১৯৭০ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন সেতারা বেগম। পেশায় চিকিৎসক তিনি। পোস্টিং হয়েছিল কুমিল্লা সেনানিবাসে। ভাই মেজর হায়দার আগে থেকেই পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন।
১৯৭১ সালের মার্চ মাসে যখন যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল, তখন তিনি ছুটিতে কিশোরগঞ্জে ছিলেন। কুমিল্লা কম্বাইন্ড মেডিকেল হাসপাতাল বা সিএমএইচ থেকে টেলিগ্রাম করে তাঁকে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার কথা বলা হলো। কিন্তু সেতারা বেগম নানাভাবে সেই প্রস্তাব এড়িয়ে গেলেন।
এর মধ্যে একদিন মেজর হায়দার আসেন মেজর নাসিম ও ভারতের একজন সেনা কর্মকর্তাকে নিয়ে। ময়মনসিংহ আর কিশোরগঞ্জের মধ্যে একটি ব্রিজ বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু পরদিন থেকেই সে এলাকায় পাকিস্তানিদের বোমারু বিমান উড়তে শুরু করে। সেতারা বেগমের মনে হলো, যেহেতু ভাই আর তিনি সেনাবাহিনীর লোক, তাই তাঁদের খোঁজে পাকিস্তানিরা আসতে পারে। তখনই এখান থেকে চলে যাওয়ার কথা ভাবছিলেন।
জুলাই মাসে সেতারা বেগম ও তাঁর পরিবার একটি চিঠি পান। সেই চিঠির সঙ্গে ছিল একটি পিস্তল। চিঠি পাঠিয়েছিলেন সেতারা বেগমের বড় ভাই মেজর হায়দার। তিনি বলছিলেন, সেতারা বেগম যেন দেশ ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যান। আর পথে ধরা পড়লে এই পিস্তল দিয়ে যেন আত্মহত্যা করেন।
সেতারা বেগম ভাইয়ের পরামর্শ অনুযায়ী গুজাদিয়া ঘাট থেকে একটি নৌকায় করে সিলেট সীমান্ত দিয়ে ভারতের টেকেরঘাটে পৌঁছান। সেখান থেকে ভারতের মেলাঘরে যান। সেখানে ছিল বাংলাদেশ হাসপাতাল। সেটি ছিল একটি টিনের ঘর। আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা করার জন্যই ছিল এই হাসপাতাল। সেখানে কমান্ডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পান। যুক্তরাজ্য থেকে বেশ কিছুসংখ্যক চিকিৎসকও এসে সেই হাসপাতালে যোগ দেন। ৪০০ শয্যার এই হাসপাতালে মুক্তিবাহিনীর আহত সদস্যদের চিকিৎসা দেন সেতারা বেগম।
দিনের পর দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে মুক্তিযোদ্ধাদের আবার ফ্রন্টে পাঠানোর মতো সুস্থ করে তোলেন। তিনি বীর প্রতীক পদকে ভূষিত হয়েছেন।
সূত্র: ডয়চে ভেলে
১৯৭০ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন সেতারা বেগম। পেশায় চিকিৎসক তিনি। পোস্টিং হয়েছিল কুমিল্লা সেনানিবাসে। ভাই মেজর হায়দার আগে থেকেই পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন।
১৯৭১ সালের মার্চ মাসে যখন যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল, তখন তিনি ছুটিতে কিশোরগঞ্জে ছিলেন। কুমিল্লা কম্বাইন্ড মেডিকেল হাসপাতাল বা সিএমএইচ থেকে টেলিগ্রাম করে তাঁকে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার কথা বলা হলো। কিন্তু সেতারা বেগম নানাভাবে সেই প্রস্তাব এড়িয়ে গেলেন।
এর মধ্যে একদিন মেজর হায়দার আসেন মেজর নাসিম ও ভারতের একজন সেনা কর্মকর্তাকে নিয়ে। ময়মনসিংহ আর কিশোরগঞ্জের মধ্যে একটি ব্রিজ বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু পরদিন থেকেই সে এলাকায় পাকিস্তানিদের বোমারু বিমান উড়তে শুরু করে। সেতারা বেগমের মনে হলো, যেহেতু ভাই আর তিনি সেনাবাহিনীর লোক, তাই তাঁদের খোঁজে পাকিস্তানিরা আসতে পারে। তখনই এখান থেকে চলে যাওয়ার কথা ভাবছিলেন।
জুলাই মাসে সেতারা বেগম ও তাঁর পরিবার একটি চিঠি পান। সেই চিঠির সঙ্গে ছিল একটি পিস্তল। চিঠি পাঠিয়েছিলেন সেতারা বেগমের বড় ভাই মেজর হায়দার। তিনি বলছিলেন, সেতারা বেগম যেন দেশ ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যান। আর পথে ধরা পড়লে এই পিস্তল দিয়ে যেন আত্মহত্যা করেন।
সেতারা বেগম ভাইয়ের পরামর্শ অনুযায়ী গুজাদিয়া ঘাট থেকে একটি নৌকায় করে সিলেট সীমান্ত দিয়ে ভারতের টেকেরঘাটে পৌঁছান। সেখান থেকে ভারতের মেলাঘরে যান। সেখানে ছিল বাংলাদেশ হাসপাতাল। সেটি ছিল একটি টিনের ঘর। আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা করার জন্যই ছিল এই হাসপাতাল। সেখানে কমান্ডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পান। যুক্তরাজ্য থেকে বেশ কিছুসংখ্যক চিকিৎসকও এসে সেই হাসপাতালে যোগ দেন। ৪০০ শয্যার এই হাসপাতালে মুক্তিবাহিনীর আহত সদস্যদের চিকিৎসা দেন সেতারা বেগম।
দিনের পর দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে মুক্তিযোদ্ধাদের আবার ফ্রন্টে পাঠানোর মতো সুস্থ করে তোলেন। তিনি বীর প্রতীক পদকে ভূষিত হয়েছেন।
সূত্র: ডয়চে ভেলে
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫