আয়নাল হোসেন, ঢাকা
দেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে অনেকের রক্তের প্লাজমা ও প্লাটিলেট প্রয়োজন হচ্ছে। এতে চাহিদা বেড়েছে ডাবল ও ট্রিপল ব্লাড ব্যাগের। সেই সঙ্গে বেড়েছে দামও। এতে ব্যয় আরও বাড়ল ডেঙ্গু চিকিৎসায়।
পুরান ঢাকার মিটফোর্ড এলাকার ওষুধের দোকানগুলোয় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেএমএস কোম্পানির একটি দাতার কাছ থেকে রক্ত নেওয়ার ডাবল ব্লাড ব্যাগের দাম ছিল ৩৪০-৩৫০ টাকা। সরবরাহের সংকটে এখন তা ৬৫০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ট্রিপল ব্যাগের দাম আগে যেখানে ৪০০-৪০৫ টাকা ছিল, বর্তমানে তা ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে ২০৫ টাকার সিঙ্গেল ব্যাগ এখন ৩৫০-৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
হঠাৎ রক্তের ব্যাগের এমন মূল্যবৃদ্ধির জন্য সিন্ডিকেটকে দুষছেন সার্জিক্যাল ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, ব্লাড ব্যাগ মূলত হাতে গোনা দু-একটি প্রতিষ্ঠান আমদানি করছে। এসব আমদানিকারকের কাছ থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা নিয়ে একধরনের সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন। সিন্ডিকেটের কারণে ব্যাগের দাম অনেক বেড়েছে।
অন্যদিকে ব্লাড ব্যাগ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা জানান, দুই মাস আগে তাঁদের প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার ব্যাগ ডাবল ও ট্রিপল ব্যাগ আমদানির অনুমোদন চেয়ে ঔষধ প্রশাসনে আবেদন করেন। কিন্তু গতকাল রোববার পর্যন্ত কোনো সাড়া মেলেনি। আমদানির অনুমোদন দেওয়ার পরই ঋণপত্র খোলার অনুমোদন পাওয়া যাবে। মূলত আমদানি করতে দেরি হওয়ায় বাজারে সংকট দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশ মেডিকেল ইনস্ট্রুমেন্ট অ্যান্ড হসপিটাল ইকুইপমেন্ট ডিলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের ঢাকা জেলা শাখার সভাপতি আতিকুর রহমানও দাবি করেন, অনুমোদন পেতে দেরি হওয়ার কারণে ব্যাগের সংকট দেখা দিয়েছে। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, দেশের চাহিদা অনুযায়ী ব্লাড ব্যাগের অনুমোদন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে দেশে ডাবল ও ট্রিপল ব্যাগের সংকট দেখা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশে বছরে ২০-৩০ হাজার ব্লাড ব্যাগের চাহিদা ছিল। বর্তমানে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ায় চাহিদা বেড়ে প্রায় দুই লাখে পৌঁছেছে।জানতে চাইলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উপপরিচালক নুরুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ওষুধ নীতি অনুযায়ী এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় ঢালাওভাবে আমদানির সুযোগ নেই। সারা বিশ্বেই এই চর্চা রয়েছে। তবে এখন চাহিদা বাড়ায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হবে।
গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২৯০৫ জন, মৃত্যু ১১
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে গতকাল রোববার পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ৮৫ হাজার ৪১১ জন। মারা গেছে ৩৯৮ জন। জুলাই মাসে ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন এবং চলতি আগস্টের ১৩ দিনে রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩৩ হাজার ৫৭৯ জন। গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২ হাজার ৯০৫ জন, যা এ পর্যন্ত এক দিনে সর্বোচ্চ ভর্তি রোগী। তাদের মধ্যে ঢাকা নগরীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ৪২ জন এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায় ১ হাজার ৮৬৩ জন। এই সময়ে নতুন করে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে অনেকের রক্তের প্লাজমা ও প্লাটিলেট প্রয়োজন হচ্ছে। এতে চাহিদা বেড়েছে ডাবল ও ট্রিপল ব্লাড ব্যাগের। সেই সঙ্গে বেড়েছে দামও। এতে ব্যয় আরও বাড়ল ডেঙ্গু চিকিৎসায়।
পুরান ঢাকার মিটফোর্ড এলাকার ওষুধের দোকানগুলোয় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেএমএস কোম্পানির একটি দাতার কাছ থেকে রক্ত নেওয়ার ডাবল ব্লাড ব্যাগের দাম ছিল ৩৪০-৩৫০ টাকা। সরবরাহের সংকটে এখন তা ৬৫০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ট্রিপল ব্যাগের দাম আগে যেখানে ৪০০-৪০৫ টাকা ছিল, বর্তমানে তা ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে ২০৫ টাকার সিঙ্গেল ব্যাগ এখন ৩৫০-৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
হঠাৎ রক্তের ব্যাগের এমন মূল্যবৃদ্ধির জন্য সিন্ডিকেটকে দুষছেন সার্জিক্যাল ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, ব্লাড ব্যাগ মূলত হাতে গোনা দু-একটি প্রতিষ্ঠান আমদানি করছে। এসব আমদানিকারকের কাছ থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা নিয়ে একধরনের সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন। সিন্ডিকেটের কারণে ব্যাগের দাম অনেক বেড়েছে।
অন্যদিকে ব্লাড ব্যাগ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা জানান, দুই মাস আগে তাঁদের প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার ব্যাগ ডাবল ও ট্রিপল ব্যাগ আমদানির অনুমোদন চেয়ে ঔষধ প্রশাসনে আবেদন করেন। কিন্তু গতকাল রোববার পর্যন্ত কোনো সাড়া মেলেনি। আমদানির অনুমোদন দেওয়ার পরই ঋণপত্র খোলার অনুমোদন পাওয়া যাবে। মূলত আমদানি করতে দেরি হওয়ায় বাজারে সংকট দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশ মেডিকেল ইনস্ট্রুমেন্ট অ্যান্ড হসপিটাল ইকুইপমেন্ট ডিলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের ঢাকা জেলা শাখার সভাপতি আতিকুর রহমানও দাবি করেন, অনুমোদন পেতে দেরি হওয়ার কারণে ব্যাগের সংকট দেখা দিয়েছে। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, দেশের চাহিদা অনুযায়ী ব্লাড ব্যাগের অনুমোদন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে দেশে ডাবল ও ট্রিপল ব্যাগের সংকট দেখা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশে বছরে ২০-৩০ হাজার ব্লাড ব্যাগের চাহিদা ছিল। বর্তমানে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ায় চাহিদা বেড়ে প্রায় দুই লাখে পৌঁছেছে।জানতে চাইলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উপপরিচালক নুরুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ওষুধ নীতি অনুযায়ী এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় ঢালাওভাবে আমদানির সুযোগ নেই। সারা বিশ্বেই এই চর্চা রয়েছে। তবে এখন চাহিদা বাড়ায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হবে।
গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২৯০৫ জন, মৃত্যু ১১
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে গতকাল রোববার পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ৮৫ হাজার ৪১১ জন। মারা গেছে ৩৯৮ জন। জুলাই মাসে ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন এবং চলতি আগস্টের ১৩ দিনে রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩৩ হাজার ৫৭৯ জন। গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২ হাজার ৯০৫ জন, যা এ পর্যন্ত এক দিনে সর্বোচ্চ ভর্তি রোগী। তাদের মধ্যে ঢাকা নগরীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ৪২ জন এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায় ১ হাজার ৮৬৩ জন। এই সময়ে নতুন করে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪