Ajker Patrika

বরাদ্দ কম, অভিযানে হিমশিম

মিজানুর রহমান রনি, উজিরপুর
আপডেট : ১১ অক্টোবর ২০২১, ০৯: ০৪
বরাদ্দ কম, অভিযানে হিমশিম

মা ইলিশ রক্ষায় উজিরপুর উপজেলা মৎস্য অফিসে বরাদ্দ সংকট দেখা দিয়েছে। এ কারণে অভিযান চালাতে হিমশিম খাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। গত ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মা ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা চলছে। গত ৪ অক্টোবর থেকে সন্ধ্যা নদীর ২০ কিলোমিটার এলাকায় সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এবং সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত মাত্র ১টি ট্রলার নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে আসছে উপজেলা প্রশাসন। এর মধ্যেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জেলেরা কারেন্ট জাল দিয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে মা ইলিশ নিধন করছেন। অথচ অর্থ সংকটে জোরালো অভিযান চালাতে পারছে না উপজেলা মৎস্য অফিস।

সরকারের নিষেধাজ্ঞার আগে জেলেদের জন্য চাল বরাদ্দ দিলেও পৌরসভা, শিকারপুর, বড়াকোঠা ইউনিয়নের জেলেরা পাননি বরাদ্দের চাল। মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার অভিযানে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে দেড় থেকে ২ লাখ টাকা। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে বরাদ্দ দিয়েছে ৩০ হাজার টাকা। এর ভেতর ভ্যাট ও আইটি বাদ দিয়ে থাকে মাত্র ২৫ হাজার টাকা। প্রতিদিন ১টি ট্রলারে ডিজেল খরচ হয় এক হাজার ২০০ টাকার, ট্রলারের মাঝিসহ ৪ জন শ্রমিককে পারিশ্রমিক দিতে হয় দুই হাজার টাকা। ১৫টি ব্যানারে খরচ ধরা হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। মা ইলিশ রক্ষায় সকলকে সচেতন করতে দুই দিন মাইকিংয়ের জন্য খরচ ধরা হয়েছে ৪ হাজার টাকা। জেলেদের নিয়ে ৭টি সচেতনতা সভায় ৭ হাজার টাকা, ২২ দিনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় ব্যয় ধরা হয়েছে ৮০ হাজার টাকা, অভিযানের জন্য খরচ ধরা হয়েছে ৯০ হাজার টাকা। এ ছাড়া আনুষঙ্গিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার টাকা। এ নিয়ে মোট দুই লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। গত ৪ অক্টোবর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এতে তিন জেলেকে এক মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শিমুল রানী পাল বলেন, ‘১টি ট্রলার দিয়ে ২০ কিলোমিটার সন্ধ্যা নদীতে অভিযান পরিচালনা করতে আমাদের হিমশিম খেতে হয়। এ কারণে একটি স্পিডবোটের জন্য বলা হয়েছে। এতে দৈনিক খরচ হবে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। সরকার আমাদের যে বরাদ্দ দিয়েছে তা খুবই সামান্য। তবে উপজেলা পরিষদ থেকে সরকারের বরাদ্দের সঙ্গে যোগ করে সমন্বয় করা হয়ে থাকে। তবে এখন পর্যন্ত উজিরপুর উপজেলা পরিষদ থেকে বরাদ্দের কোনো বিষয় আমাকে জানানো হয়নি।’

জেলেদের চাল বরাদ্দের বিষয় জানতে চাইলে শিমুল রানী পাল বলেন, ‘অভিযানের আগেই ইউপি সচিবদের ফোন করে চাল বরাদ্দের বিষয়টি জানানো হয়েছে। গুঠিয়া, সাতলাসহ কয়েকটি এলাকায় চাল দেওয়া হয়েছে। যদি কেউ চাল নিতে না আসে তাহলে আমি কী করতে পারি?’

ইউএনও প্রণতি বিশ্বাস বলেন, ‘সরকার যে বরাদ্দ দেয় তাতে আমাদের অভিযান পরিচালনা করতে কিছুটা বেগ পেতে হয়। তবে উপজেলা পরিষদের ফান্ড থেকে যতটুকু সম্ভব সমন্বয় করার চেষ্টা করি। আসলে যে খরচ হয় সমন্বয় করার পরেও তাতে সংকুলান হয় না।’

বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘কর্ম এলাকা নির্ধারণ ও গুরুত্ব বিবেচনায় বরাদ্দ দেওয়া হয়। উজিরপুর উপজেলাকে যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তা আমার কাছে সঠিক মনে হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সাবেক সিইসি নূরুল হুদার গলায় ‘জুতার মালা’ দিয়ে পুলিশে সোপর্দ

ইরানের পতন হলে, এরপরই রাশিয়া—অভিমত রুশ বিশ্লেষকদের

লাইভ-২ (২৩ জুন, ২০২৫): ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, হরমুজ প্রণালী বন্ধের হুঁশিয়ারি, জাতিসংঘে জরুরি বৈঠক

ইসরায়েলে ২০ লাখ রুশভাষীর বাস, রাশিয়াকে তাঁদের কথা ভাবতে হয়: পুতিন

হরমুজ প্রণালিতে প্রবেশ করে ইউটার্ন নিল দুটি জাহাজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত