Ajker Patrika

আ.লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ২৬ নভেম্বর ২০২১, ১৬: ২৭
আ.লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন

ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন আওয়ামীপন্থী জেলা আইনজীবী সমিতির সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মো. এমদাদুল হকসহ আটজন। বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তির ঘটনায় বিএনপিপন্থী ১১ আইনজীবীর বিরুদ্ধে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তাদের পক্ষে জামিনের শুনানিতে অংশ নিয়ে মেয়াদ বাড়ানোয় তাঁর বিরুদ্ধে এই আবেদন করা হয়েছে। তবে তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী বরাবর আবেদনটি করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, গত ২১ আগস্ট রাতে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাবেক নেতা নুরুল হকের নেতৃত্বে একটি মিছিলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ স্লোগান ও বক্তব্য ফেসবুকে লাইভ প্রচার করা হয়।

এ ঘটনায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে নুরুল হকসহ ১১ আইনজীবীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ জেলা শাখার সদস্যসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম মুহাম্মদ আজাদ। পরে ১৯ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট থেকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন নেন বিএনপিপন্থী ১১ আইনজীবী। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত ১৬ নভেম্বর ছিল হাজিরার দিন। ওই দিন দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা আত্মসমর্পণের পর জামিন আবেদন করলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহুরুল হক খোকা নিজেদের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য তাঁদের জামিন আরও বৃদ্ধির আবেদন করেন। পরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. হেলাল উদ্দিন আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি করেন।

আওয়ামীপন্থী অনেক আইনজীবীর অভিযোগ, জাতির পিতাকে নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়ার পরও কীভাবে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের পক্ষ নেন। এ কারণেই ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী বরাবর আবেদন করেছেন তাঁরা।

জেলা আইনজীবী সমিতির সহসভাপতি মো. এমদাদুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করার অভিযোগে বিএনপিপন্থী ১১ আইনজীবীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। ওই মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল হক খোকা তাঁদের পক্ষে শুনানি করে জামিন বাড়ানোর আবেদন করেন। পরে আদালত জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি করেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা। তাই ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী বরাবর আবেদন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল হক খোকা বলেন, ‘ঘটনাটি সম্পূর্ণ বানোয়াট ও মিথ্যা। পূর্বের কিছু ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই আমার বিপক্ষে কিছু আইনজীবী অপপ্রচার চালাচ্ছেন। বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের পক্ষে আমি কোনো শুনানি করিনি। কারণ আগেই তাঁরা হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে আসেন। ওই দিন তাঁরা হাজিরা দিতে যান। সেখানে আদালত তাদের জামিন দেন।’

জহিরুল হক খোকা আরও বলেন, ‘ঘটনার দিন আমি অন্য একটি কাজে আদালতে গিয়েছিলাম। ঘটনা চক্রে ওই মামলার কার্যক্রমের পরই ছিল আমার মামলার কার্যক্রম। পরে আমি যেতেই আমাকে সবাই ধরে সেখানে নিয়ে যান। আমি এতটুকুই জানি। এর চাইতে বেশি কিছু আমার জানা নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত