সম্পাদকীয়
আমাদের দেশের অনেক কিছুই যে চলে ফ্রি স্টাইলে, তার একটি উদাহরণ হলো ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক। যাঁরা এই মহাসড়কে চলাচল করেন, তাঁদের অনেকেই জানেন, মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে সবজির হাট বসে এবং সেই হাটের প্রসার এতটাই হয়েছে যে মহাসড়কের যান চলাচলও বিঘ্নিত হয়। যানজট যখন হয়, তখন সেটা কাটিয়ে তুলতে পারত যারা, তাদের তৎপরতা দেখা যায় না। ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্থবির হয়ে থাকে রাস্তা; কিংবা যদি যান চলাচল হয়, তাহলেও তা হয় শম্বুকগতিতে।
ধরুন, কোনো চলচ্চিত্রকার এ অব্যবস্থা নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে চান। তাহলে তাঁকে সরেজমিনে হাজির হতে হবে অকুস্থলে। তাঁরা শুরুতেই খেয়াল করবেন, নরসিংদীর জঙ্গি শিবপুর, বারৈচা ও মরজাল বাসস্ট্যান্ডে উপচে উঠছে বাজার। হাটবারেই যাওয়া ভালো। তাহলে ঠিকঠাকভাবে চোখে পড়বে অনিয়মগুলো। পরিচালক মহাশয় অনায়াসে দেখতে পাবেন, সবজির বাজারটা বাজার থেকে বের হয়ে রওনা দিয়েছে মহাসড়কের দিকে। সেখানে মৌসুমি ফলগুলো দেখে তাঁর মন প্রশান্ত হয়ে যেতে পারে। কিন্তু একটু পরই তিনি বুঝতে পারবেন, সামনে এগোনোর কোনো উপায় নেই। এত মানুষ কোথা থেকে এসেছে, এ কথা কাউকে জিজ্ঞেস করলে জানতে পারবেন, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সবজি কিনতে চলে এসেছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। এখান থেকে সবজি কেনা হলে লাভ থাকে বেশি। আর তাই বাজার ছড়িয়ে পড়ে মহাসড়কে। শত শত সবজিবোঝাই ভ্যানগাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে মহাসড়কে। তাদের সরাবে, সাধ্যি কার?
হ্যাঁ, কারও একেবারে সাধ্য নেই, সেটা অবশ্য ঠিক নয়। এই তীব্র যানজটের কারণ যেহেতু জানা, সেহেতু কারণটা সরিয়ে দিলেই মহাসড়ক দিব্যি যানজটমুক্ত হয়ে উঠতে পারে। কারা এই সংকট হটিয়ে দিতে পারে? অবশ্যই হাইওয়ে পুলিশ। এই মহাসড়কের সমস্যা মোকাবিলার দায়িত্ব এই হাইওয়ে পুলিশের। শুধু তাদেরই-বা হবে কেন, স্থানীয় প্রভাবশালী মহলও তো যানজট হটিয়ে দেওয়ার কাজটা করতে পারে। কেন মহাসড়কেই উঠে আসবে হাট-বাজার, সেটা জেনে কোথায় তা সরিয়ে নেওয়া যায়, সে ভাবনা তো তাদেরই করতে হবে। কিন্তু ক্রেতা-বিক্রেতাদের এ ব্যাপারে সচেতন করে তুলবে যারা, তারাই তো উদাসীন হয়ে বসে আছে!
এখানে এসে থামতে হয়। মুশকিল হলো, যার যে কাজ, সেটা সে করবে না কেন? হাইওয়েতে স্বাভাবিকভাবে যান চলাচল করতে পারছে কি না, সেটা দেখার দায়িত্ব যাদের, তারা যদি যানজটকেই স্বাভাবিক বলে ভেবে বসে থাকে, তাহলে সমস্যার সমাধান হবে কী করে? শর্ষের মধ্যে থাকা এই ভূতকে সরানো তো সহজ কথা নয়। এ আলস্য, এ উদাসীনতা তো বছরের পর বছর ধরে রপ্ত করা হয়েছে। হঠাৎ করে ‘কর্তব্যের আহ্বানে’ সাড়া দেওয়ার মতো কিছু তো ঘটেনি।
এই যে ‘কিছু ঘটেনি’ তার দায় কিন্তু নিতে হবে পুলিশের ওপরওয়ালাদের। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারাও এ ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করতে পারেন। মহাসড়ক স্বাভাবিক এবং সচল করাটা খুব সহজ ব্যাপার। কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে?
আমাদের দেশের অনেক কিছুই যে চলে ফ্রি স্টাইলে, তার একটি উদাহরণ হলো ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক। যাঁরা এই মহাসড়কে চলাচল করেন, তাঁদের অনেকেই জানেন, মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে সবজির হাট বসে এবং সেই হাটের প্রসার এতটাই হয়েছে যে মহাসড়কের যান চলাচলও বিঘ্নিত হয়। যানজট যখন হয়, তখন সেটা কাটিয়ে তুলতে পারত যারা, তাদের তৎপরতা দেখা যায় না। ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্থবির হয়ে থাকে রাস্তা; কিংবা যদি যান চলাচল হয়, তাহলেও তা হয় শম্বুকগতিতে।
ধরুন, কোনো চলচ্চিত্রকার এ অব্যবস্থা নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে চান। তাহলে তাঁকে সরেজমিনে হাজির হতে হবে অকুস্থলে। তাঁরা শুরুতেই খেয়াল করবেন, নরসিংদীর জঙ্গি শিবপুর, বারৈচা ও মরজাল বাসস্ট্যান্ডে উপচে উঠছে বাজার। হাটবারেই যাওয়া ভালো। তাহলে ঠিকঠাকভাবে চোখে পড়বে অনিয়মগুলো। পরিচালক মহাশয় অনায়াসে দেখতে পাবেন, সবজির বাজারটা বাজার থেকে বের হয়ে রওনা দিয়েছে মহাসড়কের দিকে। সেখানে মৌসুমি ফলগুলো দেখে তাঁর মন প্রশান্ত হয়ে যেতে পারে। কিন্তু একটু পরই তিনি বুঝতে পারবেন, সামনে এগোনোর কোনো উপায় নেই। এত মানুষ কোথা থেকে এসেছে, এ কথা কাউকে জিজ্ঞেস করলে জানতে পারবেন, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সবজি কিনতে চলে এসেছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। এখান থেকে সবজি কেনা হলে লাভ থাকে বেশি। আর তাই বাজার ছড়িয়ে পড়ে মহাসড়কে। শত শত সবজিবোঝাই ভ্যানগাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে মহাসড়কে। তাদের সরাবে, সাধ্যি কার?
হ্যাঁ, কারও একেবারে সাধ্য নেই, সেটা অবশ্য ঠিক নয়। এই তীব্র যানজটের কারণ যেহেতু জানা, সেহেতু কারণটা সরিয়ে দিলেই মহাসড়ক দিব্যি যানজটমুক্ত হয়ে উঠতে পারে। কারা এই সংকট হটিয়ে দিতে পারে? অবশ্যই হাইওয়ে পুলিশ। এই মহাসড়কের সমস্যা মোকাবিলার দায়িত্ব এই হাইওয়ে পুলিশের। শুধু তাদেরই-বা হবে কেন, স্থানীয় প্রভাবশালী মহলও তো যানজট হটিয়ে দেওয়ার কাজটা করতে পারে। কেন মহাসড়কেই উঠে আসবে হাট-বাজার, সেটা জেনে কোথায় তা সরিয়ে নেওয়া যায়, সে ভাবনা তো তাদেরই করতে হবে। কিন্তু ক্রেতা-বিক্রেতাদের এ ব্যাপারে সচেতন করে তুলবে যারা, তারাই তো উদাসীন হয়ে বসে আছে!
এখানে এসে থামতে হয়। মুশকিল হলো, যার যে কাজ, সেটা সে করবে না কেন? হাইওয়েতে স্বাভাবিকভাবে যান চলাচল করতে পারছে কি না, সেটা দেখার দায়িত্ব যাদের, তারা যদি যানজটকেই স্বাভাবিক বলে ভেবে বসে থাকে, তাহলে সমস্যার সমাধান হবে কী করে? শর্ষের মধ্যে থাকা এই ভূতকে সরানো তো সহজ কথা নয়। এ আলস্য, এ উদাসীনতা তো বছরের পর বছর ধরে রপ্ত করা হয়েছে। হঠাৎ করে ‘কর্তব্যের আহ্বানে’ সাড়া দেওয়ার মতো কিছু তো ঘটেনি।
এই যে ‘কিছু ঘটেনি’ তার দায় কিন্তু নিতে হবে পুলিশের ওপরওয়ালাদের। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারাও এ ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করতে পারেন। মহাসড়ক স্বাভাবিক এবং সচল করাটা খুব সহজ ব্যাপার। কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে?
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১৪ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫