Ajker Patrika

সড়কে খানাখন্দ, ভোগান্তি

নওগাঁ প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ জানুয়ারি ২০২২, ১৭: ০৭
সড়কে খানাখন্দ, ভোগান্তি

নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় আহসানগঞ্জ রেলস্টেশনসংলগ্ন উত্তর পাশের সড়কটি বেহাল। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় এ সড়কের বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খানাখন্দে গাড়ির চাকা পড়ে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

স্থানীয়রা বলছেন, আত্রাইয়ের এই সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক। এ সড়কটি পতিসরে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ি, সিংড়ার কালীগঞ্জ হয়ে বগুড়া এবং মহাত্মা গান্ধীর ঐতিহাসিক গান্ধী আশ্রমে যাতায়াতের জন্য ব্যবহার হয়। অথচ সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার করা হয়নি। বর্তমানে এটি খানাখন্দে ভরা।

সরেজমিন দেখা গেছে, খানাখন্দে পানি জমে সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এসব খানাখন্দে রিকশা কিংবা সিএনজিচালিত অটোরিকশার চাকা আটকে গিয়ে প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটছে। বেহাল সড়কের কিছু গর্তে ইটের টুকরো ফেলে সংস্কারের চেষ্টা করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে।

জানা গেছে, আত্রাই সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে রেলওয়ে প্ল্যাটফর্মের উত্তর পাশ দিয়ে বেশ কয়েক বছর আগে চলাচলের জন্য সড়কটি নির্মাণ করা হয়। এটি আত্রাই-পতিসর সড়কের সংযোগ সড়ক। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ব্যস্ততম এই সড়ক দিয়ে ট্রাক, ট্রাক্টর, সিএনজিসহ ভারী ও হালকা হাজারো যানবাহন চলাচল করে।

এদিকে আত্রাই মাছবাজারের অধিকাংশ মাছবাহী মিনি ট্রাক এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। ফলে মাছবাহী গাড়ির পানিতে রাস্তাটি কাদা-মাটিতে একাকার হয়ে যায়। এতে তৈরি হয় বড় গর্ত। গর্তে জমা পানি আর কাদায় পথচারীদের দুর্ভোগ চরমে ওঠে। এ ছাড়া মাঝেমধ্যেই ভারী যানবাহন গর্তে আটকে গিয়ে সৃষ্টি হয় যানজটের। ফলে ঝুঁকি নিয়েই এ পথে চলাচল করতে হয়।

পথচারী শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বছরের পর বছর কোনো সংস্কার কিংবা মেরামত না করায় গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। শুধু দুর্ভোগই নয়, সড়কটি আমাদের জীবনচাকাকে থামিয়ে দিয়েছে। কোনো পণ্য পরিবহন করা যায় না। ভাঙা সড়কে গাড়ি উল্টে  অথবা মালামাল পড়ে যায়।’

আরেক পথচারী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রতিদিনই গর্তে ছোট যানবাহন পড়ে দুর্ঘটনা ঘটছে। আর নষ্ট হচ্ছে অটোভ্যান ও রিকশাসহ অন্যান্য যানবাহন। তাই সড়কটি দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্বের পরিকল্পনা নিয়ে দ্রুত নির্মাণের জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।

সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক জালাল হোসেন বলেন, সড়কটির অবস্থা খুবই খারাপ। ওই রাস্তার যাত্রীরা ভাড়া বাড়িয়ে দিলেও যাওয়ার ইচ্ছে হয় না। ২০ টাকা ভাড়া নিতে গিয়ে গাড়ি নষ্ট হয়ে ২০০ টাকা খরচ হয়। এ জন্য ওই রাস্তায় চলাচলই বাদ দিয়েছেন তিনি।

আত্রাই মাছবাজার বণিক সমিতির সভাপতি শিপন প্রাং বলেন, এ সড়ক দিয়েই প্রতিদিন সকাল-দুপুর মাছবাজারে মিনি ট্রাক, ভটভটি ও অন্যান্য গাড়ি আসে। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান তিনি। সড়কটি সংস্কার হলে ব্যবসার-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আত্রাই উপজেলা প্রকৌশলী জোনায়েত আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, জনগুরুত্বের কথা বিবেচনা করে সড়কটি সংস্কারের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ঠিকাদারও নির্বাচন করা হয়েছে। দ্রুতই সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত