা আন্তর্জাতিক বিশ্ব দেশ পুনর্গঠনে সমর্থন দিতে পারেন বটে, কিন্তু মূল কাজটা হতে হবে এই দেশে এবং সেটা হতে হবে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েই। সামনের দেড় বছর জাতীয় জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। দেশ পুনর্গঠনে সময়টি হয়ে উঠুক তাৎপর্যপূর্ণ—আমাদের সেটাই চাওয়া।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫