Ajker Patrika

গান-বাজনায় কুবিতে শব্দদূষণ

কুবি প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩: ১২
গান-বাজনায় কুবিতে শব্দদূষণ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা অতিরিক্ত শব্দদূষণে অতিষ্ঠ। ক্যাম্পাসসংলগ্ন বিভিন্ন পার্ক, স্থানীয় বাসিন্দাদের ডিজে পার্টি ও সামাজিক অনুষ্ঠানে উচ্চ শব্দে গান-বাজনায় এ শব্দদূষণ হচ্ছে। এতে শ্রেণিকক্ষের স্বাভাবিক কার্যক্রম, পরীক্ষা ও আবাসিক হল বা ছাত্রাবাসে ঘুমেরও বিঘ্ন ঘটছে বলে তাঁরা অভিযোগ করেন।

গত মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস, প্রত্নতত্ত্ব, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতাসহ বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষা চলাকালে পার্শ্ববর্তী পার্ক থেকে আসা গানের শব্দে বিড়ম্বনায় পড়েন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া টানা দু-তিন দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলসংলগ্ন স্থানীয় বাসিন্দাদের এক সামাজিক অনুষ্ঠানে দিনরাত ডিজে পার্টির উচ্চ শব্দে নাজেহাল হওয়ার অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইসলাম আল জাহিদ বলেন, ‘আজকে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষার হলে যাওয়ার পর থেকে পাশের রিসোর্ট থেকে ডিজে গানের উচ্চ শব্দের আওয়াজ আসছিল। পরীক্ষার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গানের উচ্চ শব্দ শুনতে শুনতে পরীক্ষা শেষ করলাম।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সোহাগ মনি বলেন, ‘উচ্চ শব্দে গান-বাজনায় আমাদের হলে পড়াশোনা ও ঘুমে ব্যাঘাত ঘটছে।’

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) সহকারী অধ্যাপক কাজী এম আনিছুল ইসলাম বলেন, ‘এত জোরে শব্দ হচ্ছিল যে পরীক্ষার হলে ঢুকে পরীক্ষার্থীদের কনস্যানট্রেশন ব্রেক হচ্ছিল। আমরা জানালাগুলো বন্ধ করার চেষ্টা করেছি। এতে আমাদের বেশ সমস্যাই হয়েছে।’

পরিবেশবিষয়ক সংগঠন অভয়ারণ্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক সাফায়িত সিফাত বলেন, ‘শব্দদূষণও কিন্তু পরিবেশদূষণের অংশ। এটি নিয়ন্ত্রণের জন্য আইন রয়েছে। তবে মানুষের মধ্যে এ বিষয়ে সচেতনতা কম। গত কয়েক দিন ধরে এ সমস্যার কারণে ক্যাম্পাসে বেশ অস্বস্তিতে রয়েছি। প্রশাসনের কাছে দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবি জানাচ্ছি।’

শব্দদূষণের বিষয়ে কুবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা বিষয়টা জেনেছি। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে জানাব।’

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫-এর ২০ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা-২০০৬ প্রণয়ন করা হয়। যেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও এর আশপাশে ১০০ মিটার পর্যন্ত নীরব এলাকা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। নীরব এলাকায় শব্দের মাত্রা ৪০ থেকে ৫০ ডেসিবেল ও আবাসিক এলাকায় ৪৫ থেকে ৫৫ ডেসিবেল। তবে এই নির্ধারিত মাত্রা মানতে শব্দদূষণে সংশ্লিষ্টরা সচেতনতা দেখাচ্ছেন না।

এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তরের কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক শওকত আরা কলি বলেন, ‘আমরা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেব। গতবারও রিসোর্টগুলোকে অতিরিক্ত শব্দদূষণের কারণে নোটিশ করেছিলাম। এখন আবার নোটিশ করতে হবে মনে হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে’, চিরকুটে লেখা

বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত আমদানির ঘোষণা দিতেই ভারতে হু হু করে বাড়ছে চালের দাম

ফেসবুকে ছাত্রলীগ নেতার ‘হুমকি’, রাবিতে ১৫ আগস্টের কনসার্টে যাচ্ছে না আর্টসেল

জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে উচ্চপদস্থ বোর্ড গঠন: আইএসপিআর

পাবনায় প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে এএসআই উধাও, থানায় শ্বশুরের জিডি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত