Ajker Patrika

সেই সুর

আলতাফ মাহমুদ
আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১১: ৫০
সেই সুর

আলতাফ মাহমুদ বরিশালে থাকতেই ঝুঁকে পড়েন গণসংগীতের দিকে। বরিশালের এক জনসভায় গেয়েছিলেন ‘ম্যায় ভুখা হু’। তাতে শ্রোতারা তন্ময় হয়ে গিয়েছিল। গাজীউল হকের ছোট ভাই নিজামুল হক আর আলতাফ মাহমুদ গণসংগীত নিয়ে কাজ করেছেন অনেক দিন। রাজনীতির পাশাপাশি সংস্কৃতিও যে গণজাগরণে ভূমিকা রাখতে পারে, সেটা বুঝতেন আলতাফ মাহমুদ।

রাজনীতিটা ঢুকে পড়েছিল আলতাফ মাহমুদের শরীরে। ধূমকেতু শিল্পী সংঘের সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। এরপর পূর্ব পাকিস্তান যুবলীগের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। যুবলীগের সাংস্কৃতিক ফ্রন্টেই যে নিজেকে তিনি খুঁজে পাবেন, তাতে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই।

১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ঢাকা কলেজের ছাত্র আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী হাসপাতালে খুলি উড়ে যাওয়া রফিকের লাশ দেখেন। সেটাই ছিল ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’ গানটি লেখার অনুপ্রেরণা। গানটিতে প্রথম সুর দিয়েছিলেন শিল্পী ও সুরকার আবদুল লতিফ। তাঁর সুরেই প্রথম বছর গানটি গাওয়া হয়। এরপর গানটিতে সুর দেন আলতাফ মাহমুদ। তিনবার তিনি সুরে পরিবর্তন আনেন। এখন আমরা যে সুরটির সঙ্গে পরিচিত, সেটি তৃতীয়বার পরিবর্তন করার পর যা দাঁড়িয়েছে, সেটি।

আবদুল লতিফ যখন আলতাফ মাহমুদের করা সুরটি শুনলেন, তখন খুশিতে তাঁকে বুকে চেপে ধরেছিলেন। পরে আবদুল লতিফের লেখা ‘ওরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায়’ গানটি গেয়েছেন বহুবার। আবদুল লতিফ বলেছেন, এই গানটি আলতাফ মাহমুদ যতটা দরদ দিয়ে গেয়েছেন, সে রকম আর কেউ গায়নি। তিনি লিখেছেন, ‘আলতাফের মতো করে আর কেউ ওই গানটি গাইতে পারেনি কোনো দিন, এমনকি আমি নিজেও না। তার সুরে যে আবেগ এবং অর্থ প্রকাশ পেত, তা না শুনলে বোঝানো যাবে না।’

১৯৬৭ সালে পল্টন ময়দানে লাখো শ্রোতার উপস্থিতিতে তিন দিনব্যাপী ‘জ্বলছে আগুন ক্ষেতেখামারে’ মঞ্চস্থ হয়। এই গীতি নৃত্যনাট্যের সংগীত পরিচালক ছিলেন আলতাফ মাহমুদ।

সূত্র: গুণীজনডটওআরজিডটবিডি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সাবেক সিইসি নূরুল হুদার গলায় ‘জুতার মালা’ দিয়ে পুলিশে সোপর্দ

ইরানের পতন হলে, এরপরই রাশিয়া—অভিমত রুশ বিশ্লেষকদের

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর মোদির সঙ্গে ইরানের প্রেসিডেন্টের ফোনালাপ

অনেক দেশ ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত, দাবি পুতিনের শীর্ষ সহযোগীর

মার্কিন হামলার পর ইসরায়েলে ‘খোররামশহর-৪’ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল ইরান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত