লেবাননের বিপক্ষে অসাধারণ এক গোল করেছেন, অথচ উদ্যাপনের সময়টুকুও যেন নেই শেখ মোরসালিনের। ম্যাচের পরদিন অর্থাৎ গতকাল ছুটতে হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাই বেশ ব্যস্ততা। তাড়াহুড়োর মাঝে নিজের কঠিন সময় নিয়ে অল্প কিছু কথা শোনালেন। লেবাননের বিপক্ষে বাংলাদেশকে ১ পয়েন্ট এনে দেওয়া দারুণ গোল আর সেই ম্যাচের সুযোগ নষ্টের আক্ষেপ নিয়েও হতাশা কম নয়। দারুণ এক প্রত্যাবর্তন ঘিরে মোরসালিনের তৃপ্তি-অতৃপ্তির গল্প শোনার চেষ্টা করেছেন নাজিম আল শমষের।
প্রশ্ন: স্বপ্নের মতো এক ফেরা। অনেক বিতর্কের পর এভাবে কতটা স্বস্তির দিন শেষে?
মোরসালিন: আমার জন্য যতটা না স্বস্তির, দলের জন্য আরও বড় ব্যাপার। আমি একটা বিষয় লক্ষ করেছিলাম, অস্ট্রেলিয়ার কাছে বড় ব্যবধানে হারের পরেও সমর্থকেরা আমাদের ওপর আশা হারাননি। আমাদের জন্য লেবানন ম্যাচ অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। সমর্থকদের আস্থার জায়গা থেকে ভালো করতে চেয়েছিলাম, একটা দল হিসেবে। সেটা করতে পেরেছি, ভালো লাগছে। তবে আমাদের লক্ষ্য ছিল জয়। কিন্তু গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ে আবারও যেভাবে ম্যাচে ফিরতে পেরেছি, আমরা যে পারি সেটা দেখাতে পারি, এটা ভালো ব্যাপার। দলের ফলাফলে আমি খুশি। আর নিজের কথা বলতে গেলে, অবশ্যই আমার জন্য স্বস্তির।
প্রশ্ন: লেবানন ম্যাচের গোলটাকে কি আপনি শাপমোচন বলবেন?
মোরসালিন: হ্যাঁ, এটাকে টার্নিং পয়েন্ট বলতে পারেন। মনে হচ্ছে, নতুন শুরু পেলাম।
প্রশ্ন: লেবাননের বিপক্ষে অসাধারণ গোল এল আপনার পা থেকে। গোল করতে পারতেন আরও দুটি। নষ্ট হওয়া সুযোগ দুটি নিয়ে কি আক্ষেপ আছে কোনো?
মোরসালিন: লেবাননের বিপক্ষে যেভাবে খেলেছি, তাতে আমি পুরোপুরি সন্তুষ্ট নই। আরও ভালো করার সুযোগ ছিল। একটা গোল করেছি কিন্তু আবার সুযোগ নষ্টও করেছি। শেষ দিকে গিয়ে যেটা নষ্ট করলাম, সেটা নিয়ে আফসোস হচ্ছে। সুযোগটা গোলে পরিণত করতে পারলে আমরা জিতে যেতাম। কিন্তু এসব নিয়ে আর ভাবছি না। এই ভুলগুলো আগামীতে কীভাবে আরও কমানো যায়, সেটা নিয়ে কাজ করতে হবে।
প্রশ্ন: লং শট আপনার ট্রেডমার্ক হয়ে গেছে। তবে সতীর্থের ক্রস বা পাস থেকে ফার্স্ট টাচে গোল করার সুযোগ কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে আপনার একটা দুর্বলতা দেখা যাচ্ছে। এটা কি আসলেই দুর্বলতা? এখানে কি আরও কাজ করার আছে বলে মনে হয়?
মোরসালিন: অবশ্যই, এটা নিয়ে কাজ করতে হবে। শুধু এটা নয়, আরও যেসব জায়গায় ঘাটতি আছে, সেগুলো পূরণে কাজ করতে হবে। তবে ফুটবলে পূর্ণতা বলতে তো কিছু নেই। যত দিন যাবে, আপনাকে তত শিখতে হবে, জানতে হবে। আমাকেও এসব মেনে এগোতে হবে।
প্রশ্ন: জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার যন্ত্রণা কি আপনাকে আরও ভালো খেলার অনুপ্রেরণা দিয়েছে বলে মনে হয়?
মোরসালিন: আমার নিজের প্রতি খুব বিশ্বাস ছিল। হ্যাঁ, সময়টা কঠিন ছিল; কিন্তু নিজেই নিজেকে বুঝিয়েছি, আমাকে ফিরতে হবে। আমি যখন ফিরব, সেরা চেহারায় ফিরব। এই সময়ে আসলে পরিবার, আশপাশের যাঁরা আছেন, সবাই অনেক সাহস জুগিয়েছেন। যে কারণে এত সুন্দরভাবে ফিরতে পেরেছি।
প্রশ্ন: মোরসালিনের অনুপ্রেরণা কিসে?
মোরসালিন: বিশ্ব ফুটবলের বড় বড় তারকাকে অনুসরণের চেষ্টা করি। অনুপ্রেরণার কথা বলতে গেলে, আমি ডেভিড বেকহামের কথা বলতে চাই। ১৯৯৮ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে বেকহাম লাল কার্ড দেখেছিলেন। সেই ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয় ইংল্যান্ড। এরপর দেশে ফিরে সমর্থকদের তোপের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। এরপরও তিনি ভেঙে পড়েননি। সেখানে ঘুরে দাঁড়িয়ে নতুনভাবে শুরু করেছেন। আমিও এভাবে নিজেকে অনুপ্রাণিত করেছি। আমিও পারব এমন বিশ্বাস ছিল। ফুটবল আমার সব। ফুটবল থেকে দূরে থাকা সম্ভব নয়।
লেবাননের বিপক্ষে অসাধারণ এক গোল করেছেন, অথচ উদ্যাপনের সময়টুকুও যেন নেই শেখ মোরসালিনের। ম্যাচের পরদিন অর্থাৎ গতকাল ছুটতে হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাই বেশ ব্যস্ততা। তাড়াহুড়োর মাঝে নিজের কঠিন সময় নিয়ে অল্প কিছু কথা শোনালেন। লেবাননের বিপক্ষে বাংলাদেশকে ১ পয়েন্ট এনে দেওয়া দারুণ গোল আর সেই ম্যাচের সুযোগ নষ্টের আক্ষেপ নিয়েও হতাশা কম নয়। দারুণ এক প্রত্যাবর্তন ঘিরে মোরসালিনের তৃপ্তি-অতৃপ্তির গল্প শোনার চেষ্টা করেছেন নাজিম আল শমষের।
প্রশ্ন: স্বপ্নের মতো এক ফেরা। অনেক বিতর্কের পর এভাবে কতটা স্বস্তির দিন শেষে?
মোরসালিন: আমার জন্য যতটা না স্বস্তির, দলের জন্য আরও বড় ব্যাপার। আমি একটা বিষয় লক্ষ করেছিলাম, অস্ট্রেলিয়ার কাছে বড় ব্যবধানে হারের পরেও সমর্থকেরা আমাদের ওপর আশা হারাননি। আমাদের জন্য লেবানন ম্যাচ অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। সমর্থকদের আস্থার জায়গা থেকে ভালো করতে চেয়েছিলাম, একটা দল হিসেবে। সেটা করতে পেরেছি, ভালো লাগছে। তবে আমাদের লক্ষ্য ছিল জয়। কিন্তু গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ে আবারও যেভাবে ম্যাচে ফিরতে পেরেছি, আমরা যে পারি সেটা দেখাতে পারি, এটা ভালো ব্যাপার। দলের ফলাফলে আমি খুশি। আর নিজের কথা বলতে গেলে, অবশ্যই আমার জন্য স্বস্তির।
প্রশ্ন: লেবানন ম্যাচের গোলটাকে কি আপনি শাপমোচন বলবেন?
মোরসালিন: হ্যাঁ, এটাকে টার্নিং পয়েন্ট বলতে পারেন। মনে হচ্ছে, নতুন শুরু পেলাম।
প্রশ্ন: লেবাননের বিপক্ষে অসাধারণ গোল এল আপনার পা থেকে। গোল করতে পারতেন আরও দুটি। নষ্ট হওয়া সুযোগ দুটি নিয়ে কি আক্ষেপ আছে কোনো?
মোরসালিন: লেবাননের বিপক্ষে যেভাবে খেলেছি, তাতে আমি পুরোপুরি সন্তুষ্ট নই। আরও ভালো করার সুযোগ ছিল। একটা গোল করেছি কিন্তু আবার সুযোগ নষ্টও করেছি। শেষ দিকে গিয়ে যেটা নষ্ট করলাম, সেটা নিয়ে আফসোস হচ্ছে। সুযোগটা গোলে পরিণত করতে পারলে আমরা জিতে যেতাম। কিন্তু এসব নিয়ে আর ভাবছি না। এই ভুলগুলো আগামীতে কীভাবে আরও কমানো যায়, সেটা নিয়ে কাজ করতে হবে।
প্রশ্ন: লং শট আপনার ট্রেডমার্ক হয়ে গেছে। তবে সতীর্থের ক্রস বা পাস থেকে ফার্স্ট টাচে গোল করার সুযোগ কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে আপনার একটা দুর্বলতা দেখা যাচ্ছে। এটা কি আসলেই দুর্বলতা? এখানে কি আরও কাজ করার আছে বলে মনে হয়?
মোরসালিন: অবশ্যই, এটা নিয়ে কাজ করতে হবে। শুধু এটা নয়, আরও যেসব জায়গায় ঘাটতি আছে, সেগুলো পূরণে কাজ করতে হবে। তবে ফুটবলে পূর্ণতা বলতে তো কিছু নেই। যত দিন যাবে, আপনাকে তত শিখতে হবে, জানতে হবে। আমাকেও এসব মেনে এগোতে হবে।
প্রশ্ন: জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার যন্ত্রণা কি আপনাকে আরও ভালো খেলার অনুপ্রেরণা দিয়েছে বলে মনে হয়?
মোরসালিন: আমার নিজের প্রতি খুব বিশ্বাস ছিল। হ্যাঁ, সময়টা কঠিন ছিল; কিন্তু নিজেই নিজেকে বুঝিয়েছি, আমাকে ফিরতে হবে। আমি যখন ফিরব, সেরা চেহারায় ফিরব। এই সময়ে আসলে পরিবার, আশপাশের যাঁরা আছেন, সবাই অনেক সাহস জুগিয়েছেন। যে কারণে এত সুন্দরভাবে ফিরতে পেরেছি।
প্রশ্ন: মোরসালিনের অনুপ্রেরণা কিসে?
মোরসালিন: বিশ্ব ফুটবলের বড় বড় তারকাকে অনুসরণের চেষ্টা করি। অনুপ্রেরণার কথা বলতে গেলে, আমি ডেভিড বেকহামের কথা বলতে চাই। ১৯৯৮ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে বেকহাম লাল কার্ড দেখেছিলেন। সেই ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয় ইংল্যান্ড। এরপর দেশে ফিরে সমর্থকদের তোপের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। এরপরও তিনি ভেঙে পড়েননি। সেখানে ঘুরে দাঁড়িয়ে নতুনভাবে শুরু করেছেন। আমিও এভাবে নিজেকে অনুপ্রাণিত করেছি। আমিও পারব এমন বিশ্বাস ছিল। ফুটবল আমার সব। ফুটবল থেকে দূরে থাকা সম্ভব নয়।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫