ইলিয়াস আহমেদ, ময়মনসিংহ
২০০২ সালের ৭ ডিসেম্বর। এই দিনে ময়মনসিংহের অলকা, ছায়াবাণী, পূরবী ও অজন্তা সিনেমা হলে একযোগে বোমা হামলা হয়েছিল। এতে প্রাণ হারান ১৭ জন। আহত হন আরও অনেকে। এ ঘটনায় প্রথমে চারটি মামলা হয়। পরে এগুলো দুই ভাগ হয়ে চারটি বিস্ফোরক ও চারটি হয় হত্যা মামলা। এর তদন্ত করেন সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ময়মনসিংহ বিশেষ জজ আদালতে পূরবী ও অলকা সিনেমা হলে বোমা হামলার দুটি মামলা বিচারাধীন। দুটি মামলারই পরবর্তী শুনানি হবে আগামী আগামী ৯ জানুয়ারি। ২০০৬ সালের ৬ জুন জেএমবি নেতা সালেহীন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। তিনি জানিয়েছিলেন, জামালপুরে শায়খ আবদুর রহমানের বাসায় এবং পরে ময়মনসিংহের কলেজ রোডের একটি বাসায় হামলার পরিকল্পনা হয়। সে অনুযায়ী ৭ ডিসেম্বর জেএমবি সদস্য শহীদ, মিজান, মাসুদ ও কামাল একই সময়ে চার সিনেমা হলে বোমা হামলা চালান।
এ ঘটনায় সারা দেশে জারি করা হয় রেড অ্যালার্ট। গ্রেপ্তার করা হয় আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক সাবের হোসেন চৌধুরী, মুনতাসীর মামুন, শাহরিয়ার কবির ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ মতিউর রহমানসহ ৩১ জনকে। পরে সিআইডির অভিযোগপত্রে অব্যাহতি পান নির্দোষ ব্যক্তিরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আসামিদের মধ্যে আনোয়ার হোসেন ওরফে ভাগনে শহীদ কারাগারে রয়েছেন। সালেউদ্দিন আহম্মেদ ওরফে সালেহীন এবং জাহিদুল ইসলাম সুমন ওরফে বোমা মিজানকে ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি কাশিমপুর কারাগার থেকে ময়মনসিংহের আদালতে নেওয়া হচ্ছিল। এদিন ত্রিশালে প্রিজনভ্যানে হামলা চালিয়ে এক পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে তাদের ছিনিয়ে নেয় সহযোগীরা। আর সজিব ওরফে সোহেল কোনো সন্ধান নেই।
নগরীর কালিবাড়ি থানারঘাট এলাকায় বসবাস করেন আবদুল কদ্দুস ফকির। চা দোকান করে সংসার চলে তার। অলকা সিনেমা হলে হামলায় নিহত হন তাঁর ছেলে মোফাজ্জল, ভাই নইম উদ্দিন এবং ভাগনে কামাল।
আবদুল কদ্দুস ফকির বলেন, সে সময় সামান্য কিছু আর্থিক সহযোগিতা পেয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে খোঁজ নেয়নি কেউ। সন্তান ও স্বজন হত্যার বিচার পাবেন কি না সেটি নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েছেন।
নগরীর থানাঘাট এলাকার মুদি দোকানি বোমা হামলায় আহত শাহীন। সেদিন তাঁর সঙ্গে থাকা মামা, মামাতো ভাই ও বড় ভাইয়ের মৃত্যু দেখেছেন। প্রাণে বাঁচলেও মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পান। এ ছাড়া আহতদের মধ্যে নগরীর ভাটিকাশরের যুবক রাজিব খানের ডান পা নেই। বছরের বেশির ভাগ সময় অসুস্থ থাকেন তিনি।
রাজিব খান বলেন, তিনি কবরের খোঁড়ার কাজ করতেন। সেদিন অলকা সিনেমা হলে সিনেমা শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যে বোমা হামলা হয়। যখন জ্ঞান ফেরে তখন দেখেন নিজের একটি পা নেই। তখন কিছু সহায়তা পেলেও এখন জীবন কাটছে খুব কষ্টে।
ময়মনসিংহ বিশেষ জজ আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শেখ আবুল হাশেম কয়টি মামলা চলমান রয়েছে বলতে না পারলেও সাক্ষ্যের পর্যায়ে রয়েছে জানান। তিনি বলেন, নোটিশ পাঠানো হলেও সাক্ষী না আসায় বিলম্ব হচ্ছে। তাঁরা সাক্ষ্য দিলে মামলা চূড়ান্ত পর্যায়ে গিয়ে নিষ্পত্তি হয়ে যেতো। সমন জারি করার দায়িত্ব আদালতের পেশকারের। থানা থেকে ফিরতি প্রতিবেদন না আসায় তিনিও কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছেন না।
মামলার সাক্ষী শিক্ষক মফিজুন নূর খোকা বলেন, তিনি মামলার সাক্ষী, সে বিষয়টি জানেন না। সমন পেলে অবশ্যই সাক্ষ্য দেবেন। ইতিপূর্বে ঢাকায় কয়েকটি মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন তিনি।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ কামাল আকন্দ বলেন, সমন এলে অবশ্যই সাক্ষীদের আদালতে হাজির করার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কিন্তু তাঁরা কোনো সমন পাননি। তবে আদালতের পেশকার আবদুল হক দাবি করেন, তিনি নিয়মিত সাক্ষীদের হাজির হওয়ার জন্য সমন পাঠাচ্ছেন।
২০০২ সালের ৭ ডিসেম্বর। এই দিনে ময়মনসিংহের অলকা, ছায়াবাণী, পূরবী ও অজন্তা সিনেমা হলে একযোগে বোমা হামলা হয়েছিল। এতে প্রাণ হারান ১৭ জন। আহত হন আরও অনেকে। এ ঘটনায় প্রথমে চারটি মামলা হয়। পরে এগুলো দুই ভাগ হয়ে চারটি বিস্ফোরক ও চারটি হয় হত্যা মামলা। এর তদন্ত করেন সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ময়মনসিংহ বিশেষ জজ আদালতে পূরবী ও অলকা সিনেমা হলে বোমা হামলার দুটি মামলা বিচারাধীন। দুটি মামলারই পরবর্তী শুনানি হবে আগামী আগামী ৯ জানুয়ারি। ২০০৬ সালের ৬ জুন জেএমবি নেতা সালেহীন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। তিনি জানিয়েছিলেন, জামালপুরে শায়খ আবদুর রহমানের বাসায় এবং পরে ময়মনসিংহের কলেজ রোডের একটি বাসায় হামলার পরিকল্পনা হয়। সে অনুযায়ী ৭ ডিসেম্বর জেএমবি সদস্য শহীদ, মিজান, মাসুদ ও কামাল একই সময়ে চার সিনেমা হলে বোমা হামলা চালান।
এ ঘটনায় সারা দেশে জারি করা হয় রেড অ্যালার্ট। গ্রেপ্তার করা হয় আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক সাবের হোসেন চৌধুরী, মুনতাসীর মামুন, শাহরিয়ার কবির ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ মতিউর রহমানসহ ৩১ জনকে। পরে সিআইডির অভিযোগপত্রে অব্যাহতি পান নির্দোষ ব্যক্তিরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আসামিদের মধ্যে আনোয়ার হোসেন ওরফে ভাগনে শহীদ কারাগারে রয়েছেন। সালেউদ্দিন আহম্মেদ ওরফে সালেহীন এবং জাহিদুল ইসলাম সুমন ওরফে বোমা মিজানকে ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি কাশিমপুর কারাগার থেকে ময়মনসিংহের আদালতে নেওয়া হচ্ছিল। এদিন ত্রিশালে প্রিজনভ্যানে হামলা চালিয়ে এক পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে তাদের ছিনিয়ে নেয় সহযোগীরা। আর সজিব ওরফে সোহেল কোনো সন্ধান নেই।
নগরীর কালিবাড়ি থানারঘাট এলাকায় বসবাস করেন আবদুল কদ্দুস ফকির। চা দোকান করে সংসার চলে তার। অলকা সিনেমা হলে হামলায় নিহত হন তাঁর ছেলে মোফাজ্জল, ভাই নইম উদ্দিন এবং ভাগনে কামাল।
আবদুল কদ্দুস ফকির বলেন, সে সময় সামান্য কিছু আর্থিক সহযোগিতা পেয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে খোঁজ নেয়নি কেউ। সন্তান ও স্বজন হত্যার বিচার পাবেন কি না সেটি নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েছেন।
নগরীর থানাঘাট এলাকার মুদি দোকানি বোমা হামলায় আহত শাহীন। সেদিন তাঁর সঙ্গে থাকা মামা, মামাতো ভাই ও বড় ভাইয়ের মৃত্যু দেখেছেন। প্রাণে বাঁচলেও মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পান। এ ছাড়া আহতদের মধ্যে নগরীর ভাটিকাশরের যুবক রাজিব খানের ডান পা নেই। বছরের বেশির ভাগ সময় অসুস্থ থাকেন তিনি।
রাজিব খান বলেন, তিনি কবরের খোঁড়ার কাজ করতেন। সেদিন অলকা সিনেমা হলে সিনেমা শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যে বোমা হামলা হয়। যখন জ্ঞান ফেরে তখন দেখেন নিজের একটি পা নেই। তখন কিছু সহায়তা পেলেও এখন জীবন কাটছে খুব কষ্টে।
ময়মনসিংহ বিশেষ জজ আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শেখ আবুল হাশেম কয়টি মামলা চলমান রয়েছে বলতে না পারলেও সাক্ষ্যের পর্যায়ে রয়েছে জানান। তিনি বলেন, নোটিশ পাঠানো হলেও সাক্ষী না আসায় বিলম্ব হচ্ছে। তাঁরা সাক্ষ্য দিলে মামলা চূড়ান্ত পর্যায়ে গিয়ে নিষ্পত্তি হয়ে যেতো। সমন জারি করার দায়িত্ব আদালতের পেশকারের। থানা থেকে ফিরতি প্রতিবেদন না আসায় তিনিও কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছেন না।
মামলার সাক্ষী শিক্ষক মফিজুন নূর খোকা বলেন, তিনি মামলার সাক্ষী, সে বিষয়টি জানেন না। সমন পেলে অবশ্যই সাক্ষ্য দেবেন। ইতিপূর্বে ঢাকায় কয়েকটি মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন তিনি।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ কামাল আকন্দ বলেন, সমন এলে অবশ্যই সাক্ষীদের আদালতে হাজির করার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কিন্তু তাঁরা কোনো সমন পাননি। তবে আদালতের পেশকার আবদুল হক দাবি করেন, তিনি নিয়মিত সাক্ষীদের হাজির হওয়ার জন্য সমন পাঠাচ্ছেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪