সম্পাদকীয়
তারা কি ভোজবাজির মতো মিলিয়ে গেল? যে আট অস্ত্রধারীকে দেখা গিয়েছিল চট্টগ্রামে পুলিশের সামনেই অস্ত্রের মহড়া দিতে, তাদের কি খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ? তারা বেমালুম হাওয়া হয়ে গেল? বিভিন্ন এলাকা রেইড করে বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের ধরা হচ্ছে, অথচ এই আট সন্ত্রাসীর ব্যাপারে কেন পুলিশের কোনো হেলদোল নেই?
কোটা সংস্কার আন্দোলনে অনেক প্রাণ ঝরে গেছে। চট্টগ্রামও এর ব্যতিক্রম নয়। যে পক্ষেরই হোক না কেন, কিংবা কোনো পক্ষ অবলম্বন না করেই যারা নিহত হয়েছে, তাদের প্রত্যেকের হত্যার বিচার করা এখন নাগরিক দাবি। ছাত্র আন্দোলন যখন নানা কারণে সন্ত্রাসে রূপান্তরিত হয়েছে, তখন সব পক্ষকেই এর দায় নিতে হবে। কেন ছাত্ররা তাদের আন্দোলনকে সুযোগসন্ধানী গোষ্ঠীর হাতে তুলে দিল, কিংবা দিতে বাধ্য হলো, সেই প্রশ্ন রাখতে হবে কোটা সংস্কারকারী সমন্বয়কদের কাছে। কেন ছাত্রলীগ সাধারণ ছাত্রদের ডান্ডা মেরে ঠান্ডা করার কথা ভাবল এবং নেমে পড়ল আন্দোলন ঠেকাতে, সে প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে। এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার দায় রয়েছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকেরও। তিনি ছাত্রলীগকে উসকে দিয়েছিলেন। তিনি এখন তাঁর সেই অবস্থানকে কী চোখে দেখেন, সেটাও পরিষ্কার হতে হবে। যে পুলিশ সদস্যরা গুলি চালিয়েছেন, তাঁদের গুলি চালানোর নির্দেশ ছিল কি না, সেটাও তদন্ত করে দেখতে হবে; বিশেষ করে রংপুরের সাঈদকে যিনি গুলি করেছেন, তাঁর মনস্তাত্ত্বিক অবস্থাটা খোলাসা হওয়া দরকার। সাঈদ তো শুধু দুই হাত দুদিকে ছড়িয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কেন তাঁকে লক্ষ্য করে রাবার বুলেট চালানো হলো, সে প্রশ্নের জবাব তো পেতে হবে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আগুন কারা দিল, সেটাও তো জানতে হবে। এত সব ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিচার হতে হবে।
কিন্তু চট্টগ্রামের যে আট অস্ত্রধারীর ছবি ছাপা হলো পত্রিকায়, তাদের ব্যাপারে যদি কোনো সিদ্ধান্তই নেওয়া না হয়, তাহলে বোঝা যাবে, পুরো তদন্তের ঘটনাই প্রহসনে পরিণত হবে। অন্যায় যারা করেছে, তাদের সবার শাস্তি হওয়া বাঞ্ছনীয়। পেশিশক্তির পরিচয় দিল যারা, তাদের পরিচয় বের করা কঠিন কিছু নয়। অস্ত্র হাতে খেল দেখিয়ে তারা সরকারের ভাবমূর্তি মোটেই ভালো করেনি। সরকার যদি অন্য সব অন্যায়ের সঙ্গে এই অন্যায়েরও বিচার করতে পারে, তাহলেই কেবল সরকারের ওপর আস্থা ফিরে আসবে, নইলে নয়।
আমাদের দেশে বছরের পর বছর গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করতে হয়েছে। পাকিস্তান আমলে সামরিক ও প্রশাসনিক আমলারা দেশ চালিয়েছেন। রাজনীতিবিদদের দেশ পরিচালনার সুযোগই দেননি। কিন্তু দীর্ঘকাল স্বাধীন দেশে বসবাস করতে গিয়ে আমরা দেখছি, রাজনীতিবিদেরা দেশ পরিচালনার ভার হাতে পেয়েও নির্লজ্জভাবে আমলানির্ভর হয়ে রয়েছেন এবং সামাল দিতে না পারলে পেশিশক্তির মুখাপেক্ষী হচ্ছেন।
চট্টগ্রামের এই আট অস্ত্রধারী গ্রেপ্তার হচ্ছে কি না, সেটা এ-সংক্রান্ত সব তদন্তের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। এদের কজন ধরা পড়ল, সে ব্যাপারে জানতে চায় দেশের মানুষ। এদের গ্রেপ্তার করা হোক।
তারা কি ভোজবাজির মতো মিলিয়ে গেল? যে আট অস্ত্রধারীকে দেখা গিয়েছিল চট্টগ্রামে পুলিশের সামনেই অস্ত্রের মহড়া দিতে, তাদের কি খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ? তারা বেমালুম হাওয়া হয়ে গেল? বিভিন্ন এলাকা রেইড করে বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের ধরা হচ্ছে, অথচ এই আট সন্ত্রাসীর ব্যাপারে কেন পুলিশের কোনো হেলদোল নেই?
কোটা সংস্কার আন্দোলনে অনেক প্রাণ ঝরে গেছে। চট্টগ্রামও এর ব্যতিক্রম নয়। যে পক্ষেরই হোক না কেন, কিংবা কোনো পক্ষ অবলম্বন না করেই যারা নিহত হয়েছে, তাদের প্রত্যেকের হত্যার বিচার করা এখন নাগরিক দাবি। ছাত্র আন্দোলন যখন নানা কারণে সন্ত্রাসে রূপান্তরিত হয়েছে, তখন সব পক্ষকেই এর দায় নিতে হবে। কেন ছাত্ররা তাদের আন্দোলনকে সুযোগসন্ধানী গোষ্ঠীর হাতে তুলে দিল, কিংবা দিতে বাধ্য হলো, সেই প্রশ্ন রাখতে হবে কোটা সংস্কারকারী সমন্বয়কদের কাছে। কেন ছাত্রলীগ সাধারণ ছাত্রদের ডান্ডা মেরে ঠান্ডা করার কথা ভাবল এবং নেমে পড়ল আন্দোলন ঠেকাতে, সে প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে। এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার দায় রয়েছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকেরও। তিনি ছাত্রলীগকে উসকে দিয়েছিলেন। তিনি এখন তাঁর সেই অবস্থানকে কী চোখে দেখেন, সেটাও পরিষ্কার হতে হবে। যে পুলিশ সদস্যরা গুলি চালিয়েছেন, তাঁদের গুলি চালানোর নির্দেশ ছিল কি না, সেটাও তদন্ত করে দেখতে হবে; বিশেষ করে রংপুরের সাঈদকে যিনি গুলি করেছেন, তাঁর মনস্তাত্ত্বিক অবস্থাটা খোলাসা হওয়া দরকার। সাঈদ তো শুধু দুই হাত দুদিকে ছড়িয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কেন তাঁকে লক্ষ্য করে রাবার বুলেট চালানো হলো, সে প্রশ্নের জবাব তো পেতে হবে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আগুন কারা দিল, সেটাও তো জানতে হবে। এত সব ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিচার হতে হবে।
কিন্তু চট্টগ্রামের যে আট অস্ত্রধারীর ছবি ছাপা হলো পত্রিকায়, তাদের ব্যাপারে যদি কোনো সিদ্ধান্তই নেওয়া না হয়, তাহলে বোঝা যাবে, পুরো তদন্তের ঘটনাই প্রহসনে পরিণত হবে। অন্যায় যারা করেছে, তাদের সবার শাস্তি হওয়া বাঞ্ছনীয়। পেশিশক্তির পরিচয় দিল যারা, তাদের পরিচয় বের করা কঠিন কিছু নয়। অস্ত্র হাতে খেল দেখিয়ে তারা সরকারের ভাবমূর্তি মোটেই ভালো করেনি। সরকার যদি অন্য সব অন্যায়ের সঙ্গে এই অন্যায়েরও বিচার করতে পারে, তাহলেই কেবল সরকারের ওপর আস্থা ফিরে আসবে, নইলে নয়।
আমাদের দেশে বছরের পর বছর গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করতে হয়েছে। পাকিস্তান আমলে সামরিক ও প্রশাসনিক আমলারা দেশ চালিয়েছেন। রাজনীতিবিদদের দেশ পরিচালনার সুযোগই দেননি। কিন্তু দীর্ঘকাল স্বাধীন দেশে বসবাস করতে গিয়ে আমরা দেখছি, রাজনীতিবিদেরা দেশ পরিচালনার ভার হাতে পেয়েও নির্লজ্জভাবে আমলানির্ভর হয়ে রয়েছেন এবং সামাল দিতে না পারলে পেশিশক্তির মুখাপেক্ষী হচ্ছেন।
চট্টগ্রামের এই আট অস্ত্রধারী গ্রেপ্তার হচ্ছে কি না, সেটা এ-সংক্রান্ত সব তদন্তের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। এদের কজন ধরা পড়ল, সে ব্যাপারে জানতে চায় দেশের মানুষ। এদের গ্রেপ্তার করা হোক।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৩ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৩ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৩ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫