Ajker Patrika

ঘরোয়া ক্রিকেটে ডিমেরিট পয়েন্ট চালুর ভাবনা বিসিবির

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২: ১৫
ঘরোয়া ক্রিকেটে ডিমেরিট পয়েন্ট চালুর ভাবনা বিসিবির

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কার্যালয়ে টুর্নামেন্ট কমিটির গতকালের সভায় এসেছে নতুন কিছু প্রস্তাব। এর মধ্যে একটি হচ্ছে ঘরোয়া ক্রিকেটে ডিমেরিট পয়েন্ট চালু করা।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আচরণবিধি ভাঙা খেলোয়াড়দের নামের পাশে ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ করার নিয়ম চালু হয়েছে ছয় বছর আগে ৷ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যাওয়ার আগে শৃঙ্খলার ব্যাপারে খেলোয়াড়দের সচেতনতা ও অভ্যস্ত করতে বিসিবি চাইছে ঘরোয়া ক্রিকেটে ডিমেরিট পয়েন্টের নিয়ম চালু করতে। জানা গেছে, এক বছরের মধ্যে কোনো খেলোয়াড় যদি ৩ থেকে ৮ পয়েন্ট পান, তিনি এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হবেন। কেউ যদি ৮ থেকে ১২ পয়েন্ট পান, তিনি দুই ম্যাচে নিষিদ্ধ হবেন। এক বছরের মধ্যে এই ডেমেরিট পয়েন্ট কার্যকর থাকবে বিসিবির যেকোনো টুর্নামেন্টে। অর্থাৎ লাল বলের ক্রিকেটে কেউ ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে সেটির প্রভাব পড়বে সাদা বলের ক্রিকেটেও। বিষয়টি নিয়ে বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি গতকাল আজকের পত্রিকাকে বললেন, ‘শাস্তির বিষয়টি নিয়ে প্রস্তাব আছে, পুরো বোর্ডের অধীনে যত টুর্নামেন্ট হয়, কেউ যদি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ডিমেরিট পয়েন্ট পায়, সেটা জাতীয় লিগেও কার্যকর হবে। এসব প্রস্তাব দেওয়া আছে। বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত হতে পারে।’

টুর্নামেন্ট কমিটির সভায় গতকাল সিদ্ধান্ত হয়েছে, এবার জাতীয় লিগের (এনসিএল) প্রতিটি দলে একজন করে সাবেক ক্রিকেটার টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট হিসেবে কাজ করবেন। তাঁদের কাজ হবে নির্বাচক ও ম্যাচ অফিশিয়ালদের সঙ্গে টেকনিক্যাল বিষয় সমন্বয় করা। ম্যাচ ফিতে যে বড় পরিবর্তন আসছে, আগেই জানা গিয়েছিল। পয়েন্ট টেবিলে দলের অবস্থান অনুযায়ী ম্যাচ ফি পাবে দলগুলো। চ্যাম্পিয়ন দলের ম্যাচ ফি সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা। আট নম্বরে থাকা দলের খেলোয়াড়েরা পাবেন ৫০ হাজার টাকা। চ্যাম্পিয়ন দলের প্রাইজমানি ২০ লাখ থেকে ৩০ লাখ টাকায় উন্নীত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। রানার্সআপ দলের প্রাইজমানি ১০ লাখ থেকে ১৫ লাখ টাকা। প্রথম স্তরে উন্নীত দলের প্রাইজমানি ৫ লাখ টাকার জায়গায় ৭ লাখ হয়েছে। প্রথম স্তরে ম্যাচসেরা পাবেন ২৫ হাজারের জায়গায় ৩০ হাজার টাকা। আর দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচসেরার আর্থিক পুরষ্কার ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার করা হয়েছে।

ডিউক বলে হতে যাওয়া এনসিএলে এবার অন্তত দুটি ভেন্যুর উইকেটের ঘাস ৬ মিলিমিটার থেকে ৮ মিলিমিটার করার প্রস্তাব টেকনিক্যাল কমিটির। এনসিএলের প্রথম রাউন্ড হবে মিরপুর, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনায়। এরই মধ্যে ফিটনেস অনুশীলন শুরু করা ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরীক্ষা ২৫ ও ২৬ সেপ্টেম্বর। ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ অক্টোবর স্কিল ক্যাম্প শেষে খেলা মাঠে গড়াবে ১০ অক্টোবর, শেষ ১৭ নভেম্বর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত