ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহ শহর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। ট্রাফিক সিগন্যাল অমান্য, যত্রতত্র পার্কিংয়ে বেড়েছে মানুষের দুর্ভোগ। এ ছাড়া এসব যানে দিন দিন বাড়ছে দুর্ঘটনা। বিশেষ করে প্রতি রোববার ও বৃহস্পতিবার অটোরিকশার জট মারাত্মক আকার ধারণ করে। এ সময় যানজট নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হয় ট্রাফিক পুলিশকে।
জানা যায়, শুধু শহর নয়, সড়ক-মহাসড়কও অটোরিকশার একচ্ছত্র দখলে। সদর পৌর সভার লাইসেন্সকৃত অটোরিকশার সংখ্যা প্রায় ২ হাজার ৬০০। তবে বাস্তবে পৌর এলাকায় চলাচলকারী অটোরিকশার সংখ্যা প্রায় ৭ হাজার।
সরেজমিন দেখা যায়, শহরের পোস্ট অফিস মোড়, আরাপপুর, সদর হাসপাতাল গেট, নতুন হাটখোলা রাস্তায় প্রতিনিয়তই লেগে থাকে অটোরিকশার জট। বিশেষ করে শহরের প্রাণকেন্দ্র পায়রা চত্বরে দিনের অধিকাংশ সময় রাস্তার অর্ধেকটাজুড়েই দাঁড়িয়ে থাকে এসব যান। যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামায় ব্যস্ত চালকেরা। পৌর এলাকায় অটোরিকশার পাশাপাশি চলছে আলমসাধু, নসিমন, করিম।
সদর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের তথ্যমতে, গত এক বছরে সদর পৌর এলাকায় ৫২টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৫ জন, আহত শতাধিক। এ দুর্ঘটনার ৬০ ভাগই অটোরিকশার কারণে।
শহরে চলাচলকারী হাসান আলী বলেন, ‘কয়েক বছর আগেও শহরে এত যানজট ছিল না। অনেক শান্তিতেই চলাফেরা করতে পারতাম। কিন্তু বর্তমানে শহরে আসলে কষ্ট লাগে। মাত্রাতিরিক্ত বেড়েছে অটোরিকশা। যত্রতত্র তারা দাঁড়িয়ে থাকে। সাইড না করে রাস্তার ওপর যাত্রী ওঠানামা করে। সড়কে হাঁটা যায় না।’
শহরের পায়রা চত্বরে ট্রাফিক বক্সের সামনে যাত্রী নামানোর সময় কথা হয় অটোচালক মহিতোষ নন্দীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের পার্কিংয়ের জায়গা নেই। বাধ্য হয়ে যাত্রী ওঠানো আর নামানোর জন্য যত্রতত্র দাঁড়াতে হয়। মাঝে মাঝে ট্রাফিক পুলিশ বাধা দেয়।’
হাটগোপালপুর থেকে আসা অটোরিকশা চালক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘পেটের দায়ে অটো চালাই। দিনে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা রোজগার হয়। কিন্তু অটোরিকশা না চালালে কি করে খাব, পরিবারের ভরণপোষণ করব কীভাবে?।’
ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক শামীমুল ইসলাম বলেন, ‘শহর এলাকার সড়ক দুর্ঘটনার মধ্যে ৬০ ভাগের পেছনেই কোনো না কোনোভাবে দায়ী অটোরিকশা। এ ছাড়া আগুন নেভাতে বা দুর্ঘটনায় উদ্ধারে যাওয়ার সময় অনেকটা বেগ পেতে হয়, কারণ ফায়ার সাইরেন বাজার পরও অটোগুলো আমাদের গাড়িকে পাশ দিতে চায় না।’
জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন জানান, শহরের পায়রা চত্বর, পোস্ট অফিস মোড়সহ সব স্থানেই সার্জেন্টরা পুলিশ সদস্যদের নিয়ে অটোরিকশার জট নিরসনে কাজ করে চলছেন।
পৌর প্রশাসক ইয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘অটোরিকশা একেবারে বন্ধ করা সম্ভব না। তবে পর্যায়ক্রমে দেখব, কীভাবে অটোজনিত সমস্যা সমাধান করা যায়। ইতিমধ্যে আমরা অটোরিকশার কারণে যেন দুর্ঘটনা না ঘটে, সে জন্য ডান পাশ দিয়ে যাত্রী নামানো বন্ধ করতে বেড় (বাধা) তৈরি করে দিতে মাইকিং শুরু করেছি।’
ঝিনাইদহ শহর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। ট্রাফিক সিগন্যাল অমান্য, যত্রতত্র পার্কিংয়ে বেড়েছে মানুষের দুর্ভোগ। এ ছাড়া এসব যানে দিন দিন বাড়ছে দুর্ঘটনা। বিশেষ করে প্রতি রোববার ও বৃহস্পতিবার অটোরিকশার জট মারাত্মক আকার ধারণ করে। এ সময় যানজট নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হয় ট্রাফিক পুলিশকে।
জানা যায়, শুধু শহর নয়, সড়ক-মহাসড়কও অটোরিকশার একচ্ছত্র দখলে। সদর পৌর সভার লাইসেন্সকৃত অটোরিকশার সংখ্যা প্রায় ২ হাজার ৬০০। তবে বাস্তবে পৌর এলাকায় চলাচলকারী অটোরিকশার সংখ্যা প্রায় ৭ হাজার।
সরেজমিন দেখা যায়, শহরের পোস্ট অফিস মোড়, আরাপপুর, সদর হাসপাতাল গেট, নতুন হাটখোলা রাস্তায় প্রতিনিয়তই লেগে থাকে অটোরিকশার জট। বিশেষ করে শহরের প্রাণকেন্দ্র পায়রা চত্বরে দিনের অধিকাংশ সময় রাস্তার অর্ধেকটাজুড়েই দাঁড়িয়ে থাকে এসব যান। যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামায় ব্যস্ত চালকেরা। পৌর এলাকায় অটোরিকশার পাশাপাশি চলছে আলমসাধু, নসিমন, করিম।
সদর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের তথ্যমতে, গত এক বছরে সদর পৌর এলাকায় ৫২টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৫ জন, আহত শতাধিক। এ দুর্ঘটনার ৬০ ভাগই অটোরিকশার কারণে।
শহরে চলাচলকারী হাসান আলী বলেন, ‘কয়েক বছর আগেও শহরে এত যানজট ছিল না। অনেক শান্তিতেই চলাফেরা করতে পারতাম। কিন্তু বর্তমানে শহরে আসলে কষ্ট লাগে। মাত্রাতিরিক্ত বেড়েছে অটোরিকশা। যত্রতত্র তারা দাঁড়িয়ে থাকে। সাইড না করে রাস্তার ওপর যাত্রী ওঠানামা করে। সড়কে হাঁটা যায় না।’
শহরের পায়রা চত্বরে ট্রাফিক বক্সের সামনে যাত্রী নামানোর সময় কথা হয় অটোচালক মহিতোষ নন্দীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের পার্কিংয়ের জায়গা নেই। বাধ্য হয়ে যাত্রী ওঠানো আর নামানোর জন্য যত্রতত্র দাঁড়াতে হয়। মাঝে মাঝে ট্রাফিক পুলিশ বাধা দেয়।’
হাটগোপালপুর থেকে আসা অটোরিকশা চালক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘পেটের দায়ে অটো চালাই। দিনে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা রোজগার হয়। কিন্তু অটোরিকশা না চালালে কি করে খাব, পরিবারের ভরণপোষণ করব কীভাবে?।’
ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক শামীমুল ইসলাম বলেন, ‘শহর এলাকার সড়ক দুর্ঘটনার মধ্যে ৬০ ভাগের পেছনেই কোনো না কোনোভাবে দায়ী অটোরিকশা। এ ছাড়া আগুন নেভাতে বা দুর্ঘটনায় উদ্ধারে যাওয়ার সময় অনেকটা বেগ পেতে হয়, কারণ ফায়ার সাইরেন বাজার পরও অটোগুলো আমাদের গাড়িকে পাশ দিতে চায় না।’
জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন জানান, শহরের পায়রা চত্বর, পোস্ট অফিস মোড়সহ সব স্থানেই সার্জেন্টরা পুলিশ সদস্যদের নিয়ে অটোরিকশার জট নিরসনে কাজ করে চলছেন।
পৌর প্রশাসক ইয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘অটোরিকশা একেবারে বন্ধ করা সম্ভব না। তবে পর্যায়ক্রমে দেখব, কীভাবে অটোজনিত সমস্যা সমাধান করা যায়। ইতিমধ্যে আমরা অটোরিকশার কারণে যেন দুর্ঘটনা না ঘটে, সে জন্য ডান পাশ দিয়ে যাত্রী নামানো বন্ধ করতে বেড় (বাধা) তৈরি করে দিতে মাইকিং শুরু করেছি।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪