সৈয়দ শামসুল হক
মুক্তিযুদ্ধের একটি শ্রেষ্ঠ অর্জন মঞ্চনাটক। একটা সময় ছিল, যখন মঞ্চনাটকে অনেক সাহসী সংলাপ শোনা যেত। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর দেশের সংস্কৃতি যখন আবার পাকিস্তানমুখী করার পাঁয়তারা চলল, তখনো জ্বলে উঠেছিল মঞ্চনাটক। এরশাদের শাসনামলেও বাধার সম্মুখীন হয়েও নাটকের মাধ্যমে উঠে এসেছে মুক্তিযুদ্ধ।
খালেদা জিয়ার শাসনামলে সৈয়দ শামসুল হক লিখেছিলেন ‘মুখোশ’ নামে একটি নাটক। মুক্তিযুদ্ধ তার প্রধান উপজীব্য। নিউ বেইলি রোড বহু আগেই নাটক সরণি নাম ধারণ করেছে। নাটকটির প্রথম অভিনয় হবে মহিলা সমিতি মঞ্চে। দর্শকেরা আসতে শুরু করেছেন। নাট্যকারও এসেছেন নিজের গাড়িতে করে। গাড়িটা রেখেছেন রাস্তার এক ধারে। এ রকম অনেকেই রেখেছেন গাড়ি।
সৈয়দ হক একসময় লক্ষ করলেন, মহিলা সমিতির সামনে কয়েকজন ট্রাফিক পুলিশের অদ্ভুত তৎপরতা শুরু হয়েছে। যে গাড়ি আসছে, সে গাড়িকেই হটিয়ে দিচ্ছে তারা। ওয়াকিটকি হাতে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলছেন, ‘গো গো, হঠাও গাড়ি, হঠাও!’
সৈয়দ হক এগিয়ে যান নিজের গাড়ির দিকে। সেই ‘হঠাও’ বলা পুলিশের হাতের ধাক্কায় তিনি পড়ে যান ফুটপাতে। বিকার নেই পুলিশ কর্মকর্তার। তিনি ‘গো গো’ বলতে বলতে অন্য আরেকটি গাড়ির দিকে এগিয়ে যান।
মাটি থেকে উঠে সৈয়দ হক জিজ্ঞেস করেন, ‘এখানে কী হয়েছে?’
ইংরেজির ভান্ডার খুব একটা পোক্ত ছিল না পুলিশটির। তিনি আঞ্চলিক বাংলায় বলতে থাকেন কথা এবং সে কথার বেশির ভাগই গালিগালাজ। সৈয়দ হক তা সাধু বাংলায় অনুবাদ করে লিখেছেন এভাবে, ‘এখানে ভগ্নীপ্রেমিকেরা নাটক করে, উহাদের পশ্চাৎ সম্ভোগ করিতে হয়।’
এ কথা বলতে বলতে সৈয়দ শামসুল হকের গাড়িতে লাঠির আঘাত করেন পুলিশটি।
জানা গেল, খালেদা জিয়া সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় মিলনায়তনের সামনে দাঁড়ানো সবগুলো গাড়ি আটক করার নির্দেশ দিয়ে গেছেন।
দৈনিক সংবাদ শিরোনাম করেছিল: ‘মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নাটক, তাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর রোষানল’।
সূত্র: সৈয়দ শামসুল হক, হৃৎকলমের টানে, পৃষ্ঠা ৩৮০
মুক্তিযুদ্ধের একটি শ্রেষ্ঠ অর্জন মঞ্চনাটক। একটা সময় ছিল, যখন মঞ্চনাটকে অনেক সাহসী সংলাপ শোনা যেত। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর দেশের সংস্কৃতি যখন আবার পাকিস্তানমুখী করার পাঁয়তারা চলল, তখনো জ্বলে উঠেছিল মঞ্চনাটক। এরশাদের শাসনামলেও বাধার সম্মুখীন হয়েও নাটকের মাধ্যমে উঠে এসেছে মুক্তিযুদ্ধ।
খালেদা জিয়ার শাসনামলে সৈয়দ শামসুল হক লিখেছিলেন ‘মুখোশ’ নামে একটি নাটক। মুক্তিযুদ্ধ তার প্রধান উপজীব্য। নিউ বেইলি রোড বহু আগেই নাটক সরণি নাম ধারণ করেছে। নাটকটির প্রথম অভিনয় হবে মহিলা সমিতি মঞ্চে। দর্শকেরা আসতে শুরু করেছেন। নাট্যকারও এসেছেন নিজের গাড়িতে করে। গাড়িটা রেখেছেন রাস্তার এক ধারে। এ রকম অনেকেই রেখেছেন গাড়ি।
সৈয়দ হক একসময় লক্ষ করলেন, মহিলা সমিতির সামনে কয়েকজন ট্রাফিক পুলিশের অদ্ভুত তৎপরতা শুরু হয়েছে। যে গাড়ি আসছে, সে গাড়িকেই হটিয়ে দিচ্ছে তারা। ওয়াকিটকি হাতে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলছেন, ‘গো গো, হঠাও গাড়ি, হঠাও!’
সৈয়দ হক এগিয়ে যান নিজের গাড়ির দিকে। সেই ‘হঠাও’ বলা পুলিশের হাতের ধাক্কায় তিনি পড়ে যান ফুটপাতে। বিকার নেই পুলিশ কর্মকর্তার। তিনি ‘গো গো’ বলতে বলতে অন্য আরেকটি গাড়ির দিকে এগিয়ে যান।
মাটি থেকে উঠে সৈয়দ হক জিজ্ঞেস করেন, ‘এখানে কী হয়েছে?’
ইংরেজির ভান্ডার খুব একটা পোক্ত ছিল না পুলিশটির। তিনি আঞ্চলিক বাংলায় বলতে থাকেন কথা এবং সে কথার বেশির ভাগই গালিগালাজ। সৈয়দ হক তা সাধু বাংলায় অনুবাদ করে লিখেছেন এভাবে, ‘এখানে ভগ্নীপ্রেমিকেরা নাটক করে, উহাদের পশ্চাৎ সম্ভোগ করিতে হয়।’
এ কথা বলতে বলতে সৈয়দ শামসুল হকের গাড়িতে লাঠির আঘাত করেন পুলিশটি।
জানা গেল, খালেদা জিয়া সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় মিলনায়তনের সামনে দাঁড়ানো সবগুলো গাড়ি আটক করার নির্দেশ দিয়ে গেছেন।
দৈনিক সংবাদ শিরোনাম করেছিল: ‘মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নাটক, তাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর রোষানল’।
সূত্র: সৈয়দ শামসুল হক, হৃৎকলমের টানে, পৃষ্ঠা ৩৮০
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫