Ajker Patrika

চেয়ারম্যানের পকেটে প্রশিক্ষণার্থীদের টাকা!

মুরাদনগর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ এপ্রিল ২০২২, ১২: ১৬
চেয়ারম্যানের পকেটে  প্রশিক্ষণার্থীদের টাকা!

গতকাল বুধবার বিকেলে ভুক্তভোগী ১২ জন প্রশিক্ষণার্থী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অভিষেক দাশের কাছে ওই লিখিত অভিযোগ দেন। ইউএনও অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জাতীয় মহিলা সংস্থার আওতাধীন ২০২১-২২ অর্থবছরে ‘তৃণমূল পর্যায়ের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নারী উদ্যোক্তাদের বিকাশ সাধন প্রকল্প’র অধীনে বিজনেস ম্যানেজমেন্ট, ই-কমার্স, ফ্যাশন ডিজাইন, বিউটিফিকেশন, ক্যাটারিং, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় ২৮৯ জনকে। গত ১৪ মার্চ এ প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হওয়া নারীদের মধ্যে ৪০ দিনের প্রশিক্ষণার্থীদের ভাতা ধার্য ছিল ৬ হাজার এবং ৮০ দিনের প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য ১২ হাজার টাকা। কিন্তু প্রশিক্ষণ শেষে টাকার চেক আনতে গেলেই মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান শাহীন আক্তার মায়াকে দিতে হয় ২ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা। তা ছাড়া প্রশিক্ষণ চলাকালীন বিভিন্ন অজুহাতে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা নিতেন অফিস খরচ দেখিয়ে।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের চাহিদামতো টাকা না দেওয়ায় প্রায় ১৮০ জনের ভাতার চেক এখনো হস্তান্তর করছে না। এই বিষয়ে কয়েকজন প্রশিক্ষণার্থী তাঁর সঙ্গে কথা বলতে গেলে হুমকি দিয়ে তাঁদের অফিস থেকে তাড়িয়ে দেন মায়া।

এই বিষয়ে প্রশিক্ষণার্থী রোকসানা খাতুন, তানজিনা আক্তার, খাদিজা আক্তার ও মঞ্জু বেগম জানান, একসঙ্গে ৪০ দিনের প্রশিক্ষণ নিয়েছি ৮৯ জন ও ৮০ দিনের প্রশিক্ষণ নিয়েছে ২০০ জন। তাঁদের থেকে চেয়ারম্যান মায়া অগ্রিম ২ হাজার করে টাকা নিয়েছেন।  আর যারা ৮০ দিনের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেককে ৪ হাজার টাকা করে অগ্রিম জমা দিতে বলেছেন। তবেই তিনি সবাইকে ১২ হাজার টাকা করে চেক প্রদান করবেন। আমরা অনেকেই টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় চেয়ারম্যান নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে বলছেন, ‘যাঁরা টাকা দিবি না, তাগরে ইয়াবা দিয়া ধরাইয়া দিমু। তখন বুজবি মজা।’

অভিযুক্ত শাহীন আক্তার মায়া বলেন, ‘আমি কারও কাছ থেকে টাকা নিইনি। কেউ নিয়ে থাকলে আমার তা জানা নেই। ২০১০ সাল থেকে আমি এই চেয়ারে আছি। এখন পর্যন্ত আমার বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ আনার সাহস কারও হয়নি।’

ইউএনও অভিষেক দাশ বলেন, ‘প্রশিক্ষণার্থীদের কাছ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।’

বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা সংস্থা এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের চেয়ারম্যান বেগম চেমন আরা তৈয়ব বলেন, ‘প্রশিক্ষণার্থীর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত