Ajker Patrika

এবারও অস্ট্রেলিয়ান গতি বাউন্সের প্রস্তুতি মিরপুরে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
এবারও অস্ট্রেলিয়ান গতি বাউন্সের প্রস্তুতি মিরপুরে

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ১ নম্বর গেট দিয়ে ঢুকতেই চোখে পড়বে একাডেমি মাঠের পূর্ব দিকে মাঠকর্মীদের বিরাট ব্যস্ততা। কোদাল-শাবল নিয়ে কংক্রিটের উইকেট তৈরিতে ব্যস্ত মাঠকর্মীরা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ক্রিকেটারদের প্রস্তুত করতে এই উদ্যোগ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)।

এশিয়া কাপ থেকে একরাশ ব্যর্থতা নিয়ে ফিরেছে বাংলাদেশ। আগামী মাসে অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসর। মাঝে আছে এক মাস সময়। বিশ্বকাপের আগে অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবেন সাকিব আল হাসানরা। এরপর তাঁরা চলে যাবেন বিশ্বকাপে।

ত্রিদেশীয় সিরিজ ও বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতে মিরপুরে নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার আদলে উইকেট বানানোর চেষ্টা বিসিবির। বিসিবিকে এই পরামর্শ দিয়েছেন ব্যাটিং পরামর্শ জেমি সিডন্স। সিডন্স যেহেতু অস্ট্রেলিয়ান কোচ, তাঁর পরামর্শেই বিশেষ এই উইকেট বানাচ্ছে বিসিবি।

  ওই পেস, বাউন্স যেন ভালোভাবে খেলা যায়, সে কারণেই কংক্রিট উইকেট তৈরি করা। এখানে বল স্কিড ও বাউন্স করবে।

   শাহরিয়ার নাফিস, ব্যবস্থাপক  ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ

উইকেট তৈরির কাজ নিয়ে গতকাল ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ব্যবস্থাপক শাহরিয়ার নাফিস বলেছেন, ‘সম্প্রতি বাংলাদেশ দলের ম্যানেজমেন্ট থেকে আমাদের কাছে দু-তিনটি কংক্রিট উইকেটের প্রস্তাব ছিল। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া বা বিভিন্ন দেশে যখন বৃষ্টির মৌসুম থাকে, তখন তারা কংক্রিটের উইকেটে অনুশীলন করে।’

হোম সিরিজগুলোয় বাংলাদেশের পছন্দের শীর্ষে থাকে মিরপুর। মিরপুরের উইকেট সাধারণত স্লো-টার্নিং হয়ে থাকে। অসম বাউন্সের কারণে ক্রিকেটাররা দ্রুতগতির উইকেটের ধারণা সেভাবে নিতে পারেন না। কিন্তু দেশের বাইরে সিরিজ কিংবা টুর্নামেন্ট খেলতে গেলে গতি কিংবা ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে খেলতে হয়। এমন উইকেটে খেলার অভ্যাস না থাকায় ধারাবাহিক ব্যর্থ হন ক্রিকেটাররা। এবার দেশেই ওই ধরনের উইকেটে ভালো প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ করে দিতে চায় বিসিবি।

কংক্রিট উইকেট ক্রিকেটারদের কীভাবে সহায়তা করবে, সেটির ব্যাখ্যায় শাহরিয়ার বলেছেন, ‘আমরা যখন দেশের বাইরে খেলতে যাই, দেখি বেশির ভাগ উইকেটে গতি আর বাউন্স থাকে। ওই পেস, বাউন্স যেন ভালোভাবে খেলা যায়, সে কারণেই কংক্রিট উইকেট তৈরি করা। এখানে বল স্কিড ও বাউন্স করবে। ব্যাটারদের যেমন অনুশীলন হবে, তেমনি বোলারদেরও এ ধরনের উইকেটে অনুশীলনের সুযোগ হবে।’

আগেও মিরপুরে এমন কংক্রিটের উইকেট তৈরি করতে দেখা গিয়েছিল। ২০১৪ সালে চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ হয়ে আসার পর মিরপুরে এমন উইকেট দেখা গিয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত ২০১৫ বিশ্বকাপের আগে হাথুরুর চাহিদা অনুযায়ী মিরপুরে কৃত্রিম বাউন্সি উইকেট তৈরি করা হয়েছিল। উইকেটের ওপর বিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল গ্রানাইটের স্ল্যাব। গ্রানাইট দেওয়ায় বল স্কিড করত, মিলত বাড়তি গতি। বল উঠে আসত ব্যাটারদের বুকসমান উচ্চতায়।

কদিনের মধ্যে উইকেট তৈরির কাজ শেষ করবে গ্রাউন্ডস কমিটি। ১২ সেপ্টেম্বর থেকে মিরপুরে শুরু হবে নতুন টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট শ্রীধরন শ্রীরামের অনুশীলন ক্যাম্প। এ সময় কংক্রিটের উইকেটে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে কাজ করার কথা রয়েছে তাঁর। ২০১৫ বিশ্বকাপে এ ধরনের প্রস্তুতি যে ভালো কাজে দিয়েছিল, টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের সাফল্য সেটিই প্রমাণ করেছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত