Ajker Patrika

এক বছরেও পুলিশ অভিযোগপত্র দেয়নি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
আপডেট : ২৫ জানুয়ারি ২০২২, ১৩: ২৩
এক বছরেও পুলিশ অভিযোগপত্র দেয়নি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হানিফ মুন্সির ছোট ভাই জামাল মুন্সি হত্যার এক বছর পার হলেও অভিযোগপত্র দেয়নি পুলিশ। বারবার পরিবর্তন হয়েছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। নিহত জামাল মুন্সির পরিবারের দাবি, হত্যার শোক কাটতে না কাটতে বছরজুড়ে উল্টো ১৩টি মামলার আসামি হয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়েছে।

গত ২২ জানুয়ারি মধ্যরাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার চরচারতলা গ্রামে নিজ বাড়িতে প্রকাশ্যে জামাল মুন্সিকে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরদিন নিহত জামাল মুন্সির ভাই জাহাঙ্গীর মুন্সি বাদী হয়ে ২৭ জনকে আসামি করে আশুগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় চরচারতলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিয়া উদ্দিন খন্দকার, ইউপি সদস্য আরিফুল ইসলাম ওরফে সাদ্দাম, তাঁর বাবা উপজেলা বিএনপি নেতা আবু শহীদ মিয়া, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সেলিম পারভেজসহ নাম উল্লেখ করে ২৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে। হত্যা মামলার ২৭ জন আসামির মধ্যে গত এক বছরে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল মাত্র ৭ জনকে। বাকিদের মধ্যে ৬ জন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালত ও অন্যরা হাইকোর্টে জামিন নিলেও এখন ১৪ জন আসামি প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে। নিহত জামাল মুন্সি পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, মামলা তুলে নিতে প্রায়ই হুমকি দিচ্ছেন আসামিরা। তবে আসামি প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করায় তাঁরা ভয় আর আতঙ্কে রয়েছেন বলে জানান।

এদিকে গত এক বছরে মামলাটির তিনজন তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামলাটি তদন্ত করছেন।

আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হানিফ মুন্সি বলেন, ‘ওরা আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন। আমাকে না পেয়ে আমার ভাইকে হত্যা করেছেন। আমি ভাই হারিয়েছি। আসামিরা বিচারের মুখোমুখি না হয়ে উল্টো এক বছরের ১৩টি মিথ্যা মামলা বহন করতে হচ্ছে আমাদের পরিবারকে। এর চেয়ে আর কষ্ট কি থাকতে পারে।’ এ সময় তিনি ভাই হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন।

এই ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন শাহ বলেন, জামাল মুন্সি মামলাটি তদন্ত চলমান। দ্রুত চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত