Ajker Patrika

তাদের আনন্দ আছে, ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তাও আছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৩ অক্টোবর ২০২২, ১৫: ৩৮
তাদের আনন্দ আছে, ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তাও আছে

বাংলাদেশের ব্যাডমিন্টনে আনন্দের দিন খুব কমই আসে। হঠাৎ হঠাৎ টুকরো সাফল্য যা আসে, তা নিয়ে কিছুদিন হইচই হওয়ার পর আবারও ঘুমিয়ে পড়ে বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন।

সিফাত উল্লাহ গালিব ও মুস্তাকিম হোসেনের ভাগ্য কি এমনই হবে, নাকি দেশকে আবারও সাফল্য এনে দেবে এ দুই কিশোর—সেটা ভবিষ্যতের জন্য তোলা থাক। আপাতত তাদের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন।  ভারতের আসামে ব্যাডমিন্টন সাউথ এশিয়ায় অনূর্ধ্ব-১৫ বিভাগে দ্বৈত ইভেন্টের শিরোপা জিতেছে সিফাত ও মুস্তাকিম। দেশে ফেরার পর ফেডারেশন এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের শুভেচ্ছা ও সংবর্ধনা পেয়েছেন দুই শাটলার। গতকাল শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ইনডোর স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন দুই শাটলারকে সম্মাননা এবং ৫০ হাজার টাকা দিয়েছে মন্ত্রণালয়। অনূর্ধ্ব-১৭ বিভাগে তৃতীয় স্থান নাজমুল ইসলাম জয় ও সাহেদ আহমেদ পেয়েছে ২৫ হাজার টাকা।

ভারতের শাটলারদের তাদেরই উঠানে হারানো সিফাতের বাড়ি চট্টগ্রামের বাকলিয়ায়। আসামে গিয়ে দেখেছে সেখানকার শাটলাররা অল্প বয়স থেকেই পাচ্ছেন উচ্চমানের প্রশিক্ষণ, আছে ভালো মানের কোচ, খেলছে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে। এমন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে শিরোপা জয়ের পর কণ্ঠে উচ্ছ্বাস দশম শ্রেণির ছাত্র সিফাতের, ‘সে রকম কোনো প্রস্তুতি ছিল না। ব্যক্তিগতভাবে অনুশীলন করে আর কতটুকু এগোনো যায়? ভারতের শাটলাররা নিয়মিত আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলে, বিদেশি কোচের কাছে প্রশিক্ষণ নেয়। এমন পরিস্থিতিতেও ওদের আমরা হারিয়েছি। এটা আমাদের কাছে অনেক বড় অর্জন।’

চট্টগ্রামে নিজের মতো অনুশীলন করে সিফাত। মুস্তাকিমের প্রশিক্ষণ চলে দিনাজপুরে। কোনো টুর্নামেন্ট হলে ডাক পড়ে ফেডারেশনের। এভাবে চললে বড় শাটলার হওয়ার স্বপ্ন জেলা থেকে ঢাকা আসা-যাওয়ার মধ্যেই আটকে থাকবে। ফেডারেশনের কাছে সিফাতের চাওয়া দীর্ঘ মেয়াদে প্রশিক্ষণ আর বিদেশি কোচের, ‘যদি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট নিয়মিত খেলতে না পারি, যতটুকু এগিয়েছি তার চেয়ে বেশি পিছিয়ে যাব আমরা।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত