Ajker Patrika

ফুটওভার ব্রিজ যেন শো পিস

মো. আকতারুজ্জামান, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) 
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২১, ১৬: ০৭
ফুটওভার ব্রিজ যেন শো পিস

ব্যস্ততম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। সাঁই সাঁই করে দ্রুতগতিতে চলছে গাড়ি। এরমধ্যেই ঝুঁকি নিয়ে যে যার মতো রাস্তা পার হচ্ছেন। অথচ পাশেই খাঁ খাঁ করছে শূন্য ফুটওভার ব্রিজ। সেদিকে কারও ভ্রুক্ষেপ নেই। দৃশ্য দেখে মনে হয়, এসব ফুটওভার ব্রিজ যেন শোপিস। ব্যবহার করতে নেই, কেবল সাজিয়ে রাখার জন্য নির্মিত।

ফুটওভার ব্রিজ রেখে রাস্তা পার হচ্ছেন কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে এক পথচারী বলেন, ‘তাড়া আছে, ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারের সময় নাই। তাই দৌড়াইয়া রাস্তা পার হইতাছি’।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম অংশে রয়েছে ৮টি ফুটওভার ব্রিজ। কাছেই ব্রিজ থাকলেও সামান্য সময় কমাতে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিচ দিয়েই মহাসড়ক পার হচ্ছেন শত শত পথচারী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ফোর লেনে উন্নীত করার সময় চৌদ্দগ্রাম অংশের ৪৪ কিলোমিটারে সড়ক পারাপারের জন্য প্রথমে ৭টি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। পরবর্তী সময় ২০১৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সড়ক পারাপারের সময় চৌদ্দগ্রাম মাধ্যমিক পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী উম্মে রুমান মারজানা (১৩) কাভার্ড ভ্যানের চাপায় নিহত হওয়ার ঘটনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের আন্দোলনের মুখে ২০২০ সালে বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে আরও একটি ফুটওভার ব্রিজ স্থাপন করা হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ৪৪ কিলোমিটার সড়কে মিয়াবাজার কলেজ রোড, কালিকাপুর ইউনিয়নের মিরশান্নী বাজার, চৌদ্দগ্রাম কলেজ রোড, চৌদ্দগ্রাম বালিকা বিদ্যালয় রোড, জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নের ফাঁসি বটগাছ, গাংরা রাস্তার মাথা, পদুয়া রাস্তার মাথা ও লাটিমী রাস্তার মাথায় ফুটওভার ব্রিজ রয়েছে। কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে এগুলো নির্মাণ করা হলেও সাধারণ পথচারীরা ব্যবহার করছেন না। অধিকাংশ সময় দেখা যায়, পথচারীরা ১ বা ২ মিনিট সময় বাঁচাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাশেই সড়ক দিয়ে দৌড়ে পার হচ্ছেন। ব্যবহার না হওয়ার কারণে অনেক ব্রিজের পাটাতন থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থানে আগাছা জন্ম নিয়েছে।

লোহায় জং ধরেছে।

মিয়াবাজারে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার না করে দৌড়ে মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন ৬২ বছর বয়সী হাজেরা খাতুন। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার বয়স অনেক বেশি। ব্রিজে উঠতে পারি না।’

মিয়াবাজার ডিগ্রি কলেজের ছাত্র লিমন বলেন, ‘বাড়ি থেকে হঠাৎ জরুরি কাজের জন্য ফোন আসে। তাই ফুটওভার ব্রিজে না উঠে মহাসড়কে পার হয়েছি।’ হাটের দিন মিরশান্নী বাজারে প্রতি মুহূর্তেই এমন চিত্র দেখা যায়। সবাই তাড়াহুড়ার কারণেই ব্রিজে যেতে অনীহা প্রকাশ করেন।

মিয়াবাজার হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা সব সময় চেষ্টা করি যেন পথচারীরা ব্রিজ ব্যবহার করে। তবে অনেকে সচেতনতার অভাবে গাড়ির সামনে দিয়ে হুট করে রাস্তা পারা হচ্ছে।’ চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মঞ্জুরুল হক বলেন, খুব শিগগিরই সচেতনতার লক্ষ্যে একটি প্রচারণা অভিযান চালানো হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত আমদানির ঘোষণা দিতেই ভারতে হু হু করে বাড়ছে চালের দাম

‘আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে’, চিরকুটে লেখা

জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে উচ্চপদস্থ বোর্ড গঠন: আইএসপিআর

ফেসবুকে ছাত্রলীগ নেতার ‘হুমকি’, রাবিতে ১৫ আগস্টের কনসার্টে যাচ্ছে না আর্টসেল

যুক্তরাষ্ট্রে পা রাখামাত্র পুতিনকে গ্রেপ্তারের আহ্বান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত