Ajker Patrika

অটোরিকশায় নাকাল পৌরবাসী

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৭: ০৯
অটোরিকশায় নাকাল পৌরবাসী

ঝিনাইদহ শহর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। ট্রাফিক সিগন্যাল অমান্য, যত্রতত্র পার্কিংয়ে বেড়েছে মানুষের দুর্ভোগ। এ ছাড়া এসব যানে দিন দিন বাড়ছে দুর্ঘটনা। বিশেষ করে প্রতি রোববার ও বৃহস্পতিবার অটোরিকশার জট মারাত্মক আকার ধারণ করে। এ সময় যানজট নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হয় ট্রাফিক পুলিশকে।

জানা যায়, শুধু শহর নয়, সড়ক-মহাসড়কও অটোরিকশার একচ্ছত্র দখলে। সদর পৌর সভার লাইসেন্সকৃত অটোরিকশার সংখ্যা প্রায় ২ হাজার ৬০০। তবে বাস্তবে পৌর এলাকায় চলাচলকারী অটোরিকশার সংখ্যা প্রায় ৭ হাজার।

সরেজমিন দেখা যায়, শহরের পোস্ট অফিস মোড়, আরাপপুর, সদর হাসপাতাল গেট, নতুন হাটখোলা রাস্তায় প্রতিনিয়তই লেগে থাকে অটোরিকশার জট। বিশেষ করে শহরের প্রাণকেন্দ্র পায়রা চত্বরে দিনের অধিকাংশ সময় রাস্তার অর্ধেকটাজুড়েই দাঁড়িয়ে থাকে এসব যান। যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামায় ব্যস্ত চালকেরা। পৌর এলাকায় অটোরিকশার পাশাপাশি চলছে আলমসাধু, নসিমন, করিম।

সদর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের তথ্যমতে, গত এক বছরে সদর পৌর এলাকায় ৫২টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৫ জন, আহত শতাধিক। এ দুর্ঘটনার ৬০ ভাগই অটোরিকশার কারণে।

শহরে চলাচলকারী হাসান আলী বলেন, ‘কয়েক বছর আগেও শহরে এত যানজট ছিল না। অনেক শান্তিতেই চলাফেরা করতে পারতাম। কিন্তু বর্তমানে শহরে আসলে কষ্ট লাগে। মাত্রাতিরিক্ত বেড়েছে অটোরিকশা। যত্রতত্র তারা দাঁড়িয়ে থাকে। সাইড না করে রাস্তার ওপর যাত্রী ওঠানামা করে। সড়কে হাঁটা যায় না।’

শহরের পায়রা চত্বরে ট্রাফিক বক্সের সামনে যাত্রী নামানোর সময় কথা হয় অটোচালক মহিতোষ নন্দীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের পার্কিংয়ের জায়গা নেই। বাধ্য হয়ে যাত্রী ওঠানো আর নামানোর জন্য যত্রতত্র দাঁড়াতে হয়। মাঝে মাঝে ট্রাফিক পুলিশ বাধা দেয়।’

হাটগোপালপুর থেকে আসা অটোরিকশা চালক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘পেটের দায়ে অটো চালাই। দিনে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা রোজগার হয়। কিন্তু অটোরিকশা না চালালে কি করে খাব, পরিবারের ভরণপোষণ করব কীভাবে?।’

ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক শামীমুল ইসলাম বলেন, ‘শহর এলাকার সড়ক দুর্ঘটনার মধ্যে ৬০ ভাগের পেছনেই কোনো না কোনোভাবে দায়ী অটোরিকশা। এ ছাড়া আগুন নেভাতে বা দুর্ঘটনায় উদ্ধারে যাওয়ার সময় অনেকটা বেগ পেতে হয়, কারণ ফায়ার সাইরেন বাজার পরও অটোগুলো আমাদের গাড়িকে পাশ দিতে চায় না।’

জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন জানান, শহরের পায়রা চত্বর, পোস্ট অফিস মোড়সহ সব স্থানেই সার্জেন্টরা পুলিশ সদস্যদের নিয়ে অটোরিকশার জট নিরসনে কাজ করে চলছেন।

পৌর প্রশাসক ইয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘অটোরিকশা একেবারে বন্ধ করা সম্ভব না। তবে পর্যায়ক্রমে দেখব, কীভাবে অটোজনিত সমস্যা সমাধান করা যায়। ইতিমধ্যে আমরা অটোরিকশার কারণে যেন দুর্ঘটনা না ঘটে, সে জন্য ডান পাশ দিয়ে যাত্রী নামানো বন্ধ করতে বেড় (বাধা) তৈরি করে দিতে মাইকিং শুরু করেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাকা দিয়ে নারীর চাবুকের ঘা খাচ্ছিলেন পুরুষ, দুজন গ্রেপ্তার

মানবিক করিডর না ভূরাজনৈতিক কৌশল? সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতায় উদ্বেগ

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের বিস্তারিত চায় ভারত

নির্দেশনা মানেননি পাইলট, মদিনা–ঢাকা ফ্লাইটকে নামতে হলো সিলেটে

ভারত–বাংলাদেশ বাণিজ্য বিধিনিষেধের মূল্য গুনছেন ব্যবসায়ীরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত