Ajker Patrika

গণটিকা কেন্দ্রে দীর্ঘ সারি

বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২: ৪৪
গণটিকা কেন্দ্রে দীর্ঘ সারি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উদ্‌যাপন উপলক্ষে তিন পার্বত্য জেলায় গণটিকা কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।

বান্দরবানে মোট ৫৪ হাজার করোনা সুরক্ষা টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে একটি কেন্দ্রে তিনটি বুথ ও বান্দরবান পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ১৮টি বুথের মাধ্যমে এ টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

মঙ্গলবার যাঁরা টিকা দিতে পারেননি, তাঁদের পরবর্তীতেও এই টিকা দেওয়ার সুযোগ থাকবে। বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা. অং সুই প্রু মারমা গতকাল দুপুরে আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এদিকে বান্দরবানে গণ টিকার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। তিনি গতকাল পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর মিলনায়তনে এ টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

এ সময় বীর বাহাদুর এমপি বলেন, সরকার প্রত্যেকের জন্য টিকার ব্যবস্থা করেছে। টিকা নিয়ে কোনো গুজবে কান দেওয়ার বা হতাশ হওয়ার কিছু নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষকে করোনা সুরক্ষার জন্য টিকা সংগ্রহে অনেক দেশ ও উৎপাদনকারী কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করে টিকা সংগ্রহ করে যাচ্ছেন।

বান্দরবানের সিভিল সার্জন বলেন, বান্দরবানে ৩৩টি ইউনিয়ন রয়েছে, প্রতিটি ইউনিয়নে একটি কেন্দ্রে করোনার টিকা দেওয়ার সুবিধার্থে তিনটি করে বুথ করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নের একটি বুথে ৫০০ করে মোট এক হাজার ৫০০ টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া বান্দরবান পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে দুটি করে বুথ করা হয়েছে। প্রতিটি বুথে ২৫০ ডোজ করে ৫০০ ডোজ টিকা দেওয়া হবে।

এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বান্দরবানের ৩৩টি ইউনিয়নে মোট ৪৯ হাজার ৫০০ ডোজ ও বান্দরবান পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ৪ হাজার ৫০০ ডোজসহ মোট ৫৪ হাজার ডোজ টিকা দেওয়ার কথা।

সিভিল সার্জন বলেন, দুর্গম এলাকাগুলোতে একদিনে হয়তো লক্ষ্যমাত্রার সবাইকে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে না। তাদের পরের দিন বা যখনই আসবেন তাঁদের টিকা দেওয়া হবে। তিনি বলেন, বিগত ৭ আগস্ট ও ৭ সেপ্টেম্বর গণ টিকার সময় বান্দরবানে ২১ হাজার করে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য স্থির করা হয়েছিল, ওই সময় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হয়।

এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশ উপজেলার দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে যেন টিকা ফেরত না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

গতকাল প্রধানমন্ত্রীর ৭৫ তম জন্মদিন উপলক্ষে নানিয়ারচরে গণটিকা কার্যক্রম কেন্দ্র পরিদর্শন কালে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময়ে উপজেলার কেন্দ্র সমূহ পরিদর্শন কালে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিউলি রহমান (তিন্নি), নানিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মেডিকেল অফিসার ডা. নূয়েন খীসা।

এদিকে জেলা করোনা ফোকাল পার্সন ডাক্তার মোস্তফা কামাল বলেন প্রতিটি ইউনিয়নে ১৫০০ করে করোনা টিকা পাঠানো হয়েছে।

এদিকে খাগড়াছড়িতেও গতকাল দ্বিতীয় ধাপে করোনার গণ টিকা প্রদান কার্যক্রম চলে। সকাল থেকে জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় একযোগে এ কার্যক্রম শুরু হয়। ওয়ার্ড ভিত্তিক এ কার্যক্রম করার কথা থাকলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকায় কেন্দ্র সংকটের কারণে খাগড়াছড়ি পৌরসভা এলাকার টিকা প্রত্যাশীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। স্থায়ী টিকা প্রদান কেন্দ্রে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা নিতে হয়। তবে অন্যান্য উপজেলায় সদর ইউনিয়নে একটি করে কেন্দ্র রাখা হয়েছে।

খাগড়াছড়ির ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মিঠুন চাকমা জানান, খাগড়াছড়িতে দ্বিতীয় ধাপে করোনা টিকা প্রদানে ৩০ হাজার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলায় এখন পর্যন্ত ২ লক্ষাধিক টিকা প্রত্যাশী নিবন্ধন করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চোখের জলে বিদায় সাংবাদিক বিভুরঞ্জনকে

ডাকসু নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হলে সব বলে দেব: উপাচার্য নিয়াজ আহমদ খান

বুড়িগঙ্গা থেকে তরুণ-তরুণীর হাত বাঁধা লাশ উদ্ধার

অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তাকে আটকের দাবি বিএসএফের

বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির সঙ্গে বৈঠক করলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত