Ajker Patrika

হুমকির মুখে খুলনার চিংড়িশিল্প

শেখ আবু হাসান, খুলনা
আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২: ৫৬
হুমকির মুখে খুলনার চিংড়িশিল্প

বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পারা এবং কাঁচামালের অভাবে রপ্তানিমুখী হিমায়িত চিংড়ি কারখানাগুলো একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে দেশের অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখা চিংড়িশিল্প। রাজনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগত কারণে প্রতিবছর খুলনা অঞ্চলে চিংড়ি চাষ আশঙ্কাজনক হারে কমে যাচ্ছে। সারা দেশে ১০৩টি রপ্তানিমুখী হিমায়িত মৎস্য কারখানার মধ্যে ৪০টির মতো বর্তমানে চালু আছে। এর মধ্যে খুলনা অঞ্চলে রয়েছে ৩০টি। চালু কারখানাগুলোর সবটাই কাঁচামালের অভাবে ধুঁকে ধুঁকে চলছে। রপ্তানি আয় কমে গেছে। চিংড়ি চাষ এবং উৎপাদন বাড়ানো না গেলে সচল কারখানাগুলোও বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

চিংড়িশিল্পের সঙ্গে জড়িতরা জানান, স্বাধীনতার পর দেশে ১৭৮টির মতো হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানিকারক কারখানা চালু হয়। ইতিমধ্যে ৭৫টি কারখানা বেশ আগেই বন্ধ হয়ে গেছে। সুদিনের আশায় বাকি ১০৩টি প্রতিষ্ঠান মৎস্য অধিদপ্তরে লাইসেন্স নবায়ন করে এবং বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএফইএ) সদস্যপদ বজায় রেখে কাগজে-কলমে টিকে আছে। তবে এর মধ্যে সারা দেশে ৪০টির মতো প্রতিষ্ঠান অল্প অল্প রপ্তানি করে কোনোভাবে টিকে আছে। খুলনা অঞ্চলে এ রকম কারখানা আছে ৩০টি। যারা চাহিদার বিপরীতে অর্ধেকের কম চিংড়ি রপ্তানি করতে পারছে। যেভাবে প্রতিবছর বাগদা ও গলদা চিংড়ি চাষ কমে যাচ্ছে, তাতে করে আগামী দিনে এ শিল্প থাকবে কি না, তা নিয়ে শিল্পমালিক ও শ্রমিক-কর্মচারীরা দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন।

বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এম খলিলুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, চিংড়িশিল্পের নীতিমালা তৈরি করা, বিজ্ঞানসম্মত আধুনিক পদ্ধতিতে চাষ করে উৎপাদন বাড়ানো সর্বোপরি কম খরচে অধিক উৎপাদনসক্ষম ভেন্নামি প্রজাতির চিংড়ি চাষ করে বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা সম্ভব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত