Ajker Patrika

ইবনে সিনায় যৌন হয়রানির শিকার রুশ কিশোরী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০: ০১
ইবনে সিনায় যৌন হয়রানির শিকার রুশ কিশোরী

রাজধানীর কল্যাণপুরে ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রাশিয়ার এক কিশোরী (১৫) যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ৮ ফেব্রুয়ারি রাতের ওই ঘটনার পর তাকে অন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

যৌন হয়রানির অভিযোগে কিশোরীর মা ১৩ ফেব্রুয়ারি মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন। এ মামলায় ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্মচারী আবুল কাশেমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  

জানতে চাইলে গতকাল ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইনচার্জ নূরে আলম সবুজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাসপাতালের এক কর্মচারী ওই কাজ করেছেন। তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়ের দায় আমাদের নয়।’ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীকে যৌন হয়রানির দায় কার–এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, যেহেতু মামলা হয়েছে, এখন পুলিশই দেখবে দায় কার। 

ভুক্তভোগী কিশোরীর মা রুশ নাগরিক। তিনি বাংলাদেশে একটি প্রকল্পে কর্মরত। মিরপুর মডেল থানায় করা মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, বগলে ফোড়া হওয়ায় তাঁর কিশোরী মেয়েকে ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় এনে কোম্পানির চিকিৎসা উপদেষ্টার পরামর্শে কল্যাণপুরে ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। মেয়ের অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন ছিল।

সেদিন কেবিনে এসে একজন চিকিৎসক ও একজন নার্স মেয়ের ফোড়া পরীক্ষার সময় নীল গাউন পরা এক ব্যক্তি ঢুকে দূরে দাঁড়িয়ে সব দেখেন। তবে চিকিৎসক ও নার্স তাঁকে চলে যেতে বলেননি। চিকিৎসক ও নার্স চলে যাওয়ার প্রায় ১০ মিনিট পর নীল গাউন পরা আবুল কাশেম একা কেবিনে আসেন। চিকিৎসক না হলেও তিনি মেয়ের কাপড় খুলে ফোড়ার জায়গাটি আবার দেখতে চান। 

এতে মেয়ে বিব্রতবোধ করলেও তিনি কাপড় উন্মুক্ত করে শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দিয়ে দেখেন। ওই রাতে কাশেম পাঁচবার নানা অজুহাতে ফোড়ার জায়গায় হাত দেন ও দেখতে চান। এজাহারে রুশ ওই নারী আরও বলেন, সর্বশেষ ভোররাতের দিকে কাশেম আরেকবার কেবিনে এসে গুগল অনুবাদের সাহায্যে তাঁকে (কিশোরীর মা) বাইরে যেতে বলেন এবং মেয়ে ব্যথা পেলে বা প্রয়োজনে ডাকবেন বলে জানান।

তখন তিনি অসৎ উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে চিৎকার করে সবাইকে ডাকেন। কাশেম তাঁর হাত শক্ত করে ধরায় তিনি ব্যথা পান। দুজন নার্স এসে সবকিছু দেখলেও কিছু বলেননি। উল্টো তাঁকে (কাশেম) ক্ষমা করে দিতে বলেন। পরে তিনি হাসপাতালের লোকজনকে ডেকে ঘটনা জানান এবং লিখিত অভিযোগ দেন। পরে তিনি মেয়েকে হাসপাতালটি থেকে নিয়ে বনানীর একটি ক্লিনিকে ভর্তি করেন এবং সেখানেই তার অস্ত্রোপচার হয়। সে এখনো চিকিৎসাধীন। তাঁর মেয়ে এখনো আঁতকে ওঠে এবং মাঝে মাঝে কাঁদে। 

মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাসির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আবুল কাশেমকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি এখন কারাগারে আছেন। সার্বিক ঘটনায় ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোনো গাফিলতি আছে কি না, তা-ও দেখা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তাদের অবস্থান

বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে ধর্ষণ করলেন ছাত্রদল নেতা

মানিকগঞ্জে রাতের আঁধারে স্থানান্তর করা বিদ্যালয় ভবন পরিদর্শনে কর্মকর্তারা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত