সম্পাদকীয়
প্রেমিকা ফুচকা খেতে চাইল খুব ঝাল করে। ফুচকাওয়ালা তাঁর কাজ শুরু করলেন। এদিকে প্রেমিক ফুচকাওয়ালাকে জিজ্ঞেস করল, তিনি গ্লাভস পরেননি কেন। ফুচকাওয়ালার সহজ উত্তর—তিনি তো ক্রিকেট খেলতে নামেননি যে গ্লাভস পরবেন। প্রেমিক আবার তাঁকে জিজ্ঞেস করল, তিনি শৌচাগারে গেলে হাত ধুয়ে নেন কি না, ফুচকা বানানোর আগে। ফুচকাওয়ালা এবার জবাব দিলেন, তিনি খুব স্বাস্থ্যসচেতন, শৌচাগারের কাজ শেষ করে সাবান দিয়ে হাত না ধুলেও যাওয়ার আগে ঠিকই সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে যান। কেননা, সারা দিন কাঁচা মরিচ কাটাকাটি করে মরিচের ঝালটা হাতেই লেগে থাকে! এ কথা শুনে প্রেমিকা ফুচকা না খেয়ে দিল দৌড়।
এটি একটি টিভি নাটকের দৃশ্য হলেও বাস্তবে যে এমনটা হয় না, সেই গ্যারান্টি কে দেবে? বিশেষ করে যখন জানা যায়, রাস্তার ধারের মুখরোচক খাবারগুলোতে পাওয়া গেছে ডায়রিয়ার জীবাণু! সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণা বলছে, ফুটপাতে বিক্রি হওয়া চটপটি, আখের রস, অ্যালোভেরার শরবত, ছোলা-মুড়ি, স্যান্ডউইচ, মিক্সড সালাদসহ অনেক খাবারেই ডায়রিয়ার জীবাণু শনাক্ত হয়েছে। রোববার বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সম্মেলনকক্ষে গবেষণাটির প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছেন গবেষণা দলের প্রধান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য, পুষ্টি ও কৃষি গবেষণা ল্যাবরেটরির দায়িত্বরত মো. লতিফুল বারি।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩৭টি এলাকার ফুটপাত থেকে রাস্তার খাবারের ৪৫০টি নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। রাস্তার এসব খাবার মুখরোচক হলেও বহন করে ডায়রিয়ার জীবাণু। ফলে এসব খাবার খেয়ে প্রতি ১০ হাজার মানুষে তিন ধরনের ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হয় ৭ জন। দেশের মানুষের দেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বেশি বলে আক্রান্তের সংখ্যা কম, এমনটাই মন্তব্য গবেষকদের।
নিরাপদ খাদ্যের অধিকার সব মানুষেরই আছে। খাবার খেয়ে অসুস্থ হওয়ার সংখ্যা কম নাকি বেশি, সেটা বড় বিষয় নয়। কোনো খাদ্য একজন ভোক্তার জন্য নিরাপদ না হওয়াটা দুশ্চিন্তার ব্যাপার। সচেতন ব্যক্তি মাত্রই জানেন, রাস্তার ধারের খাবারগুলো তৈরিতে তেমন নিরাপত্তার কথা মাথায় রাখেন না প্রস্তুতকারীরা। কেউ কেউ হয়তো এমন খাবার এড়িয়ে যান। অনেকে এসব জেনেও সেই সব খাবারের স্বাদ গ্রহণ করেন শুধু রসনার বাসনা মেটানোর জন্য।
দূষিত পানি, নোংরা গামছা, অপরিষ্কার হাত, ধুলাবালুযুক্ত পরিবেশের কারণে ডায়রিয়ার জীবাণু খাবারের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে বলে গবেষকপ্রধানের মন্তব্য। বিক্রেতাদের স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন সম্পর্কে জ্ঞান ও ধারণা যে কম, তা বুঝতে হয়তো গবেষণার প্রয়োজন পড়ে না। তবে অনিরাপদ খাদ্যের সমস্যা দূর করতে হলে তো গবেষণা করতেই হবে। কিন্তু এর পরের দায়িত্বটা বর্তায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ওপর। বিক্রেতাদের প্রশিক্ষণ ও প্রতিদিন মনিটরিংয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন গবেষকপ্রধান। এ কথার সঙ্গে কোনোভাবেই দ্বিমত পোষণ করা যায় না।
আবার, দেশজুড়ে যত রেস্তোরাঁ আছে, সেগুলোর সব হেঁশেলই যে স্বাস্থ্যসম্মত নয়, সেটাও সবার জানা। এখানে যাঁরা খাবারের দায়িত্ব নিয়েছেন, তাঁদেরই কিন্তু খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। শুধু নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করা হলে এই নিশ্চয়তা পাবে ভোজনপ্রেমীরা, যে কেউ তার রসনার বাসনা মেটাতে পারবে যেকোনো মুখরোচক খাবারে।
প্রেমিকা ফুচকা খেতে চাইল খুব ঝাল করে। ফুচকাওয়ালা তাঁর কাজ শুরু করলেন। এদিকে প্রেমিক ফুচকাওয়ালাকে জিজ্ঞেস করল, তিনি গ্লাভস পরেননি কেন। ফুচকাওয়ালার সহজ উত্তর—তিনি তো ক্রিকেট খেলতে নামেননি যে গ্লাভস পরবেন। প্রেমিক আবার তাঁকে জিজ্ঞেস করল, তিনি শৌচাগারে গেলে হাত ধুয়ে নেন কি না, ফুচকা বানানোর আগে। ফুচকাওয়ালা এবার জবাব দিলেন, তিনি খুব স্বাস্থ্যসচেতন, শৌচাগারের কাজ শেষ করে সাবান দিয়ে হাত না ধুলেও যাওয়ার আগে ঠিকই সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে যান। কেননা, সারা দিন কাঁচা মরিচ কাটাকাটি করে মরিচের ঝালটা হাতেই লেগে থাকে! এ কথা শুনে প্রেমিকা ফুচকা না খেয়ে দিল দৌড়।
এটি একটি টিভি নাটকের দৃশ্য হলেও বাস্তবে যে এমনটা হয় না, সেই গ্যারান্টি কে দেবে? বিশেষ করে যখন জানা যায়, রাস্তার ধারের মুখরোচক খাবারগুলোতে পাওয়া গেছে ডায়রিয়ার জীবাণু! সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণা বলছে, ফুটপাতে বিক্রি হওয়া চটপটি, আখের রস, অ্যালোভেরার শরবত, ছোলা-মুড়ি, স্যান্ডউইচ, মিক্সড সালাদসহ অনেক খাবারেই ডায়রিয়ার জীবাণু শনাক্ত হয়েছে। রোববার বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সম্মেলনকক্ষে গবেষণাটির প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছেন গবেষণা দলের প্রধান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য, পুষ্টি ও কৃষি গবেষণা ল্যাবরেটরির দায়িত্বরত মো. লতিফুল বারি।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩৭টি এলাকার ফুটপাত থেকে রাস্তার খাবারের ৪৫০টি নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। রাস্তার এসব খাবার মুখরোচক হলেও বহন করে ডায়রিয়ার জীবাণু। ফলে এসব খাবার খেয়ে প্রতি ১০ হাজার মানুষে তিন ধরনের ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হয় ৭ জন। দেশের মানুষের দেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বেশি বলে আক্রান্তের সংখ্যা কম, এমনটাই মন্তব্য গবেষকদের।
নিরাপদ খাদ্যের অধিকার সব মানুষেরই আছে। খাবার খেয়ে অসুস্থ হওয়ার সংখ্যা কম নাকি বেশি, সেটা বড় বিষয় নয়। কোনো খাদ্য একজন ভোক্তার জন্য নিরাপদ না হওয়াটা দুশ্চিন্তার ব্যাপার। সচেতন ব্যক্তি মাত্রই জানেন, রাস্তার ধারের খাবারগুলো তৈরিতে তেমন নিরাপত্তার কথা মাথায় রাখেন না প্রস্তুতকারীরা। কেউ কেউ হয়তো এমন খাবার এড়িয়ে যান। অনেকে এসব জেনেও সেই সব খাবারের স্বাদ গ্রহণ করেন শুধু রসনার বাসনা মেটানোর জন্য।
দূষিত পানি, নোংরা গামছা, অপরিষ্কার হাত, ধুলাবালুযুক্ত পরিবেশের কারণে ডায়রিয়ার জীবাণু খাবারের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে বলে গবেষকপ্রধানের মন্তব্য। বিক্রেতাদের স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন সম্পর্কে জ্ঞান ও ধারণা যে কম, তা বুঝতে হয়তো গবেষণার প্রয়োজন পড়ে না। তবে অনিরাপদ খাদ্যের সমস্যা দূর করতে হলে তো গবেষণা করতেই হবে। কিন্তু এর পরের দায়িত্বটা বর্তায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ওপর। বিক্রেতাদের প্রশিক্ষণ ও প্রতিদিন মনিটরিংয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন গবেষকপ্রধান। এ কথার সঙ্গে কোনোভাবেই দ্বিমত পোষণ করা যায় না।
আবার, দেশজুড়ে যত রেস্তোরাঁ আছে, সেগুলোর সব হেঁশেলই যে স্বাস্থ্যসম্মত নয়, সেটাও সবার জানা। এখানে যাঁরা খাবারের দায়িত্ব নিয়েছেন, তাঁদেরই কিন্তু খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। শুধু নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করা হলে এই নিশ্চয়তা পাবে ভোজনপ্রেমীরা, যে কেউ তার রসনার বাসনা মেটাতে পারবে যেকোনো মুখরোচক খাবারে।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১৪ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫