Ajker Patrika

কৃষিজমি, বসতিতে ইটভাটা

দুর্গাপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২১, ১১: ১৪
কৃষিজমি, বসতিতে ইটভাটা

দুর্গাপুর পৌরসদরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় তিন ফসলি জমি, স্কুল ও কলেজের সঙ্গে লাগোয়া ও জনবসতিপূর্ণ এলাকায় রয়েছে ডজনখানেক ইটভাটা। সেসব ভাটা এখন চালুর প্রস্তুতি চলছে জোরেশোরে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সেগুলো সচল হবে বলে জানা গেছে।

ইটভাটা চালু হলে ধোঁয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়বেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিশেষ করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ এলাকার শিশু-কিশোরেরা। এ ছাড়া ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় বছরের পর বছর ধরে সবজিখেতসহ আম-কাঁঠালে ক্ষতির সম্মুখীন হন এলাকার কৃষকেরা।

দুর্গাপুর পৌরসদর শালঘরিয়া ও দেবীপুর গ্রামে দুটি ইটভাটা রয়েছে। দুটি ভাটাই তিন ফসলি জমি ও জনবসতিপূর্ণ এলাকায়। উপজেলার চক জয়নগরে ১টি, গগণবাড়িয়ায় ১টি, কালুপাড়ায় ২টি, পানানগর শেখ পাড়ায় ১টি, কিশোরপুরে ১টি, দাওকান্দিতে ২টিসহ প্রায় এক ডজন ইটভাটা রয়েছে। প্রত্যেকটি ভাটাই তিন ফসলি কৃষি জমিতে।

দুর্গাপুর পৌর এলাকার দেবীপুর গ্রামের আব্দুর রহিম বলেন, এক কিলোমিটারের মধ্যে দুটি ইটভাটা। সেগুলো কৃষিজমি ও জনবসতিপূর্ণ এলাকায়। এতে প্রতিবছর কৃষিনির্ভর এই এলাকার কৃষকদের লাখ লাখ টাকার ক্ষতি হচ্ছে।

উপজেলার কালুপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নান বলেন, কালুপাড়ায় আইন লঙ্ঘন করে একেবারে কৃষিজমিতে গড়ে তোলা হয়েছে ইটভাটা। প্রতিনিয়ত এসব ভাটায় বাইরে থেকে উর্বর কৃষিমাটি নিয়ে এসে পোড়ানো হয়। এসব মাটি আনা-নেওয়ায় সড়ক বেহাল হয়ে গেছে।

এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ইটভাটা স্থাপনের নতুন আইন মানছেন না উপজেলার ভাটামালিকেরা। আগের পুরোনো অবকাঠামোতেই ইটভাটার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। কয়লাসংকট ও দাম বেশি পড়ায় ভাটায় কাঠ ও খেজুরগাছ পোড়ানো হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে।

ইটভাটা-সংক্রান্ত নতুন আইনে বলা হয়েছে, জনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকা, কৃষিজমি, বাজার, স্কুল ও কলেজ এলাকায় ভাটা স্থাপন করা যাবে না। আধুনিক পদ্ধতিতে ধোঁয়াবিহীনভাবে ইট পোড়াতে হবে। কৃষিজমি থেকে কোনো মাটি আনা যাবে না।

নাম না প্রকাশের শর্তে এক ইটভাটার মালিক বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রের মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগেই। ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করলেও এখনো পাওয়া যায়নি। কৃষিজমি ছাড়া এলাকায় কোথাও কোনো ফাঁকা জায়গা নেই। তাই বাধ্য হয়ে কৃষিজমিতে ইটভাটা গড়তে হয়েছে তাঁকে। এসব ভাটায় শুকনো মৌসুমে বিভিন্ন পুকুর থেকে মাটি সংগ্রহ করে রাখা হয়। সেগুলো দিয়ে পুরো মৌসুমে ইট পোড়ানো হয়। ফলে মাটির কোনো সংকট হয় না। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি প্রায় সব ইটভাটায় আগুন দেওয়া হবে।

জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল রানা বলেন, ইটভাটার অনুমোদন আছে কী না তা খতিয়ে দেখা হবে। ভাটামালিকেরা জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিয়ে থাকেন। তবে আইন লঙ্ঘন করে কয়লার পরিবর্তে কাঠ পোড়ানো যাবে না। কোথাও যদি কাঠ ও খড়ি পোড়ানোর অভিযোগ পাওয়া যায়, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হেফাজতসহ ধর্ম ব্যবসায়ীরা নারীবিদ্বেষী প্রচারণা চালাচ্ছে: ৬৮ মানবাধিকার সংগঠন

মানিকগঞ্জে সালিসে বিএনপি নেতার নির্দেশে পাঁচ ভাইকে জুতাপেটা

রাখাইনে মানবিক করিডর: জান্তার আপত্তিতে সরকারে দ্বিধা

ভারতের ব্ল্যাকআউট মহড়া, সীমান্তে আটার মজুত বাড়াচ্ছে পাকিস্তান, যুদ্ধ কি লেগে যাচ্ছে

মানবিক করিডরে বাংলাদেশের ফায়দা কী

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত