রবিউল আলম, ঢাকা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির (বিডিইউ) উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হচ্ছে দুই মাস পর, আগামী ১২ জুন। এর আগেই বিশ্ববিদ্যালয়টির পরবর্তী উপাচার্য হিসেবে নিজেদের মধ্যে বাগ্যুদ্ধে নেমেছেন দুই অধ্যাপক। একজন বিডিইউর বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর। অপরজন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. আকতারুজ্জামান। তিনি এখন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ব্লেন্ডেড লার্নিং সেন্টারের পরিচালক।
গত বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিডিইউ কর্তৃপক্ষ জানায়, বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন পত্রিকায় নিবন্ধ ছাপিয়ে ড. মো. আকতারুজ্জামান তাঁর নিজের নামের পাশে বিডিইউর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক এবং আইসিটি ও শিক্ষা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান বলে পরিচয় দিচ্ছেন। কিন্তু প্রকৃত সত্য হচ্ছে বিডিইউয়ের সঙ্গে আকতারুজ্জামানের কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই। তিনি কখনোই বিশ্ববিদ্যালয়টির অধ্যাপক কিংবা বিভাগীয় প্রধান পদে ছিলেন না। তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা বিভাগে অধ্যাপক পদে চাকরির আবেদন করেছিলেন মাত্র।
এ ছাড়া আকতারুজ্জামানের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বানও জানায় বিশ্ববিদ্যালয়টি।
তবে বিডিইউ কর্তৃপক্ষের এ অভিযোগ নাকচ করেছেন অধ্যাপক আকতারুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘অধ্যাপক মুনাজ নূর দ্বিতীয় মেয়াদের উপাচার্য হওয়ার জন্য আমাকে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে ব্যক্তিগত আক্রোশে এই হীন কাজগুলো করছেন।’
গত শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে আকতারুজ্জামান জানান, ২০১৯ সালের ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাকালীন অধ্যাপক (চুক্তিভিত্তিক) এবং বিভাগীয় প্রধান (ভারপ্রাপ্ত), আইসিটি ও শিক্ষা বিভাগ এ কর্মরত ছিলেন। এর আগে তিনি গাজীপুরে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতে (আইইউটি-ওআইসি) ২০০৮ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত ১০ বছর শিক্ষকতা করেন।
বিবৃতিতে আকতারুজ্জামান বলেন, ‘আমার অভিজ্ঞতার আলোকে এ দেশের অনেক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ আমাকে দেশের সেরা ব্লেন্ডেড ও অনলাইন এডুকেশন এক্সপার্ট মনে করে। দেশের প্রয়োজনে আমার অভিজ্ঞতা দিয়ে হার্ভার্ড ও স্ট্যানফোর্ড গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব এডুকেশনের আলোকে আমি বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল ইউনিভার্সিটিতে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে বিএসসি ইন আইসিটি এডুকেশন চালু করেছিলাম।’
যোগাযোগ করা হলে অধ্যাপক আকতারুজ্জামান গতকাল শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় হলো বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়। ৬০ থেকে ৭০ বছরের কাউকে নয়, বরং এটা যুব পেশাজীবীদের দিয়েই চলার কথা। আমি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে সরকারের অনেক সংস্থার সঙ্গে কাজ করেছি। আমাকে বর্তমান উপাচার্য তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ভেবেই হয়তো আমার বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন।’
আকতারুজ্জামান আরও বলেন, বিডিইউ আইন-২০১৬ অনুযায়ী, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হবেন সেই ব্যক্তি, যিনি তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষ। কিন্তু বর্তমান উপাচার্য সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হয়ে ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য হতে পারেন কি না তা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন রয়েই যায়।
আকতারুজ্জামানের এই দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক মুনাজ নূর গতকাল সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘তাঁকে (আক্তারুজ্জামান) বিশ্ববিদ্যালয়ে চুক্তিভিত্তিক নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু উনি সব জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবে পরিচয় দিয়েই যাচ্ছেন। বিষয়টি অনেকেই আমার নজরে আনেন এবং পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বলেন। আমি তাঁকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করিনি বরং তিনি ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন। তিনি সাবেক শিক্ষক হিসেবে পরিচয় দিতে পারেন।’
মুনাজ নূর আরও বলেন, ‘আর আমার অবস্থা এত নিচে যায়নি যে আমি তাঁকে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবব। উনি যা না, তার চেয়ে নিজেকে দশগুণ বেশি দাবি করেন।’
উপাচার্য সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির (বিডিইউ) উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হচ্ছে দুই মাস পর, আগামী ১২ জুন। এর আগেই বিশ্ববিদ্যালয়টির পরবর্তী উপাচার্য হিসেবে নিজেদের মধ্যে বাগ্যুদ্ধে নেমেছেন দুই অধ্যাপক। একজন বিডিইউর বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর। অপরজন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. আকতারুজ্জামান। তিনি এখন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ব্লেন্ডেড লার্নিং সেন্টারের পরিচালক।
গত বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিডিইউ কর্তৃপক্ষ জানায়, বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন পত্রিকায় নিবন্ধ ছাপিয়ে ড. মো. আকতারুজ্জামান তাঁর নিজের নামের পাশে বিডিইউর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক এবং আইসিটি ও শিক্ষা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান বলে পরিচয় দিচ্ছেন। কিন্তু প্রকৃত সত্য হচ্ছে বিডিইউয়ের সঙ্গে আকতারুজ্জামানের কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই। তিনি কখনোই বিশ্ববিদ্যালয়টির অধ্যাপক কিংবা বিভাগীয় প্রধান পদে ছিলেন না। তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা বিভাগে অধ্যাপক পদে চাকরির আবেদন করেছিলেন মাত্র।
এ ছাড়া আকতারুজ্জামানের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বানও জানায় বিশ্ববিদ্যালয়টি।
তবে বিডিইউ কর্তৃপক্ষের এ অভিযোগ নাকচ করেছেন অধ্যাপক আকতারুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘অধ্যাপক মুনাজ নূর দ্বিতীয় মেয়াদের উপাচার্য হওয়ার জন্য আমাকে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে ব্যক্তিগত আক্রোশে এই হীন কাজগুলো করছেন।’
গত শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে আকতারুজ্জামান জানান, ২০১৯ সালের ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাকালীন অধ্যাপক (চুক্তিভিত্তিক) এবং বিভাগীয় প্রধান (ভারপ্রাপ্ত), আইসিটি ও শিক্ষা বিভাগ এ কর্মরত ছিলেন। এর আগে তিনি গাজীপুরে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতে (আইইউটি-ওআইসি) ২০০৮ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত ১০ বছর শিক্ষকতা করেন।
বিবৃতিতে আকতারুজ্জামান বলেন, ‘আমার অভিজ্ঞতার আলোকে এ দেশের অনেক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ আমাকে দেশের সেরা ব্লেন্ডেড ও অনলাইন এডুকেশন এক্সপার্ট মনে করে। দেশের প্রয়োজনে আমার অভিজ্ঞতা দিয়ে হার্ভার্ড ও স্ট্যানফোর্ড গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব এডুকেশনের আলোকে আমি বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল ইউনিভার্সিটিতে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে বিএসসি ইন আইসিটি এডুকেশন চালু করেছিলাম।’
যোগাযোগ করা হলে অধ্যাপক আকতারুজ্জামান গতকাল শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় হলো বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়। ৬০ থেকে ৭০ বছরের কাউকে নয়, বরং এটা যুব পেশাজীবীদের দিয়েই চলার কথা। আমি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে সরকারের অনেক সংস্থার সঙ্গে কাজ করেছি। আমাকে বর্তমান উপাচার্য তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ভেবেই হয়তো আমার বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন।’
আকতারুজ্জামান আরও বলেন, বিডিইউ আইন-২০১৬ অনুযায়ী, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হবেন সেই ব্যক্তি, যিনি তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষ। কিন্তু বর্তমান উপাচার্য সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হয়ে ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য হতে পারেন কি না তা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন রয়েই যায়।
আকতারুজ্জামানের এই দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক মুনাজ নূর গতকাল সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘তাঁকে (আক্তারুজ্জামান) বিশ্ববিদ্যালয়ে চুক্তিভিত্তিক নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু উনি সব জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবে পরিচয় দিয়েই যাচ্ছেন। বিষয়টি অনেকেই আমার নজরে আনেন এবং পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বলেন। আমি তাঁকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করিনি বরং তিনি ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন। তিনি সাবেক শিক্ষক হিসেবে পরিচয় দিতে পারেন।’
মুনাজ নূর আরও বলেন, ‘আর আমার অবস্থা এত নিচে যায়নি যে আমি তাঁকে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবব। উনি যা না, তার চেয়ে নিজেকে দশগুণ বেশি দাবি করেন।’
উপাচার্য সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৪ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৪ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৫ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫