সম্পাদকীয়
১৯৪২ সালে যখন কুইট ইন্ডিয়া আন্দোলন শুরু হয়, তখন সেই আন্দোলনে ভিড়ে গিয়েছিলেন কলিম শরাফী। কলকাতায় তখন থাকতেন। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করল। জেলে বসে কোনো কাজ ছিল না। জেলে ছিলেন প্রণব গুহঠাকুরতা, তিনি রবীন্দ্রনাথের গান গাইতেন। কলিম শরাফীকে রবীন্দ্রনাথের গান, স্বদেশি গান শেখালেন। জেলে যেখানে কলিম ছিলেন, সেখানে সবাই ছিল স্বদেশি আন্দোলন থেকে গ্রেপ্তার হওয়া। কলিম শরাফীই ছিলেন তাঁদের মধ্যে একমাত্র মুসলিম। মার্কসিস্টদের সঙ্গে দেখা হলো জেলখানায়। তারাই পরামর্শ দিলেন, ‘তুমি তো গান করো, সেটাই কোরো, তবে আমাদের ছাত্র ফেডারেশনে এসো।’ তখনো গণনাট্য সংঘ গড়ে ওঠেনি। সেটা হলো ১৯৪৩ সালে।
মিউজিক স্কোয়াড তখনো দুর্ভিক্ষের ওপরে আর স্বাধীনতার জন্য গান করে। জেল থেকে বেরিয়ে তাদের সঙ্গেই যুক্ত হয়ে গেলেন কলিম। নিখিল ভারত কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক পি সি জোশী ছিলেন খুবই সংস্কৃতিমান মানুষ। আইপিটিএ বা গণনাট্য সংঘ গঠিত হওয়ার পেছনে তাঁরও হাত আছে।
এই সংগঠনের সঙ্গেই থেকে গেলেন কলিম শরাফী। ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত পি সি জোশী এই সংগঠনের মূল মানুষ ছিলেন। সে বছর বি টি রনদিভে কোণঠাসা করে ফেললেন পি সি জোশীকে। তিনি বললেন, ‘সব বুর্জোয়া পি সি যোশীকে সমর্থন করছে, অতএব তার দেখানো পথ ভুল। রবীন্দ্রনাথ ইজ নট আওয়ার পোয়েট। তিনি হচ্ছেন বুর্জোয়া।’ তখন ভবানী সেন ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক। তিনি রবীন্দ্রনাথকে গালাগাল করে বুকলেট ছাপালেন। কমিউনিস্টরা রবীন্দ্রনাথকে বর্জন করার আহ্বান জানালেন।
যাঁরা রবীন্দ্রভক্ত ছিলেন, তাঁরা এবার প্রমাদ গুনলেন। বুঝলেন, এই কট্টর পন্থা অবলম্বন করা হলে গণনাট্য সংঘে থাকা যাবে না। ফলে তাঁদের অনেকেই বেরিয়ে এলেন। সেই বেরিয়ে আসাদের মধ্যে ছিলেন কলিম শরাফীও।
সূত্র: কুররাতুল আইন তাহমিনার নেওয়া কলিম শরাফীর সাক্ষাৎকার, লেখালেখির উঠান, সংগীত সংখ্যা, পৃষ্ঠা ১৫৮-১৬০
১৯৪২ সালে যখন কুইট ইন্ডিয়া আন্দোলন শুরু হয়, তখন সেই আন্দোলনে ভিড়ে গিয়েছিলেন কলিম শরাফী। কলকাতায় তখন থাকতেন। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করল। জেলে বসে কোনো কাজ ছিল না। জেলে ছিলেন প্রণব গুহঠাকুরতা, তিনি রবীন্দ্রনাথের গান গাইতেন। কলিম শরাফীকে রবীন্দ্রনাথের গান, স্বদেশি গান শেখালেন। জেলে যেখানে কলিম ছিলেন, সেখানে সবাই ছিল স্বদেশি আন্দোলন থেকে গ্রেপ্তার হওয়া। কলিম শরাফীই ছিলেন তাঁদের মধ্যে একমাত্র মুসলিম। মার্কসিস্টদের সঙ্গে দেখা হলো জেলখানায়। তারাই পরামর্শ দিলেন, ‘তুমি তো গান করো, সেটাই কোরো, তবে আমাদের ছাত্র ফেডারেশনে এসো।’ তখনো গণনাট্য সংঘ গড়ে ওঠেনি। সেটা হলো ১৯৪৩ সালে।
মিউজিক স্কোয়াড তখনো দুর্ভিক্ষের ওপরে আর স্বাধীনতার জন্য গান করে। জেল থেকে বেরিয়ে তাদের সঙ্গেই যুক্ত হয়ে গেলেন কলিম। নিখিল ভারত কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক পি সি জোশী ছিলেন খুবই সংস্কৃতিমান মানুষ। আইপিটিএ বা গণনাট্য সংঘ গঠিত হওয়ার পেছনে তাঁরও হাত আছে।
এই সংগঠনের সঙ্গেই থেকে গেলেন কলিম শরাফী। ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত পি সি জোশী এই সংগঠনের মূল মানুষ ছিলেন। সে বছর বি টি রনদিভে কোণঠাসা করে ফেললেন পি সি জোশীকে। তিনি বললেন, ‘সব বুর্জোয়া পি সি যোশীকে সমর্থন করছে, অতএব তার দেখানো পথ ভুল। রবীন্দ্রনাথ ইজ নট আওয়ার পোয়েট। তিনি হচ্ছেন বুর্জোয়া।’ তখন ভবানী সেন ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক। তিনি রবীন্দ্রনাথকে গালাগাল করে বুকলেট ছাপালেন। কমিউনিস্টরা রবীন্দ্রনাথকে বর্জন করার আহ্বান জানালেন।
যাঁরা রবীন্দ্রভক্ত ছিলেন, তাঁরা এবার প্রমাদ গুনলেন। বুঝলেন, এই কট্টর পন্থা অবলম্বন করা হলে গণনাট্য সংঘে থাকা যাবে না। ফলে তাঁদের অনেকেই বেরিয়ে এলেন। সেই বেরিয়ে আসাদের মধ্যে ছিলেন কলিম শরাফীও।
সূত্র: কুররাতুল আইন তাহমিনার নেওয়া কলিম শরাফীর সাক্ষাৎকার, লেখালেখির উঠান, সংগীত সংখ্যা, পৃষ্ঠা ১৫৮-১৬০
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৪ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৫ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৫ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫