Ajker Patrika

ওমিক্রন শনাক্তে ব্যবস্থা নেই

খান রফিক, বরিশাল
আপডেট : ০৫ জানুয়ারি ২০২২, ১১: ০৯
ওমিক্রন শনাক্তে ব্যবস্থা নেই

বরিশালে দিন দিন বাড়ছে কোভিড-১৯ (করোনা) আক্রান্তের সংখ্যা। গত সপ্তাহে করোনা আক্রান্তের হার ছিল শূন্য। কিন্তু গত কয়েক দিন করোনা রোগী পাওয়া যাচ্ছে। সবশেষ গতকাল মঙ্গলবার বরিশাল বিভাগে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ জন। কিন্তু তাঁরা করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত কি না, তা জানার কোনো উদ্যোগ এখনো নেয়নি স্বাস্থ্য বিভাগ এবং সিভিল সার্জন দপ্তর।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বরিশালে আক্রান্তদের মধ্যে কেউ ওমিক্রনে আক্রান্ত হননি, এমনটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। কেননা কোভিডের ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন শনাক্তের ব্যবস্থা এ অঞ্চলে নেই। বরিশালে কেউ ওমিক্রনে আক্রান্ত আছেন কি না, তা পরীক্ষা করতে রাজধানীতে নমুনা পাঠাতে হবে বলে জানান বিভাগীয় পরিচালক। এদিকে ওমিক্রন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিলেও নগরীসহ গোটা জেলায় স্বাস্থ্যবিধি মানছে না কেউ।

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. হুমায়ুন শাহীন খান বলেন, গত সপ্তাহে কোভিড-১৯-এ আক্রান্তের সংখ্যা ছিল শূন্যের কোঠায়। কিন্তু শনিবার ১ জন, রোববার ২ জন, সোমবার ৩ জন, মঙ্গলবার ৫ আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে বরিশালের ১ জন এবং বরগুনা ও পিরোজপুরে ২ জন করে। তিনি বলেন, এই যে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তার মধ্যে ওমিক্রন আক্রান্ত আছে কি না তা জানতে রাজধানীতে নমুনা পাঠাতে হবে। যদিও এ ধরনের উদ্যোগ এখনো নেওয়া হয়নি। গতকালের এক সভায় বিধিনিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত হয়েছে। জনগণকে মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে নগরীর ব্যস্ততম সদর রোড, গির্জা মহল্লা, চকবাজার ঘুরে দেখা গেছে, সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা নেই। কিছু কিছু মানুষ মানুষ মাস্ক পরলেও তা মুখের নিচে পড়ে থাকে। হোটেল, রেস্তোরাঁ, বিনোদন স্পটেও একই অবস্থা। নগরীর সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীরাও অনেকে মাস্ক ব্যবহার করছেন নামমাত্র।

নগরীর কাউনিয়া এলাকার গৃহিণী রুপসা জাহান বলেন, গতকাল বিবির পুকুর সংলগ্ন বেলভিউ ক্লিনিকে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে সেখানে রোগীর তীব্র ভিড় দেখেছেন। মেলা, বিনোদন কেন্দ্র, মার্কেটে মানুষের চাপ বাড়ছেই।

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের কার্যালয়ের তথ্য প্রদানকারী জাকারিয়া খান স্বপন বলেন, পিসিআর ল্যাবে করোনা পজিটিভের হার বাড়ছে। গতকাল শনাক্তের হার ছিল ৫ শতাংশ। এর আগে ছিল ৪ ও ৩ শতাংশ। গতকালও উপসর্গ নিয়ে বাবুগঞ্জ, নলছিটির ২ জন করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন। এ হাসপাতালের ল্যাবে ওমিক্রন শনাক্তের উপায় নেই।

করোনাকালীন দায়িত্বপালন করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মৈত্রী ভলান্টিয়ার্সের সমন্বয়কারী কাজী এনায়েত হোসেন বলেন, ওমিক্রন দেশে ঢুকেছে। কোভিডও বরিশালে বেড়ে চলছে। বরিশালের স্বাস্থ্য পরিচালক ও সিভিল সার্জনের দ্রুত আক্রান্তদের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পরীক্ষা করানোর উদ্যোগ নেওয়া দরকার। এটি তাঁদের প্রশাসনিক দায়িত্ব।

এ ব্যাপারে বরিশাল জেলা সিভিল সার্জন ডা. মনোয়ার হোসেন বলেন, বরিশাল জেলায় কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা একটু বাড়ছে। আক্রান্তদের পূর্বের নির্দেশনা অনুযায়ী করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে বরিশালে এখনো ওমিক্রন পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী এখন তাঁরা স্বাস্থ্যবিধি পালন ও টিকা দেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত