Ajker Patrika

কথা বলায় সংযম

আবদুল আযীয কাসেমি
আপডেট : ১০ মার্চ ২০২২, ১৫: ৪৫
কথা বলায়  সংযম

সমাজের অধিকাংশ বিশৃঙ্খলা, বিপর্যয় ও বিপদাপদের অন্যতম কারণ জিহ্বার অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার ও অসংযমী কথাবার্তা। অসহিষ্ণু কথাবার্তা ব্যক্তি পর্যায় থেকে শুরু করে সমাজ এমনকি রাষ্ট্রীয় পর্যায়েও ডেকে আনে বড় বিপর্যয়। তাই কথা বলার ক্ষেত্রে সংযমী হতে পারলে বহুমুখী ফেতনা-ফ্যাসাদ ও বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। ইসলাম এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছে।

সংযমী কথাবার্তাতেই মুক্তি নিহিত। ওকবা ইবনে আমের (রা.) বলেন, ‘আমি মহানবী (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, “হে আল্লাহর রাসুল, মুক্তি কিসে নিহিত?” তিনি বললেন, ‘তিনটি কাজ করলে তুমি দুনিয়া ও আখিরাতে মুক্তি পেতে পার। এক. তোমার জিহ্বা নিয়ন্ত্রণ করো। দুই. প্রয়োজন না থাকলে ঘরেই অবস্থান করো; বাইরে থেকো না। তিন. পূর্বে কৃত গুনাহ ও ভুলের জন্য আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করে ক্ষমা চাও।’ (তিরমিজি)

দেহের অন্যান্য অঙ্গ জিহ্বার কাছে কথা বলায় সংযমের আকুতি করে। আবু সায়িদ খুদরি (রা.) মহানবী (সা.)-এর হাদিস বর্ণনা করে বলেন, ‘প্রত্যেহ মানুষ যখন নতুন প্রভাতে উপনীত হয়, তখন মানবসন্তানের প্রতিটি অঙ্গ জিহ্বার কাছে মিনতি করে বলতে থাকে, “তুমি আমাদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করো। আমরা তো তোমার ওপর নির্ভরশীল। তুমি ঠিক থাকলে আমরা ঠিক থাকব। তুমি বক্রতা অবলম্বন করলে আমরাও বিচ্যুত হবো।”’ (তিরমিজি)

মহানবী (সা.) কথা বলায় সংযম অবলম্বনকারীর জান্নাতে যাওয়ার দায়িত্ব নেবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন। তিনি ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি দুই চোয়ালের মধ্যখানে অবস্থিত অঙ্গ তথা জিহ্বা এবং দুই ঊরুর মধ্যখানে অবস্থিত অঙ্গ তথা লজ্জাস্থান হেফাজত করার দায়িত্ব নেবে, আমি তার জন্য জান্নাতের দায়িত্ব নেব।’ (বুখারি)

আবদুল আযীয কাসেমি, শিক্ষক ও হাদিস গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সমাবেশে দলীয় স্লোগান ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনে বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে এনসিপির বিবৃতি

তোরা যারা রাজাকার, সময় থাকতে বাংলা ছাড়: বাকের মজুমদার

কঠোর হচ্ছে যুক্তরাজ্যের অভিবাসন নীতি, স্থায়ী বসবাসের আবেদনে অপেক্ষা ১০ বছর

চাকরিতে কোটা: সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য আসছে সমান সুযোগ

রাজপথের চাপে কোনো বিচার করা সম্ভব নয়: চিফ প্রসিকিউটর

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত